চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে পাঁচ ম্যাচ টি–টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে আজ জিম্বাবুয়ের মুখোমুখি বাংলাদেশ।
গত শুক্রবার প্রথম ম্যাচে ৮ উইকেটের জয়ে সিরিজে ১–০ ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। আজও কি আসবে জয়? প্রথম ম্যাচ জয়ের পর দলের সবার পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন সেই আশার কথাই জানিয়েছিলেন।
প্রথম ম্যাচে ৩৮ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর ১২৪ রানে অলআউট হয়েছিল জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশের দুই পেসার তাসকিন আহমেদ ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন নিয়েছিলেন ৩টি করে উইকেট। ২ উইকেট মেহেদী হাসানের। দাপট দেখিয়েছিলেন বাংলাদেশের বোলাররা। আর সে ম্যাচে টি–টোয়েন্টি অভিষেকে ৬৭ রানের ইনিংস খেলে শেষ পর্যন্ত থেকে জিতিয়েছিলেন ওপেনার তানজিদ হাসান।
চট্টগ্রাম থেকে আমাদের প্রতিনিধি মোহাম্মদ জুবাইর জানিয়েছেন, জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে পড়ন্ত বিকালের আবহাওয়া বেশ পরিস্কার। প্রথম ম্যাচের মতো আকাশে কালো মেঘের ঘনঘটা নেই। পরিস্কার আকাশ। তবে বাতাস তেমন নেই। প্রথম ম্যাচে যে উইকেটে খেলা হয়েছে, দ্বিতীয় ম্যাচ হবে তার পাশের উইকেটে।
টস জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচেও টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন।
প্রথম ম্যাচের উইনিং কম্বিনেশনই ধরে রেখেছে বাংলাদেশ। অর্থাৎ আজ দ্বিতীয় ম্যাচে অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে মাঠে নামছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ একাদশ:
নাজমুল হোসেন (অধিনায়ক), লিটন দাস, তানজিদ হাসান, তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, জাকের আলী (উইকেটকিপার), মেহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, শরীফুল ইসলাম ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
জয়লর্ড গাম্বি (উইকেটকিপার), ক্রেগ আরভিন, ব্রায়ান বেনেট, সিকান্দার রাজা (অধিনায়ক), ক্লাইভ মাদান্দে, জোনাথন ক্যাম্পবেল, রায়ার্ন বার্ল, লুক জঙ্গুয়ে, এইনস্লে এনদোলোভু, রিচার্ড এনগারাভা ও ব্লেসিং মুজারাবানি।
একাদশে দুটি পরিবর্তন এনেছে জিম্বাবুয়ে। শন উইলিয়ামস ও ওয়েলিংটন মাসাকাদজাকে বসিয়ে জোনাথন ক্যাম্পবেল এবং এইনস্লে এনদোলোভুকে একাদশে নিয়েছে জিম্বাবুয়ে। প্রথম ম্যাচে মাসাকাদজা মাথায় বলের আঘাত পেয়েছিলেন।
এই ম্যাচ দিয়ে টি–টোয়েন্টি অভিষেক হচ্ছে স্পিন অলরাউন্ডার জোনাথন ক্যাম্পবেলের।
জিম্বাবুয়ে: ১ ওভারে বিনা উইকেটে ২ রান।
প্রথম ম্যাচে জয়লর্ড গাম্বির সঙ্গে ওপেন করেছিলেন ক্রেগ আরভিন। আজ ওপেনিং জুটিতে পরিবর্তন এনেছে জিম্বাবুয়ে। গাম্বির সঙ্গে ওপেন করেছেন তাদিওয়নাশায়ে মারুমানি।
ভালো লেংথে বল করে প্রথম ওভারে মাত্র ২ রান দিয়েছেন শরীফুল।
জিম্বাবুয়ে: ২ ওভারে বিনা উইকেটে ৩ রান।
প্রথম ম্যাচের মতো দ্বিতীয় ম্যাচেও অন্য প্রান্ত থেকে বোলিং করলেন স্পিনার মেহেদী হাসান। একটু জোরের ওপর ভালো লেংথে বল করলেন তিনিও। জিম্বাবুয়ের দুই ওপেনারও খেললেন দেখেশুনে। তাতে লাভটা বাংলাদেশেরই। এই ওভারে উঠেছে মাত্র ১ রান।
জিম্বাবুয়ে: ৩ ওভারে বিনা উইকেটে ৭ রান।
প্রথম দুই ওভারে রান সেভাবে না ওঠায় একটু আক্রমণাত্বক খেলতে গিয়ে সুযোগ নষ্ট করলেন জিম্বাবুয়ে ওপেনার গাম্বি। শরীফুলের দ্বিতীয় বলটি ছিল ফুল টস, সহজেই বাউন্ডারি মারতে পারতেন। গাম্বি সেটি পারেননি। কিন্তু তৃতীয় বলটি মাপা লেংথ থেকে উঠেছিল। অধৈর্য গাম্বি এই বলটি সরে খেলতে গিয়ে ব্যাটেই লাগাতে পারেননি!
