বিপিএলের পারফরম্যান্স দিয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের দলে ডাক পেয়েছেন তৌহিদ হৃদয়। সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে ১৩ ম্যাচে ১২ ইনিংসে ৩৬.৬৩ গড়ে ও ১৪০.৪১ স্ট্রাইক রেটে ৪০৩ রান করেছেন, যা বিপিএলে এবার তৃতীয় সর্বোচ্চ।
কিন্তু ২২ বছর বয়সী এ ব্যাটসম্যানের এখনই জাতীয় দলে ডাক পাওয়ায় ঝুঁকি দেখছেন সিলেট স্ট্রাইকার্সের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। এক টুর্নামেন্টের পারফরম্যান্সেই জাতীয় দলে সুযোগ না দিয়ে অপেক্ষা করা উচিত ছিল বলে মনে করেন মাশরাফি।
কাল বিপিএল ফাইনালের পর সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি বলেছেন, ‘তৌহিদ হৃদয় ক্যারিয়ারে একদমই শুরুর দিকে আছে। আমি হয়তো আরেকটু সময় নিতাম ওর ক্ষেত্রে। সবাইকে এটা মেনে নিতে হবে। জাতীয় দলে একটা দেশের সেরা পাঁচজন বোলার খেলবে। আমি প্রত্যাশা করছি না…ভালো খেললে আলহামদুলিল্লাহ। কিন্তু আমার প্রত্যাশায় লাগাম থাকা উচিত। কারণ, ছেলেটাকে খুব দ্রুতই দলে নেওয়া হয়েছে।’
মাশরাফির ভয়, তৌহিদ হৃদয় যদি জাতীয় দলে ভালো না খেলে, তাহলে আবার ছুড়ে ফেলা হতে পারে। লিটন দাস ও নাজমুল হোসেনের উদাহরণ টেনে মাশরাফি বলেছেন, ‘এখন সে যদি রান না করে, তাহলে যেন তাঁকে ফেলে না দেওয়া হয়। তখন কিন্তু আমরা প্রশ্ন করি না, কেন এক টুর্নামেন্ট দেখেই তাঁকে দলে নেওয়া হয়েছিল, আর কেনই–বা দুই ম্যাচ খেলানোর পর বাদ দেওয়া হলো। সে জন্য (দলে) নেওয়ার সময় যেমন খেয়াল রাখতে হবে, বাদ দেওয়ার সময়ও খেয়াল রাখতে হবে। বারবার লিটন ও শান্তকে যেভাবে সেট করেছেন, ওদের কিন্তু প্রচুর চাপ নিতে হয়েছে। একটা ছেলেকে বিভিন্ন জায়গায় খেলিয়ে সেট করা যায়। কিন্তু জাতীয় দলে কাউকে সেট করা দলের জন্য যেমন কঠিন, সেই ক্রিকেটারের জন্যও।’
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের চ্যালেঞ্জটা যে ভিন্ন, সে বিষয়টিও মনে করিয়ে দিলেন মাশরাফি। নতুন খেলোয়াড় হিসেবে আন্তর্জাতিক সাফল্য ধরা দিলেও সেটি সময়ের সঙ্গে কঠিন হবে।
তৌহিদ হৃদয় সে জন্য প্রস্তুত কি না, সে প্রশ্ন তুলেছেন মাশরাফি, ‘হৃদয়ের কথা এইটুকুই বলব, দারুণ খেলোয়াড়। এখন দারুণ ফর্মে আছে। উইশ হিম অল দ্য বেস্ট। একই সঙ্গে আমি বিশ্বাস করি, সে যদি তিনটা, চারটা, পাঁচটা ম্যাচে রান না–ও করে, আমি অবাক হবো না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অনেক রকমের চাপ থাকবে। আশা করব সে যেন চাপমুক্ত থেকে খেলতে পারে। আবার প্রথম পাঁচ, ছয়, সাত ম্যাচে ভালো করাও কিন্তু সহজ। তবে দিন যত যাবে তত কঠিন হবে কাজ। বিশ্লেষক থাকে। আপনার দুর্বল জায়গাগুলো বের হবে। আশা করি সে মানিয়ে নিতে পারবে। দারুণ খেলোয়াড়, কিন্তু একটু আগেভাগে।’