টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট নিয়ে এইউন মরগানের একটা কথা আছে, মাত্র ২০ ওভারের খেলাটার ভাগ্য নির্ধারণ হয় ইনিংসের শেষ ১০ ওভারে। প্রথম ১০ ওভারে ভালো গেলেও যে ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ থাকে, সেটি বোঝাতেই এই বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক এ কথাটা বলেছেন। আজ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের বোলিং ইনিংসের গল্পটাও ঠিক তেমনই। আর এই গল্পের নায়ক হাসান মাহমুদ।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে বাংলাদেশের আমন্ত্রণে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ড পেয়ে যায় দারুণ এক শুরু। জস বাটলার ও ফিল সল্ট দ্রুত রান তুলছিলেন বড় কোনো ঝুঁকি না নিয়েই। একমাত্র নাসুম আহমেদ নতুন বলে ইংলিশদের চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছিলেন।
প্রথম ওভারেই সল্টের স্টাম্পের পাশ ঘেঁষে গেছে নাসুমের বল। পরে নাসুমের বলে বাটলারের সহজ ক্যাচ ফেলেছেন সাকিব আল হাসান। এরপর ইনিংসের ১০ ওভারে এসে নাসুম অবশেষে উইকেটের দেখা পান। তাঁর বোলিংয়ে সল্ট কট বিহাইন্ড হন ৩৫ বলে ৩৮ রানের ইনিংস খেলে। তখন ইংল্যান্ডের রান ১ উইকেটে ৮০, ২৫ বলে ৩৭ রান করে অপরাজিত ছিলেন বাটলার।
শেষ ১০ ওভারে তিনি ঝড় তুলবেন। দলের অন্য ব্যাটসম্যানরাও হাত খুলে খেলবেন। রানটা শেষ ১০ ওভারে যাবে দুই শর ওপারে। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের নিয়ে এমনটাই তো ভাববে বেশির ভাগ মানুষ। কিন্তু সেটি হতে দেয়নি বাংলাদেশ দলের ডেথ বোলিং। শেষ ১০ ওভারে ইংল্যান্ড নিয়মিত উইকেট হারিয়েছে, রান করেছে মাত্র ৭৬। বাটলারদের স্কোর গিয়ে দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ১৫৬ রানে।
ইনিংসের শেষ ১০ ওভারের ৪টিই করেছেন হাসান। তাঁর ৪ ওভার থেকে মাত্র ২৬ রান নিতে পেরেছে ইংলিশরা, নিজের শেষ দুই ওভারে মাত্র ৫ রান দিয়ে হাসান আউট করেছেন বাটলার ও স্যাম কারেনকে। দলের অন্য দুই পেসার তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমানও শেষের ওভারে তাঁদের সেরাটা দিয়েছেন। বাংলাদেশও পেয়েছে তাড়া করে জেতার মতো স্কোর।
হাসান অবশ্য অক্টোবর-নভেম্বরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকেই ডেথ ওভারে ধারাবাহিক। সাকিব তাঁকে নিয়মিত ডেথ ওভারে বল করিয়েছেন।
বিপিএলে রংপুর রাইডার্সও ঠিক একই দায়িত্বে তাঁকে খেলিয়েছে। সেখানেও তিনি ছিলেন সফল। তানভীর ইসলামের সঙ্গে যৌথভাবে বিপিএলের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি বোলার হয়েছেন হাসান। ১৭ উইকেট নিয়েছেন ৭.৯ ইকোনমি রেটে।