চট্টগ্রাম থেকে আমাদের প্রতিনিধি মোহাম্মদ জুবাইর জানিয়েছেন, জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে হঠাৎ করেই মেঘের ঘনঘটা। বাতাসও বেড়েছে বেশ। বৃষ্টি নামার আগে আবহাওয়ার যেমন পরিস্থিতি তৈরি হয় আরকি!
জিম্বাবুয়ে: ৪ ওভারে ১ উইকেটে ১৫
প্রথম টি–টোয়েন্টির ম্যাচসেরা তাসকিন আহমেদকে চতুর্থ ওভারে আক্রমণে এনেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন। তাঁর চতুর্থ বলে ইনিংসে প্রথম চারের দেখা পেল জিম্বাবুয়ে। তবে সেটি ব্যাট থেকে নয়। লেগ স্টাম্পের বলটি গাম্বির প্যাডে লেগে ফাইন লেগ দিয়ে চার হয়।
ওভারে তাসকিনের শেষ বলটি মারুমানি অনসাইডে খেলতে গিয়ে ব্যাটে পাননি। এলবিডব্লুর আবেদন করেছে বাংলাদেশ। মাঠের আম্পায়ার সাড়া না দেওয়ায় রিভিউ নেন অধিনায়ক নাজমুল এবং আউট!
৪ বলে ২ রানে আউট হলেন মারুমানি। ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান ক্রেগ আরভিন।
জিম্বাবুয়ে: ৬ ওভারে ১ উইকেটে ২২
পাওয়ার প্লে–র শেষ ওভারে পেসার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকে আক্রমণে এনেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন। বল এখনো পুরোনো হয়নি, সাইফউদ্দিনও সুইং পেয়েছেন।
নিজের প্রথম ওভারে ৪ রান দিয়েছেন সাইফউদ্দিন। ২৫ বলে ১১ রানে অপরাজিত গাম্বি। ৭ বলে ৩ রানে অন্য প্রান্তে আরভিন।
জিম্বাবুয়ের ইনিংসে পাওয়ার প্লে–র ৬ ওভারে ব্যাটে কোনো বাউন্ডারি নেই। একটি চার এসেছে লেগ বাই হয়ে তাসকিনের করা চতুর্থ ওভারের চতুর্থ বলে।
জিম্বাবুয়ে: ৭ ওভারে ১ উইকেটে ৩০।
জিম্বাবুয়ে: ৮ ওভারে ২ উইকেটে ৩২
টি–টোয়েন্টি ম্যাচে মাত্র ৫৮ স্ট্রাইকরেটে ব্যাট করছিলেন গাম্বি। খোলসবন্দী হওয়ায় ধৈর্যচ্যুতি ঘটাই স্বাভাবিক। ৮ম ওভারের প্রথম বলে সাইফউদ্দিনকে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে মারতে গিয়ে টাইমিংয়ে গড়বড় করেন গাম্বি। মিড অফে সহজ ক্যাচ নেন নাজমুল। রান করতে হাঁসফাঁস করায় একরকম ‘মুক্তি’ই পেলেন জিম্বাবুয়ে ওপেনার।
৩০ বলে ১৭ রানে আউট হলেন গাম্বি। ক্রিজে আরভিনের (১১ বলে ৬) নতুন সঙ্গী অধিনায়ক সিকান্দার রাজা।
কী ভাগ্য! সেই ভাগ্যে অবদান সিকান্দার রাজা, লিটন দাস এবং রিশাদেরও!
