আউটফিল্ড খুব একটা ভালো ছিল না। এমনকি বোলারদের রানআপের জায়গাটাও ঠিকঠাক ছিল না। তবে ইংল্যান্ডের কাছে ১৩৭ রানের বিশাল হারের পর কোনো কিছুকেই অজুহাত হিসেবে দাঁড় করাতে চান না বাংলাদেশের পেস বোলার তাসকিন আহমেদ। নিজেদের ব্যর্থতা স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি।
আজ ধর্মশালার হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামের ম্যাচ শেষে মিক্সড জোনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তাসকিন বলেন, ‘যে আশা ছিল, বোলিংটা তার চেয়ে একটু খারাপই হয়েছে। যদিও কন্ডিশন ব্যাটিং–বান্ধব, তাও আরেকটু ভালো করা যেত।’
সাংবাদিকদের সঙ্গে তাসকিনের কথোপকথনে এসেছে ধর্মশালার বাজে আউটফিল্ডের প্রসঙ্গও। বাংলাদেশ–আফগানিস্তান ম্যাচের পর থেকেই এ নিয়ে সমালোচনা চলছিল। তাসকিন বলেন, ‘আউটফিল্ড একটু নরম ছিল। দৌড়ানো কঠিন ছিল। কিন্তু অজুহাত দিয়ে তো লাভ নেই। কন্ডিশন যেমনই হোক, এগুলো তো আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। তাই এটা মেনে নিয়েই আরেকটু ভালো করা উচিত ছিল। আমাদের সামর্থ্যের চেয়ে এই ম্যাচে বোলিংটা একটু খারাপ করে ফেলেছি। বড় লক্ষ্য হয়ে যাওয়ার কারণে হয়তো ব্যাটিংটাও ওইভাবে ভালো হয়নি।’
মাঠে রানআপের সময়, দৌড়ানোর সময় সবারই ভারসাম্য রাখতে কষ্ট হচ্ছিল বলে জানান তাসকিন। পা কিছুটা পিছলে যাচ্ছিল। তবে এসব বলেও আরও একবার বলেছেন, ‘অজুহাত দিয়ে লাভ নেই।’
ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসা কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে বলেন, বোলাররা পরিকল্পনা অনুযায়ী বোলিং করতে পারেনি। পরিকল্পনা ছিল উইকেট টু উইকেট বল করা। কিন্তু তাসকিন–মোস্তাফিজরা শুরুর দিকে বেশির ভাগ বলই করেছেন অফ স্টাম্পের বাইরে বা লেগ সাইডে।
তাসকিনও বলেন, ‘আমরা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারিনি। একটা বাজে দিন গেছে। কোনো অজুহাত দিয়ে লাভ নেই। এর চেয়ে বাজে কন্ডিশনেও ভালো করেছি আগে। আমরা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারিনি।’ তাঁর কথায় আক্ষেপ, ‘শেষ ১০ ওভারে আমাদের বোলিং ভালো হয়েছে। (ইংল্যান্ডকে) ৩০০ রানের মধ্যে আটকে রাখতে পারলে গল্পটা অন্য রকম হতে পারত।’
ওয়ানডেতে এখন ৩৫০–এর বেশি রান অহরহই হচ্ছে। কখনো কখনো হয়ে যাচ্ছে ৪০০–এর বেশি। বিশ্বকাপে যে এমন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হবে, সে আলোচনা আছে বাংলাদেশ দলেও। তাসকিন বলেন, ‘আমরা যে কয়টি ম্যাচ দেখেছি, মনে হয়েছে ভারতের বেশির ভাগ উইকেটই ব্যাটিং–বান্ধব হবে। তাই ব্যাটিংয়ে ৩০০–এর বেশি রান তাড়া করার পরিকল্পনা থাকতে হবে। আর বোলিংয়ে ৩০০ রানের নিচে আটকে রাখার কথা ভাবতে হবে। আমাদের দুদিক থেকেই প্রস্তুত থাকতে হবে যে এ রকম পরিস্থিতি হতে পারে।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নবাণে জর্জরিত হয়ে একটা পর্যায়ে একটু বিরক্তই হয়ে উঠেছিলেন তাসকিন। তবু সামনের ম্যাচগুলোয় ভালো করার প্রত্যয় ফুটে উঠেছে তাঁর কথায়, ‘দুই ম্যাচে যদি দুই বছরের অর্জনকে এলোমেলো মনে করেন, তাহলে ব্যর্থতা। কিছু করার নেই। সামনের ম্যাচগুলোয় ভালো বোলিং করার চেষ্টা করব।’