টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে রীতিমতো উড়ছে আফগানিস্তান। টানা ৩ জয়ে সুপার এইট পর্ব নিশ্চিত করে ফেলেছে তারা। দলটির তিনটি জয়ই ছিল একদম একপেশে।
তবে বিশ্বমঞ্চে রশিদ–নবীদের চমক দেখানোর শুরুটা হয়েছে আরও আগে, গত বছর অক্টোবর–নভেম্বরে ভারতে অনুষ্ঠিত ওয়ানডে বিশ্বকাপ দিয়ে। আফগানরা একে একে হারিয়ে দেয় ইংল্যান্ড, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কার মতো পরাশক্তিদের, উড়িয়ে দেয় নেদারল্যান্ডসকেও। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল অতিমানবীয় ইনিংসটা না খেললে সেমিফাইনালেও উঠে যেতে পারত।
আফগানিস্তানের এমন বদলে যাওয়ার পেছনে মূল কারিগর ভাবা হয় প্রধান কোচ জোনাথন ট্রটকে।
তবে ওয়ানডে বিশ্বকাপে দলের সঙ্গে আরও একজন ছিলেন, যিনি আফগানদের ড্রেসিংরুমের পরিবেশ বদলে দিয়েছিলেন, দলকে আরও আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছিলেন। তিনি ভারতের সাবেক অধিনায়ক অজয় জাদেজা। ওয়ানডে বিশ্বকাপ শুরুর আগমুহূর্তে তাঁকে পরামর্শকের দায়িত্ব দিয়েছিল আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি)।
ভারতের মাটিতে ওয়ানডে বিশ্বকাপ হয়েছিল বলেই জাদেজার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়েছিল আফগানিস্তান। টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আফগানরা এখন পর্যন্ত যে দুটি ভেন্যুতে (গায়ানা ও ত্রিনিদাদ) খেলেছে, সেখানকার পিচের সঙ্গে ভারতের পিচের যথেষ্ট মিল থাকায় জাদেজার কাছ থেকে পাওয়া পরামর্শ এবারও কাজে লাগাচ্ছে আফগানরা।
বিশ্বকাপের মতো বড় আসরে পরামর্শকের দায়িত্ব নিলে যে কারও মোটা অঙ্কের পারিশ্রমিক দাবি করার কথা। কিন্তু অনেকটা অবিশ্বাস্য মনে হলেও সত্যি, জাদেজা আফগানিস্তানের কাছ থেকে কানাকড়িও নেননি! সম্প্রতি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাসিব খান।
স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেল আরিয়ানা নিউজকে নাসিব বলেন, ‘২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে আফগানিস্তান দলের পরামর্শক হওয়ার পর জাদেজাকে একাধিকবার পারিশ্রমিক নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি সব সময় বলতেন “তোমরা যদি ভালো খেলো, সেটাই হবে আমার বেতন। আমি সেই পুরস্কারই চাই।’”