১০ম ওভারে লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনকে আক্রমণে আনা হয়। তাঁর প্রথম বলটি অফ স্টাম্পের ওপর একটু পেছনে নিরীহ ডেলিভারি ছিল। জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক রাজা ডিপ এক্সট্রা কাভারের ওপর দিয়ে ছক্কা মারতে গিয়ে ব্যাটে ঠিকমতো খেলতে পারেননি। ডাইভ দিয়ে দারুণ ক্যাচ নিয়েছেন লিটন।
৮ বলে ৩ রানে আউট রাজা।
নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে নেমেছিলেন ক্লাইভ মাদান্দে। রাজা আউট হওয়ার এক বল পরই রিশাদের বেশ ভালো এক ডেলিভারিতে মাদান্দেও (২ বলে ০) আউট! তাঁর ফুল লেংথের বল একটু টার্ন করায় মাদান্দে পুরোপুরি ব্যাটে খেলতে পারেননি। স্লিপে সহজ ক্যাচ নেন তানজিদ।
জিম্বাবুয়ে: ১০ ওভারে ৪ উইকেটে ৩৮।
প্রথম ম্যাচে ১০ ওভার শেষে ৭ উইকেটে ৪৯ তুলেছিল জিম্বাবুয়ে।
জিম্বাবুয়ে: ১১ ওভার শেষে ৫ উইকেটে ৪৫ রান।
১০ম ওভারে রিশাদ জোড়া উইকেট পাওয়ার পর ১১তম ওভারে স্পিনার মেহেদীর প্রথম বলে রিভার্স সুইপে চার মারেন আরভিন। তাঁর বোধ হয় লোভ হয়েছিল। কিন্তু লোভে পাপ, পাপে আউটও হয়! পরের বলে আবারও রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে ডিপ এক্সট্রা কাভারে লিটনকে ক্যাচ দেন আরভিন। ১৬ বলে ১৩ রানে আউট হলেন আরভিন।
৮ বলের ব্যবধানে পড়ল ৩ উইকেট, যোগ হলো ৬ রান।
ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান অভিষিক্ত ক্যাম্পবেল। তাঁকে এই ওভারের পঞ্চম বলে ‘জীবন’ দিয়েছেন বাংলাদেশের ফিল্ডাররা। স্কয়ার লেগ অঞ্চলে আকাশে তোলা ক্যাচ মিস হয়েছে।
জিম্বাবুয়ে: ১৪ ওভারে ৫ উইকেটে ৭৩ রান।
শরীফুল যেন মজা পেয়ে গেছেন!
নিজের তৃতীয় ওভারেও ব্যাটসম্যানের সামনে থেকে বল তুলছেন শরীফুল। হয়তো ব্যাটসম্যানকে পুল–হুক খেলতে প্রলুব্ধ করছেন। ক্যাম্পবেল সেই লোভে হুক করতে গিয়ে উইকেটকিপারের পেছন দিয়ে ভাগ্যক্রমে একটি চার পেয়েছেন।
ওভারের শেষ বলটা শরীফুল পায়ের ওপর করায় টেনে লেগ সাইড দিয়ে ছক্কা মারেন ক্যাম্পবেল। জিম্বাবুয়ের ইনিংসে প্রথম ছক্কা! এই ওভারে উঠেছে ৮ রান।
ক্যাম্পবেলের ব্যাটিংয়ের সঙ্গে কি জিম্বাবুয়ের সাবেক ওপেনার নিল জনসনের ব্যাটিংয়ের মিল পান?
