গুজরাটকে হারিয়ে পাঞ্জাবের উল্লাস, ৪ এপ্রিল আহমেদাবাদে
গুজরাটকে হারিয়ে পাঞ্জাবের উল্লাস, ৪ এপ্রিল আহমেদাবাদে

পাঞ্জাব এখন ২০০ রান তাড়ায় ‘রাজা’

যে শশাঙ্ক সিংকে নিলামে কেনার পরও ফিরিয়ে দিতে চেয়েছিল পাঞ্জাব কিংস, তাঁর দারুণ এক ইনিংসের সৌজন্যেই গতকাল আহমেদাবাদে গুজরাট টাইটানসের বিপক্ষে পেয়েছে স্মরণীয় এক জয়। গুজরাটের দেওয়া ২০০ রানের লক্ষ্য ৩ উইকেট ও ১ বল বাকি থাকতে পেরিয়ে গেছে পাঞ্জাব। সে জয়ে টি-টোয়েন্টির দারুণ এক অর্জনও হয়ে গেছে আইপিএলের দলটির।

এ নিয়ে ৬ বার ২০০ বা এর বেশি রানের লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলল পাঞ্জাব। টি-টোয়েন্টিতে কোনো দলের যা সবচেয়ে বেশি। ভারত, অস্ট্রেলিয়া, আইপিএলের মুম্বাই ইন্ডিয়ানস ও পিএসএলের দল কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সের এই রেকর্ড ছিল ৫ বার করে।

৬ বার যেমন সফল রান তাড়া করেছে পাঞ্জাব, ৪ বার দ্বিতীয় ইনিংসে ২০০ বা এর বেশি রান করলেও লক্ষ্য পর্যন্ত যেতে পারেনি। হারা ম্যাচে তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ স্কোর ৮ উইকেটে ২১৪ রান। ২০১৮ সালে ইন্দোরে কলকাতা নাইট রাইডার্স তাদের লক্ষ্য দিয়েছিল ২৪৬ রান।

স্মরণীয় ইনিংস খেলেন শশাংক সিং
২৫৩

গত বছর দ্বিতীয় ইনিংসে ২৫৩ রান করেও হারের স্বাদ পেতে হয়েছিল কোয়েটাকে। মুলতান সুলতানস সে ম্যাচে তাদের লক্ষ্য দিয়েছিল ২৬৩ রানের। হারা ম্যাচে দ্বিতীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ স্কোরের রেকর্ড কোয়েটারই। দুই দলের সম্মিলিত স্কোরের তালিকায় কোয়েটা-মুলতান অবশ্য তিনে। সবার ওপরে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও মুম্বাই ইন্ডিয়ানস। এ মৌসুমেই আইপিএলের রেকর্ড ২৭৭ রানের স্কোর গড়ে হায়দরাবাদ, সেটি তাড়া করতে নেমে মুম্বাই থামে ২৪৬ রানে।

২৫৯/৪

টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জেতার রেকর্ডটি দক্ষিণ আফ্রিকার। গত বছর সেঞ্চুরিয়নে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেওয়া ২৫৯ রানের লক্ষ্য ৬ উইকেট ও ৭ বল বাকি রেখেই ছুঁয়ে ফেলেছিল তারা। দুই দলের সম্মিলিত রানের দিক দিয়ে এ ম্যাচটি দ্বিতীয়।

প্রতিপক্ষকে কমপক্ষে ২০০ রানের লক্ষ্য দিয়েও সবচেয়ে বেশি হারের রেকর্ডটি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর। এমন ৬টি ম্যাচে হেরেছে তারা। ৫ বার করে হেরেছে এসেক্স, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ।