মাত্র দুই দিনেই শেষ হয়েছিল ব্রিসবেন টেস্ট
মাত্র দুই দিনেই শেষ হয়েছিল ব্রিসবেন টেস্ট

ব্রিসবেনের উইকেটকে কত ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়া হয়েছিল, প্রশ্ন গাভাস্কারের

উইকেট নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছিল সিরিজ শুরুর আগে। আলোচনা যে একেবারে অমূলক ছিল না, তার প্রমাণ সিরিজের প্রথম তিন টেস্টই তিন দিনের মধ্যে শেষ হওয়া। ইন্দোর টেস্ট দুই দিন আর এক সেশনে শেষ হওয়ার পর পিচ নিয়ে কথার ডালপালা আরও মেলেছে।

আইসিসিও ইন্দোরের হলকার স্টেডিয়ামের উইকেটকে ‘বাজে’ উইকেটের রেটিং দিয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী দেওয়া হয়েছে তিনটি ডিমেরিট পয়েন্টও, যা নিয়ে এবার খেপেছেন ভারতের কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান সুনীল গাভাস্কার

বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির প্রথম তিন টেস্টেই স্পিনারদের সামনে কোনো ম্যাচেই দাঁড়াতে পারেননি ব্যাটসম্যানরা। কখনো সেই স্পিনার ছিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বীন, কখনো রবীন্দ্র জাদেজা কিংবা নাথান লায়ন। স্পিনারদের ঘূর্ণিতে ইন্দোর টেস্টে সব মিলিয়ে খেলা হয়েছে ১১৩৫ বল, বলের হিসাবে যা ভারতের মাটিতে হওয়া চতুর্থ সর্বনিম্ন টেস্ট।

স্পিনারদের ঘূর্ণিতে ইন্দোর টেস্টে সব মিলিয়ে খেলা হয়েছে ১১৩৫ বল

ম্যাচ শেষে ম্যাচ রেফারি ক্রিস ব্রডের রিপোর্টের ভিত্তিতে ইন্দোরের উইকেটকে ৩ ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়া হয়। এই প্রসঙ্গে ম্যাচ রেফারি বলেছেন, ‘পিচ অনেক শুষ্ক ছিল। ব্যাট ও বলের মধ্যে কোনো ভারসাম্য ছিল না। একদম শুরু থেকে স্পিনারদের সাহায্য করেছে।’ আইসিসির এই সিদ্ধান্তকে ‘নিষ্ঠুর’ বলছেন গাভাস্কার। এই কিংবদন্তি ব্যাটসম্যানের মতে, ইন্দোরের পিচ মোটেই খেলার অযোগ্য ছিল না।

গত ডিসেম্বরে পেসারদের দাপটে ব্রিসবেনে অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট মাত্র দুই দিনেই শেষ হয়েছিল। পাঁচ দিনের টেস্টে যেখানে কমপক্ষে ৪৫০ ওভার খেলা হয়, সেখানে ব্রিসবেনে দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়া টেস্টে খেলা হয়েছে ১৪৫ ওভারেরও কম। দুই ইনিংস মিলিয়ে উইকেট পড়েছে ৩৪টি, যার ৩০টিই নিয়েছেন পেসাররা।

হেড অবশ্য ব্যাট করেছেন সহজাত কৌশলে

ক্রিকেট ইতিহাসের অষ্টম সংক্ষিপ্ততম টেস্ট সেটি। তখন ব্রিসবেনকে কত ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়া হয়েছিল, সেই প্রশ্ন তুলেছেন গাভাস্কার, ‘একটা বিষয় জানতে চাই। নভেম্বর (ডিসেম্বর) মাসে ব্রিসবেনে একটা টেস্ট হয়েছিল। সেই টেস্টও কিন্তু দুদিনের মধ্যেই শেষ হয়েছিল। ওই টেস্টের ম্যাচ রেফারি কে ছিলেন, ব্রিসবেনের উইকেটকে কত ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়া হয়েছিল? আমার মনে হয়, তিন ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়াটা ঠিক হয়নি। এই পিচে বল বাঁক খেয়েছে, কিন্তু তা ভয়ংকর ছিল না। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পিচ ভালো হচ্ছিল। অস্ট্রেলিয়ার উসমান খাজা ও মারনাস লাবুশেন ৯৬ রানের জুটি গড়েছিল। পিচ খেলার অযোগ্য হলে এই জুটি গড়া সম্ভব হতো না।’

আদর্শ উইকেট কেমন হয়? উইকেট নিয়ে করা তর্কে এমন প্রশ্নও ওঠে। সেই প্রশ্নের উত্তরও দিয়েছেন গাভাস্কার, ‘আপনি একটা পিচ চাইবেন, যেখানে ব্যাট ও বলের মধ্যে ভারসাম্য থাকবে। উইকেটে প্রথম দুই দিন এমন থাকবে, যেখানে নতুন বলে বোলাররা সহায়তা পাবে, ব্যাটসম্যানরা শট খেলতে পারবে। তৃতীয়-চতুর্থ দিন থেকে বল টার্ন করা শুরু করবে। জানি না আহমেদাবাদের উইকেট কেমন হবে, যদি এমন টার্নিং উইকেট থাকে, তাহলে হয়তো ভারত জিতবে, তবে ডিমেরিট পয়েন্টও পেতে পারে।’