ক্যাম্পবেলের বাবা অ্যালিস্টার ক্যাম্পবেল জিম্বাবুয়ের সাবেক অধিনায়ক ও দারুণ ব্যাটসম্যান ছিলেন। জনসন ছিলেন অ্যালিস্টার ক্যাম্পবেলের সতীর্থ।
জিম্বাবুয়ে: ১৬ ওভারে ৫ উইকেটে ৯১ রান।
১৪তম ওভারে এসেছে ৭ রান। এর মধ্যে মেহেদী হাসানকে একটি চার মেরেছেন ক্যাম্পবেল।
১৫তম ওভারে এসেছে ৮ রান। এই ওভারে তাসকিনকে পুল করে দর্শনীয় ছক্কা মেরেছেন বেনেট।
১৬তম ওভারে এসেছে ১৪ রান। এই ওভারে রিশাদকে লং অন দিয়ে ছক্কা ও ফাইন লেগ দিয়ে চার মেরেছেন ক্যাম্পবেল।
জিম্বাবুয়ে: ১৮ ওভার শেষে ৬ উইকেটে ১১৭
জিম্বাবুয়ে ১৭ ওভার শেষে তুলেছিল ৫ উইকেটে ১০৮ রান। সাইফউদ্দিনের করা ১৭তম ওভারেও একটি চার ও ছক্কা মারেন ক্যাম্পবেল।
শরীফুলের করা ১৮তম ওভারের প্রথম বলেই স্ট্রেট দিয়ে ছক্কা মারেন বেনেট। কিন্তু এক বল পরই ক্যাম্পবেল আউট!
শরীফুলকে ছক্কা মারতে গিয়ে মিড উইকেটে ক্যাচ দেন ক্যাম্পবেল। ৩ ছক্কা ও ৪ চারে ২৪ বলে ৪৫ রানের দারুণ ইনিংস খেললেন ক্যাম্পবেল।
জিম্বাবুয়ে: ১৯ ওভারে ৭ উইকেটে ১২০ রান।
১৯তম ওভারের চতুর্থ বলে তাসকিনকে টেনে স্ট্রেট দিয়ে ছক্কা মারতে গিয়ে তাওহিদ হৃদয়কে ক্যাচ দেন লুক জঙ্গুয়ে (৩ বলে ২)।
ক্রিজে ব্যাট করছেন বেনেট ও এনদোলোভু।
এই ওভারে মাত্র ৩ রান দিয়েছেন তাসকিন। তাঁর বোলিং বিশ্লেষণ ৪–০–১৮–২।
শেষ ওভারটি করলেন সাইফউদ্দিন। এই ওভারে বেনেট ও এনদোলোভু মিলে তাঁর কাছ থেকে দুটি চার, একটি বিশাল ছক্কাসহ (৯১ মিটার) মোট ১৮ রান আদায় করে নেন।
২৯ বলে ৪৪ রানে অপরাজিত বেনেট। শেষ ওভারে বিশাল ছক্কাটা তিনি–ই মেরেছেন। ৩ ছক্কা ও ২ চারে ইনিংসটি সাজালেন তিনি। ৪ বলে ৫ রানে অপরাজিত এনদোলোভু।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে আগে ব্যাট করে ১২৪ রান তুলেছিল জিম্বাবুয়ে। আজ দ্বিতীয় ম্যাচেও আগে ব্যাট করে আরেকটু ভালো করল জিম্বাবুয়ে। আর এর পেছনে আছে শেষ ১০ ওভারে জিম্বাবুয়ের আক্রমণাত্বক ব্যাটিং।
প্রথম ১০ ওভারে ৪ উইকেটে ৩৮ রান তুলেছিল জিম্বাবুয়ে। পরের ১০ ওভারে জিম্বাবুয়ে ৩ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ১০০ রান! এর মধ্যে শেষ ৫ ওভারে উঠেছে ৫৭ রান। শেষটা ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশের বোলাররা।
