ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট নিয়ে আইসিসির ভূমিকায় সন্তুষ্ট নয় বোর্ড
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট নিয়ে আইসিসির ভূমিকায় সন্তুষ্ট নয় বোর্ড

আইসিসির বিরুদ্ধে ‘ষড়যন্ত্রে’র অভিযোগ ওয়েস্ট ইন্ডিজের

আইসিসি ও প্রভাবশালী ক্রিকেট খেলুড়ে দেশগুলোর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজের (সিডব্লুআই) প্রধান নির্বাহী জনি গ্রেভ। তিনি বলেছেন, ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও বড় দলগুলো সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে যাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর কখনো শক্তিশালী দল হয়ে উঠতে না পারে।

গ্রেভ অভিযোগটি করেছেন এমন সময়ে, যার কয়েক সপ্তাহ আগে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ২৭ বছর পর টেস্ট জিতেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এর আগে গত বছর বাছাইপর্ব উতরাতে না পারায় প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলতে পারেনি দুবারের চ্যাম্পিয়নরা।

উইজডেন ক্রিকেট মান্থলির পডকাস্টে ডেনিয়েল গ্যালানের সঙ্গে আলাপে গ্রেভ বলেন, ‘সবাই একটা কথা খুব করে বলে যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শক্তিশালী ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দরকার। কিন্তু আমরা যেটা অনুভব করি, সেটা হচ্ছে, বিশ্ব ক্রিকেট তাদের সব রকম চেষ্টা করছে যাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর কখনোই শক্তিশালী হতে না পারে।’

ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রধান নির্বাহী জনি গ্রেভ

ঠিক কীভাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে আর শক্তিশালী না করার চেষ্টা চলছে, তারও ব্যাখ্যা দিয়েছেন গ্রেভ। এ ক্ষেত্রে আইসিসি কর্তৃক সদস্য বোর্ডগুলোর জন্য নির্ধারণ করা লভ্যাংশ ভাগাভাগিকেই ‘মূল অস্ত্র’ মনে করছেন ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রধান নির্বাহী, ‘আইসিসি যদি শক্তিশালী ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলই চায়, তাহলে আমাদের কথা ভাবত। আইসিসি শুধু কাগজে–কলমেই আমাদের বেশি টাকা দিচ্ছে। কিন্তু আমাদের অর্থপ্রদানের হার কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। গত চক্রেও আমরা ৭ শতাংশ করে পেতাম, এখন সেটা ৫ শতাংশে নেমে এসেছে।’

গত বছরের জুলাইয়ে ক্রিকইনফোর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৪–২৭ চক্রে মোট ৬০ কোটি মার্কিন ডলার আয়ের প্রাক্কলন করেছে আইসিসি। এর মধ্যে ২৩ কোটি ১০ লাখ বা ৩৮.৫ শতাংশই পাবে ভারত। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬.৮৯ শতাংশ পাবে ইংল্যান্ড। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ভাগের অংশ ৪.৫৮ শতাংশ।

আর কোনো দেশের ক্রিকেট বোর্ড ১০ শতাংশও পাবে না। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড পাবে ৪.৪৬ শতাংশ। অর্থের অঙ্কে যা ২ কোটি ৬৭ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৯০ কোটি টাকা।

ক্যারিবীয় অঞ্চলের ক্রিকেটকে শক্তিশালী করতে অর্থের পরিমাণ বাড়াতে হবে উল্লেখ করে ক্রিকেট–সম্প্রদায়ের বৈষম্যের বিষয়টিও তুলে ধরেছেন গ্রেভ, ‘আমরা যদি সবাই শুধু নিজেদের দিকেই তাকাই, তাহলে কি এটা বলা যায় যে আমরা একটা কমিউনিটি হিসেবে কাজ করছি? আমরা কি মাঠে সেরা পণ্যটিই পাঠাচ্ছি?’