বাংলাদেশের জিততে তখন ২ রান দরকার, অধিনায়ক নাজমুল হোসেনের অর্ধশতকের জন্য চাই ৩। চার বা ছক্কা মেরে ম্যাচ জেতানো ছাড়া নাজমুলের ৫০ ছোঁয়ার অন্য কোনো উপায় ছিল না। নাজমুল ছক্কাই মারলেন। দাসুন শানাকার করা ১৯তম ওভারের প্রথম বলটা ডিপ স্কয়ার লেগের ওপর দিয়ে পাঠালেন মাঠের বাইরে। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের গ্যালারি মাতল ডাবল আনন্দে।
সিরিজ বাঁচিয়ে রাখতে এ ম্যাচে জয় ছাড়া অন্য কোনো উপায় ছিল না বাংলাদেশের। বাঁচা–মরার ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ১৬৫ রানে আটকে রেখে বোলাররা নিজেদের কাজটা করে দিলেন ভালোভাবেই। বাকি দায়িত্বটা ছিল ব্যাটসম্যানদের। সেখানে অধিনায়ক নাজমুল নেতৃত্ব দিলেন একেবারে সামনে থেকে। তাঁর ৩৮ বলে অপরাজিত ৫৩ রানের ইনিংসের পাশাপাশি লিটন দাস, তাওহিদ হৃদয় ও সৌম্য সরকারের ব্যাটে চড়ে বাংলাদেশ ম্যাচ জিতল ১১ বল আর ৮ উইকেট হাতে রেখে।
২ ছক্কা ও ৪ চারে সাজানো ১৩৯.৪৭ স্ট্রাইক রেটের ইনিংসটা নাজমুলকে ম্যাচসেরার পুরস্কারও এনে দিয়েছে। তবে জয়ের কৃতিত্বটা অধিনায়ক একা নিতে চাইলেন না। পুরস্কার বিতরণী মঞ্চেই সঞ্চালকের সঙ্গে কথা বলা সময় নাজমুলের কণ্ঠে সতীর্থদের জন্য প্রশংসা, ‘কৃতিত্বটা সবার, বিশেষ করে বোলারদের। যেভাবে আমরা বল করেছি এই উইকেটে, আমি খুব খুশি। আমি নির্দিষ্ট কোনো বোলারের কথা বলব না, সবাই ভালো বল করেছে। তারপর ব্যাট হাতেও আমরা শুরুটা ভালো করেছি এবং সেটা ধরে রেখেছি।’
সেই ব্যাটসম্যানদের মধ্যে নাজমুলের নিজের অর্ধশতকটা দলের জয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে তো বটেই, তাঁকেও হয়তো ফর্মে ফিরতে সাহায্য করবে। বিপিএলে রান পাননি খুব একটা। সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতেও করেছেন ২২ বলে ২০ রান। আজকের ইনিংসে পাওয়া এই ছন্দ সিরিজের বাকি ম্যাচগুলোতেও ধরে রাখতে চান নাজমুল, ‘ব্যাটসম্যান হিসেবে তো আমরা সবাই চাই প্রতি ম্যাচেই রান করতে। আমি আমার ফর্ম নিয়ে খুশি।’
ওদিকে হেরে গিয়ে শ্রীলঙ্কার ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক চারিত আসালাঙ্কার আক্ষেপ আরও ২০-২৫ রান বেশি করতে না পারার। তবে পাশাপাশি তাঁর কণ্ঠেও ছিল বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের প্রশংসা, ‘ওরা এই কন্ডিশনে দারুণ ব্যাট করেছে। বিশেষ করে শান্ত (নাজমুল) ও হৃদয়।’
১-১ সমতায় থাকা সিরিজের শেষ ম্যাচটাও সিলেটেই হবে আগামী ৯ মার্চ।