মূল কাজটা করেছেন বেনেট ও ক্যাম্পবেল জুটি।
ষষ্ঠ উইকেটে ৪৩ বলে ৭৩ রান তুলেছেন দুজন। এর মধ্যে ক্যাম্পবেলের অবদান ২৪ বলে ৪৫। বেনেটের ১৯ বলে ২৭।
৫১টি ‘ডট’ খেলেছে জিম্বাবুয়ে।
জিম্বাবুয়ের হয়ে
জিম্বাবুয়ে: ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৩৮ (ক্যাম্পবেল ৪৫, বেনেট ৪৪*, গাম্বি ১৭, আরভিন ১৩, রাজা ৩, এনদোলোভু ৫*; শরীফুল ১/২৬, মেহেদী ১/১৮, তাসকিন ২/১৮, সাইফউদ্দিন ১/৩৭, রিশাদ ২/৩৩)।
বাংলাদেশ: ১ ওভারে বিনা উইকেটে ৯ রান।
রিচার্ড এনগারাভার করা প্রথম ওভারে দেখেশুনে খেলেছে বাংলাদেশ। দুই ওপেনারের মধ্যে লিটন ফাইন লেগ দিয়ে একটি চারও মেরেছেন।
বাংলাদেশ: ২ ওভারে বিনা উইকেটে ১৮
মুজারাবানির করা দ্বিতীয় বলে স্কুপ করে উইকেটকিপারের মাথার ওপর দিয়ে ছক্কা মারেন লিটন। ওভারের বাকি বলগুলো দেখে শুনে খেলেছেন দুই ওপেনার।
লিটন ৭ বলে ১৩ রানে ব্যাট করছেন। তানজিদ ৫ বলে ৩ রানে অপরাজিত।
বাংলাদেশ: ৪ ওভারে বিনা উইকেটে ৩২
এনগারাভার করা তৃতীয় ওভারের চতুর্থ বলটি দর্শনীয় পুলে মিড উইকেট দিয়ে চার মারেন লিটন। দীর্ঘদিন ধরে বাজে ফর্ম কাটানোর ইঙ্গিত কি দিচ্ছেন? সময় হলেই তা বোঝা যাবে।
চতুর্থ ওভারে আক্রমণে স্পিনার এনদোলোভু। তাঁর প্রথম বলটিই টেনে মিড উইকেট দিয়ে ছক্কা মারেন তানজিদ। এই ওভারে উঠেছে ৯ রান।
লিটন ১২ বলে ১৮ রানে অপরাজিত। তানজিদ ১২ বলে ১২ রানে অন্য প্রান্তে ব্যাট করছেন।
প্রথম ম্যাচের মতো দ্বিতীয় ম্যাচেও হানা দিল বৃষ্টি।
চট্টগ্রাম থেকে আমাদের প্রতিনিধি মোহাম্মদ জুবাইর জানিয়েছেন, জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। মাঠ কাভারে ঢাকা।
ডি/এল নিয়মে ৬ রানে এগিয়ে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ ৫.১ ওভারে বিনা উইকেটে ৩৪।
লিটন ১৫ বলে ১৮ রানে অপরাজিত। তানজিদ অন্য প্রান্তে ১৬ বলে ১৩ রানে অপরাজিত।
চট্টগ্রাম থেকে আমাদের প্রতিনিধি মোহাম্মদ জুবাইর জানিয়েছেন, বৃষ্টি থেমেছে। মাঠ থেকে কাভার তোলা হয়েছে। খেলা পুনরায় শুরু হচ্ছে।
বাংলাদেশ ৫.১ ওভারে বিনা উইকেটে ৩৪।
বাংলাদেশ: ৬ ওভারে ১ উইকেটে ৪১
বৃষ্টি থামার পর খেলাও শুরু হলো, তানজিদও চার মেরে আউট!
