এ টেস্টটা এমনিতে ঐতিহাসিক। এর আগে দেশের মাটিতে আয়ারল্যান্ড টেস্ট খেলেছে একটিই, সেটিও ছয় বছর আগে ২০১৮ সালে। তবে সেটি ছিল আয়ারল্যান্ড প্রজাতন্ত্রের রাজধানী ডাবলিনের ম্যালাহাইডে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে স্বাগতিকদের এ টেস্টটি হচ্ছে উত্তর আয়ারল্যান্ডের রাজধানী বেলফাস্টে। এমনিতে ক্রিকেটে আয়ারল্যান্ডের দলটি সম্মিলিত, তবে উত্তর আয়ারল্যান্ডে এটিই প্রথম টেস্ট।
সিভিল সার্ভিস ক্রিকেট গ্রাউন্ডে প্রথম দিনটি নিজেদের করে নিয়েছে আইরিশরা। তাতে নাটকীয় ধসের কবলে পড়ে প্রথম ইনিংসে ২১০ রানেই গুটিয়ে গেছে জিম্বাবুয়ে। ওপেনার প্রিন্স মাসভাউরে (৭৪) ও জয়লর্ড গাম্বি (৪৯) মিলে প্রথম উইকেটেই তোলেন ৯৭ রান, এক সময় জিম্বাবুয়ের স্কোর ছিল ২ উইকেটে ১৪৩ রান। সেখান থেকে ৫৭ রান যোগ করতেই শেষ ৮ উইকেট হারায় তারা।
জিম্বাবুয়ের মূল ক্ষতিটা করেছেন পেসার ব্যারি ম্যাকার্থি (৩/৪২) ও অফ স্পিনার অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন (৩/৩৭)। জিম্বাবুয়ের শেষ নয়জন ব্যাটসম্যানের মধ্যে দুই অঙ্ক ছুঁয়েছেন মাত্র দুজন।
পেসার ম্যাকার্থি দিনের খেলা শেষে বলেছেন, ‘তাদের দুই ওপেনার বেশ ভালো করেছে। তবে বাউন্স আর বলের গতিপথ ভালো পাওয়া যাচ্ছিল, বোলার হিসেবে যা আপনি ভালোবাসবেন। আমরা জানতাম, দুই-একটি উইকেট পেলে বাকিগুলোও আসবে।’
অবশ্য এমন কন্ডিশনে ২১০ রানের স্কোরকেও কম মনে করছে না জিম্বাবুয়ে। ৩ বছর পর টেস্ট খেলতে নামা ৩৫ বছর বয়সী মাসভাউরে বলেছেন, ‘দলে ফিরে ভালো পারফরম্যান্স দেখাতে পেরে খুশি। সেঞ্চুরি পেলে ভালো লাগত। গাম্বি ইতিবাচক ছিল, যেটি দারুণ। আমাদের যেমন শুরু দরকার ছিল সেটি পেয়েছি। এ স্কোরকে আমরা ফেলে দেব না।’
মাসভাউরে যেমন ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির আক্ষেপে পুড়েছেন, অভিষেকে ফিফটির কাছে গিয়ে থেমেছেন গাম্বি। ম্যাকার্থির প্রথম শিকার তিনি। প্রথম সেশনে বিনা উইকেটে ৮৭ রান তোলার পর ৩ উইকেটে ১৫৩ রান নিয়ে চা-বিরতিতে যায় জিম্বাবুয়ে।
মাসভাউরে নিজের সর্বোচ্চ টেস্ট স্কোর গড়ে থামেন কার্টিস ক্যাম্ফারের বলে। ১৫২ বলের ইনিংসে তিনি মারেন চারটি চার। ম্যাকব্রাইন এরপর করেন জোড়া আঘাত—পরপর দুই বলে ফেরান শন উইলিয়ামস ও ক্লাইভ মাদান্দেকে। এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। এমন কন্ডিশনে ব্যাটিংটা আয়ারল্যান্ডের জন্যও সহজ হওয়ার কথা ছিল না। কিন্তু বৃষ্টি আর খেলাই হতে দেয়নি প্রথম দিনে।