প্যাট কামিন্স, রবীন্দ্র জাদেজা, বিরাট কোহলি ও ট্রাভিস হেড
প্যাট কামিন্স, রবীন্দ্র জাদেজা, বিরাট কোহলি ও ট্রাভিস হেড

কে হবেন বর্ষসেরা ক্রিকেটার: হেড, কামিন্স, কোহলি না জাদেজা

বিশ্বকাপ ও টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ—২০২৩ সালে দুটি আইসিসি ট্রফি জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। প্যাট কামিন্সের নেতৃত্বে দলটির হয়ে দুটি ফাইনালেই ম্যাচসেরা ছিলেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ট্রাভিস হেড। বছর শেষে আইসিসি বলছে—কামিন্স আর হেড, দুজনই আছেন ২০২৩ সালের বর্ষসেরা ক্রিকেটারের মনোনয়ন তালিকায়। দুই অস্ট্রেলিয়ানের সঙ্গে বর্ষসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার গ্যারি সোবার্স ট্রফির জন্য মনোনীত হয়েছেন দুই ভারতীয় বিরাট কোহলি আর রবীন্দ্র জাদেজা।

এ ছাড়া বর্ষসেরা নারী ক্রিকেটারের পুরস্কার রাচেল ফ্লিন্ট ট্রফির জন্য মনোনয়ন পেয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার অ্যাশলেই গার্ডনার ও বেথ মুনি, শ্রীলঙ্কার চামারি আতাপাত্তু এবং ইংল্যান্ডের ন্যাট সিভার–ব্রান্ট। আজ আইসিসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মনোনীতদের নাম প্রকাশ করা হয়।

২০১৯ সালে বর্ষসেরা টেস্ট ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতা কামিন্স ২০২৩ সালে বোলিংয়ের পাশাপাশি অধিনায়কত্বে উজ্জ্বল ছিলেন। তাঁর নেতৃত্বে জুনে ওভালে ভারতকে হারিয়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জেতে অস্ট্রেলিয়া। পাঁচ মাস পর আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে একই দলকে হারিয়ে জেতে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। মাঝে ইংল্যান্ডে অ্যাশেজ ড্র করে অস্ট্রেলিয়া। দলগত তিনটি বড় সাফল্যের পাশাপাশি টেস্ট ও ওয়ানডে মিলিয়ে পুরো বছরে মোট ৫৯টি উইকেট নেন কামিন্স।

কামিন্সের সতীর্থ হেড ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ও বিশ্বকাপ ফাইনাল জয়ের নায়ক। টেস্টে ৯১৯ রানসহ পুরো বছরে ১৬৯৮ রান করেছেন এই বাঁহাতি। যা তাঁকে প্রথমবারের মতো বর্ষসেরা ক্রিকেটারের তালিকায় জায়গা করে দিয়েছে।

বর্ষসেরা হতে হেড ও কামিন্সকে লড়তে হবে দুইবারের গ্যারি সোবার্স ট্রফিজয়ী কোহলির সঙ্গে। ভারতের সাবেক অধিনায়ক ২০২৩ সালে ওয়ানডে ও টেস্ট মিলিয়ে তুলেছেন ২০৪৮ রান, যার মধ্যে বিশ্বকাপেই ছিল রেকর্ড ৭৬৫। বছরজুড়ে ছয়টি ওয়ানডে শতক করে শচীন টেন্ডুলকারের দুই যুগের বেশি সময় স্থায়ী সবচেয়ে বেশি ওয়ানডে শতকের রেকর্ডও ভেঙেছেন।

২০২৩ সালে ছন্দে ছিলেন বিরাট কোহলি

বর্ষসেরা ক্রিকেটারের মনোনয়নে জাদেজা জায়গা পেয়েছেন বোলিং সাফল্যের কারণে। সব সংস্করণ মিলিয়ে বছরের সর্বোচ্চ ৬৬ উইকেট নিয়েছেন ভারতের এই স্পিনার। এ ছাড়া ব্যাট হাতে ৬১৩ রানও আছে তাঁর।

মেয়েদের বর্ষসেরা ক্রিকেটারের তালিকায় জায়গা পেয়েছেন গতবারের সেরা ন্যাট সিভার–ব্রান্ট। মেয়েদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের এই অলরাউন্ডার ৯ উইকেট ও ৮৯৪ রান করেছেন। যেখানে ওয়ানডেতে গড় ছিল ১৩১.০০, টি–টোয়েন্টিতে ৪৫.৫০।

শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক চামারি আতাপাত্তু জায়গা পেয়েছেন ওয়ানডে ও টি–টোয়েন্টি মিলিয়ে মোট ৮৮৫ রান করে। আতাপাত্তু এ বছরের আইসিসি অ্যাওয়ার্ডে ওয়ানডে এবং টি–টোয়েন্টি বর্ষসেরারও মনোনয়ন পেয়েছেন।

মেয়েদের বর্ষসেরা পুরস্কারে অপর দুজনই অস্ট্রেলিয়ান। অফ স্পিনার গার্ডনার তিন সংস্করণ মিলিয়ে নিয়েছেন ৫৮ উইকেট, যা বছরের সর্বোচ্চ। এ ছাড়া বছরের শুরুর দিকে অনুষ্ঠিত আইসিসি নারী টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টুর্নামেন্টসেরার পুরস্কার জেতেন তিনি। প্রথম নারী ক্রিকেটার হিসেবে টানা দুবার (জুন ও জুলাই) আইসিসির মাসসেরা খেলোয়াড়ও হন গার্ডনার। অস্ট্রেলিয়ার উইকেটকিপার–ব্যাটার মুনিও আছেন গার্ডনারের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। বাঁহাতি এ ব্যাটার ২০২৩ সালের সর্বোচ্চ ১০৪০ রান করেন, যার মধ্যে ছিল নারী টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে ৭৪ রানের ইনিংস।

মনোনীত খেলোয়াড়দের মধ্য থেকে সেরা নির্বাচন করা হবে সমর্থক ও আইসিসি ভোটিং একাডেমির ভোটে। সমর্থকেরা ভোট দিতে পারবেন আইসিসির ওয়েবসাইটে গিয়ে।