এনদোলোভুর চতুর্থ বলে স্ট্রেট দিয়ে দর্শনীয় চার মারেন তানজিদ। পরের বলেই এনদোলোভুকে তুলে মারতে লেগে বেনেটের দারুণ ক্যাচের শিকার হন তানজিদ। ১ ছক্কা ও ১ চারে ১৯ বলে ১৮ রানে আউট হলেন তানজিদ।
ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন।
৯ম ওভারের প্রথম বলে সিকান্দার রাজাকে স্ট্রেট দিয়ে বিশাল ছক্বা মারেন নাজমুল। পরের বলে রিভার্স সুইপে চার। এর মধ্যে হালকা বৃষ্টিও শুরু হয়েছিল। মাঠকর্মীরা পড়িমড়ি করে কাভার নিয়ে মাঠে ঢুকতেই থেমেছে বৃষ্টি। মাঠকর্মীরা তখন কিংকতর্ব্যবিমুঢ়! যাই হোক, বৃষ্টিতে আপাতত খেলা বন্ধ।
কয়েক মিনিট পরই বৃষ্টি উধাও। খেলা আবার শুরু।
বাংলাদেশ: ৮.২ ওভারে ১ উইকেটে ৫৬।
লিটন ২১ বলে ২১ রানে অপরাজিত। নাজমুল ১০ বলে ১৩ রানে অপরাজিত।
৯ম ওভারের চতুর্থ বলে স্ট্রেটে তুলে মেরেছিলেন লিটন। তাঁর ক্যাচটা নিতে পারেননি ফিল্ডার লুক জঙ্গুয়ে।
বাংলাদেশ: ৯ ওভার শেষে ১ উইকেটে ৫৯ রান।
১০ম ওভারের তৃতীয় বলে লুক জঙ্গুয়েকে তুলে মারার চেষ্টা করেছিলেন নাজমুল। বলটা যেখানে (লং অফ) খেলতে চেয়েছিলেন সেদিকে ব্যাট ধরে রাখতে পারেননি। ব্যাট একটু ঘুরে গিয়েছিল। বদলি ফিল্ডার রায়ান বার্ল লং অনে তাঁর ক্যাচ নেন।
বাজে শট খেলে ১৫ বলে ১৬ রানে আউট হলেন নাজমুল। ক্রিজে লিটনের নতুন সঙ্গী তাওহিদ হৃদয়।
জঙ্গুয়ের করা ১০ম ওভারের শেষ বলটি স্লোয়ার এবং বেরিয়ে যাচ্ছিল। লিটন তুলে মারতে গিয়ে ঠিকমতো ব্যাটে পাননি। বল তাঁর ব্যাটের কানায় লেগে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে জোনাথন ক্যাম্পবেলের ব্যাটে জমা পড়ে।
বাংলাদেশ: ১০ ওভারে ৩ উইকেটে ৬২।
ক্রিজে ১ বলে ১ রানে অপরাজিত তাওহিদ হৃদয়।
চট্টগ্রাম থেকে আমাদের প্রতিনিধি মোহাম্মদ জুবাইর জানিয়েছেন, ডি/এল নিয়মে এই মুহূর্তে ৩ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ।
বৃষ্টি থামার পর খেলা পুনরায় শুরু হয়েছে।
জাকের আলী ও তাওহিদ হৃদয় মিলে জুটি গড়ার চেষ্টা করছেন।
বাংলাদেশ: ১৩ ওভারে ৩ উইকেটে ৯১ রান।
জয়ের জন্য ৪২ বলে ৪৮ রান প্রয়োজন বাংলাদেশের।
জাকের ৮ বলে ১২*, হৃদয় ১১ বলে ১৫*। ১৮ বলে অবিচ্ছিন্ন ২৯ রানের জুটি গড়েছেন দুজন।
১৪তম ওভারে এনগারাভা পঞ্চম বলটি করার আগেই একটু সরে গিয়েছিলেন জাকের আলী। অফসাইডে খেলতে হয়তো জায়গা করে নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ব্যাটেই খেলতে পারেননি। বোল্ড! আউটটি একটু অদ্ভুতই।
১২ বলে ১৩ রান করে আউট হলেন জাকের। এর মধ্য দিয়ে ভাঙল হৃদয়ের সঙ্গে তাঁর ২৩ বলে ৩১ রানের জুটি।
বাংলাদেশ: ১৪ ওভারে ৪ উইকেটে ৯৪ রান।
ছয়ে নেমেছেন মাহমুদউল্লাহ। জয়ের জন্য ৩৬ বলে ৪৫ রান দরকার বাংলাদেশের।
সহজ লক্ষ্য। ক্রিজে তাওহিদ হৃদয় এবং মাহমুদউল্লাহ।
এনদোলভুর করা ১৫তম ওভারে ৯ রান তুলেছে বাংলাদেশ। একটি চার মেরেছেন হৃদয়।
মাহমুদউল্লাহ ৫ বলে ৫ এবং হৃদয় ১৪ বলে ২১ রানে অপরাজিত।
১৬তম ওভারে মাত্র ৩ রান দিয়েছেন জিম্বাবুয়ে পেসার মুজারাবানি।
জয়ের জন্য ২৪ বলে ৩৩ রান দরকার বাংলাদেশের।
বাংলাদেশ: ১৬ ওভারে ৪ উইকেটে ১০৬ রান।
লুক জঙ্গুয়ের করা ১৭তম ওভারের তৃতীয় বলে স্কয়ার লেগের ওপর দিয়ে বিশাল ছক্কা মেরেছেন হৃদয়।
এই ওভারের পঞ্চম বলে ফাইন লেগ দিয়ে চার মেরেছেন মাহমুদউল্লাহ।
ওভারের শেষ ডেলিভারিটি ছিল ‘নো’—এখান থেকে আবার ২টি রানও দৌড়ে নিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ ও হৃদয়। অর্থাৎ এই ডেলিভারি থেকে উঠেছে ৩ রান।
অর্থাৎ, এই ওভার থেকে উঠল মোট ১৬ রান।
জয়ের জন্য ১৮ বলে ১৭ রান দরকার বাংলাদেশের।
বাংলাদেশ: ১৭ ওভারে ৪ উইকেটে ১২২ রান।
বল একদম মাঠের বাইরে!
