সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম ও তামিম ইকবাল
সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম ও তামিম ইকবাল

১৮ বছর পর সাকিব–তামিম–মুশফিককে ছাড়া ওয়ানডে খেলছে বাংলাদেশ

তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম—বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপের স্তম্ভ হয়ে ছিলেন লম্বা সময়। আজ শারজায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডের একাদশে নেই তিনজনের একজনও। সাকিব ও তামিম তো আগে থেকেই দলে নেই। প্রথম ওয়ানডেতে কিপিংয়ের সময় হাতের আঙুল ভেঙে যাওয়ায় এই সিরিজ থেকে ছিটকে পড়েছেন মুশফিক।

সাকিব, মুশফিক বা তামিমের একজনও ওয়ানডে দলে নেই—এই তিনজন খেলতে শুরু করার পর থেকে এমন ঘটনা বিরলই। বাংলাদেশের টানা ৩১০টি ওয়ানডে ম্যাচে এঁদের কেউ না কেউ দলে ছিলেনই। সময়ের হিসাবে ১৮ বছরেরও বেশি সময় পর এই তিনজনকে ছাড়া আজই প্রথম ওয়ানডে খেলতে নেমেছে বাংলাদেশ দল। এমন ঘটনা সর্বশেষ ঘটেছে ২০০৬ সালের ৪ আগস্ট, সাকিব ও মুশফিকের ওয়ানডে অভিষেকের ঠিক আগের ম্যাচে।

২০০৬ সালে পাঁচ ওয়ানডের সিরিজ খেলতে জিম্বাবুয়েতে গিয়েছিল বাংলাদেশ দল। সেই সিরিজের চতুর্থ ম্যাচটি হয় ৪ আগস্ট, স্কোয়াডে থাকলেও সেই ম্যাচের একাদশে জায়গা পাননি সাকিব–মুশফিকের কেউ। পরে হারারেতে সিরিজের পঞ্চম ও শেষ ম্যাচে সাকিব ও মুশফিকের ওয়ানডে অভিষেক হয় একসঙ্গে।  

তিনজনের মধ্যে এ দুজনেরই ওয়ানডে অভিষেক আগে হয়েছে। তাঁদের দুজনের অভিষেক থেকে শারজায় এই সিরিজের প্রথম ম্যাচ পর্যন্ত খেলা বাংলাদেশের ৩১০টি ওয়ানডেতে তিনজনের কেউ না কেউ খেলেছেন। তামিম ইকবালের ওয়ানডে অভিষেক ২০০৭ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি, হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই।

তামিমের অভিষেকের পর বাংলাদেশের এই সিরিজের প্রথম ওয়ানডে পর্যন্ত যে ৩১০টি ম্যাচ খেলেছে, এর মধ্যে ১৮০টিতে তামিম, সাকিব ও মুশফিক একসঙ্গে খেলেছেন।