১৮তম ওভারে এনগারাভার প্রথম বলটি পুল করে স্কয়ার লেগের ওপর দিয়ে বিশাল ছক্কা মারেন মাহমুদউল্লাহ। বল মাঠের বাইরে চলে গিয়েছে!
একই ওভারের পঞ্চম বলে ফাইন লেগের ওপর দিয়ে বিশাল ছক্বা মারেন হৃদয়।
বাংলাদেশ: ১৮ ওভারে ৪ উইকেটে ১৩৭ রান। জয়ের জন্য ১২ বলে চাই ২ রান।
৯ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটে জিতল বাংলাদেশ।
১৯তম ওভারের তৃতীয় বলে কাভার দিয়ে চার মেরে জেতালেন মাহমুদউল্লাহ।
মাহমুদউল্লাহ ও হৃদয়ের পঞ্চম উইকেটে ২৯ বলে অবিচ্ছিন্ন ৪৯ রানের জুটি এই জয়ের ‘নিউক্লিয়াস।’ এই জুটিতে মাহমুদউল্লাহর অবদান ১৬ বলে ২৬। হৃদয় ১৩ বলে ২১।
২ ছক্কা ও ৩ চারে ২৫ বলে ৩৭ রানে অপরাজিত ছিলেন হৃদয়। ১ ছক্কা ও ২ চারে ১৬ বলে ২৬ রানে অপরাজিত ছিলেন মাহমুদউল্লাহ।
ছোট ছোট চারটি জুটি বাংলাদেশের এই জয়ে ভূমিকা রেখেছে। ওপেনিংয়ে ৩৫ বলে ৪১ রানের জুটি গড়েন লিটন ও তানজিদ। দ্বিতীয় উইকেটে লিটন ও নাজমুল ২২ বলে ২০ রানের জুটি গড়েন। চতুর্থ উইকেটে ২৩ বলে ৩১ রানের জুটি গড়েন জাকের ও হৃদয়। এরপর পঞ্চম উইকেটে পঞ্চাশ ছুঁইছুঁই জুটিতে ম্যাচই জেতালেন হৃদয় ও মাহমুদউল্লাহ।
এই জয়ে পাঁচ ম্যাচের টি–টোয়েন্টি সিরিজে ২–০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার চট্টগ্রামে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচ।
জিম্বাবুয়ে: ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৩৮ (ক্যাম্পবেল ৪৫, বেনেট ৪৪*, গাম্বি ১৭, আরভিন ১৩, রাজা ৩, এনদোলোভু ৫*; শরীফুল ১/২৬, মেহেদী ১/১৮, তাসকিন ২/১৮, সাইফউদ্দিন ১/৩৭, রিশাদ ২/৩৩)।
বাংলাদেশ: ১৮.৩ ওভারে ১৪২/৪ (হৃদয় ৩৭*, মাহমুদউল্লাহ ২৬*, লিটন ২৩, তানজিদ ১৮, নাজমুল ১৬, জাকের ১৩; জঙ্গুয়ে ২/৩৫, এনদোলোভু ১/২৫, এনগারাভা ১/৩২)।
ফল: বাংলাদেশ ৬ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচসেরা: তাওহিদ হৃদয়।