বিশ্বকাপের থিম সংয়ে বাংলায় ‘জোশ’ বানান ভুল দেখানো হয়েছে
বিশ্বকাপের থিম সংয়ে বাংলায় ‘জোশ’ বানান ভুল দেখানো হয়েছে

বিশ্বকাপের থিম সং নিয়ে এত সমালোচনা কেন

এক যুগ পর আবারও ওয়ানডে বিশ্বকাপ আয়োজন করতে যাচ্ছে ভারত। ক্রিকেট মহাযজ্ঞ শুরু হতে বাকি মাত্র দুই সপ্তাহ।

ভারতে যেহেতু বিশ্বকাপ, বলিউডের ছোঁয়া তো থাকবেই। বিশ্বকাপের প্রোমোর পর থিম সংয়েও ক্রিকেট আর বলিউড মিলেমিশে একাকার।

শাহরুখ খানকে দিয়ে করানো বিশ্বকাপের প্রচারাভিযানের নাম দেওয়া হয়েছিল ‘ইট টেকস ওয়ানডে’। আর আজ দুপুরে মুক্তি পেয়েছে থিম সং ‘দিল জশন বোলে’; যার বাংলা অর্থ ‘হৃদয় উদ্‌যাপন করে’। থিম সংয়ের ভিডিওতে যে ট্রেনের দেখা মিলেছে, সেটির নাম ‘ওয়ানডে এক্সপ্রেস’।

আইসিসি উন্মুক্ত করা ৩ মিনিট ২১ সেকেন্ডের থিম সং ভিডিওতে দেখা গেছে, বলিউড তারকা রণবীর সিং ‘ওয়ানডে এক্সপ্রেসে’ চড়ে যাত্রীদের সঙ্গে হইহুল্লোড়ে মেতে উঠেছেন ও মাইকিং করে তাঁদের প্রাণবন্ত করার চেষ্টা করছেন। এরপর সবাই তাঁর সঙ্গে নাচতে ও গাইতে শুরু করেন।

থিম সংটি লিখেছেন স্লোকে লাল এবং সাভেরি বর্মা। সংগীত পরিচালনা করেছেন প্রীতম। তাঁর সঙ্গে গানটি গেয়েছেন নাকাশ আজিজ, শ্রীরাম চন্দ্র, অমিত মিশ্র, জোনিতা গান্ধী, আকাশ ও চরণ।

ভিডিওর একটি অংশে প্রীতমকে তাঁর ব্যান্ড দল নিয়ে ট্রেনের ছাদে গান করতে দেখা যায়। রণবীরও সেখানে যোগ দেন। ভারতীয় স্পিনার যুজবেন্দ্র চাহালের স্ত্রী ধনশ্রী বর্মাও আছেন এই থিম সংয়ে। নৃত্য পরিকল্পনাকার ধনশ্রীকে রণবীরের সঙ্গে নাচতে দেখা গেছে। অনেকে মজা করে লিখেছেন, চাহাল বিশ্বকাপে (দলে) নেই, কিন্তু চাহালের স্ত্রী (থিম সংয়ে) আছেন।

বিশ্বকাপের থিম সং মুক্তি পাওয়ায় টুর্নামেন্ট ঘিরে আলোচনা স্বাভাবিকভাবেই বেড়েছে। তবে গানটি এখন পর্যন্ত জনপ্রিয়তা পাওয়ার চেয়ে সমালোচিতই হচ্ছে বেশি।

বাঙালিরা একটি ভুল খুঁজে বের করেছেন। ভুলটা যে বাংলা ভাষাসংক্রান্ত! ওয়ানডে এক্সপ্রেস ট্রেনের ভেতর এলইডি ডিসপ্লেতে ‘জোশ’ শব্দটি বিভিন্ন ভাষায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। কিন্তু ডিসপ্লেতে বাংলায় ‘জোশ’-এর বদলে লেখা হয়েছে ‘জাশ’! তা ছাড়া জোশ মূলত একটি হিন্দি শব্দ। বাংলায় যার অর্থ উদ্দীপনা, উৎসাহ বা উত্তপ্ত-ভাব।

ফেসবুক-টুইটারসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে থিম সংয়ের যে ভিডিওটি আইসিসি প্রকাশ করেছে, সেখানে নেতিবাচক মন্তব্যই বেশি। লন্ডনভিত্তিক কৌতুক অভিনেতা সালমান মালিক যেমন লিখেছেন, ‘এর চেয়ে পিসিএলের গান ভালো।’

অনেকে ‘দিল জশন বোলে’র চেয়ে ২০১১ বিশ্বকাপের থিম সং ‘দে ঘুমাকে’কে (বাংলা অর্থ মার ঘুরিয়ে) সেরা দাবি করেছেন। কেউ কেউ লিখেছেন, ‘প্রীতমের মতো সুরকারের কাছে এমন গান আশা করিনি। সে হতাশ করেছে।’ কারও কারও চোখে গানটা ‘থার্ড ক্লাস’ বা ‘জঘন্য’।

একজন আবার মজা করে লিখেছেন, ‘গানটি শুধু আইসিসি ও বিসিসিআইয়ের কার্যালয়ে বাজান। জনসমক্ষে আনা থেকে বিরত থাকুন।’ আরেকজন টুইটারে লিখেছেন, ‘এটা ২০২৩ বিশ্বকাপের থিম সং নাকি কোলগেট ম্যাক্স ফ্রেশের (টুথপেস্ট) বিজ্ঞাপন, পার্থক্য খুঁজে বের করা কঠিন। কী বানিয়েছে কিছুই বুঝলাম না।’

এর আগে কোলগেট টুথপেস্টের একটি বিজ্ঞাপনে রেলস্টেশনের প্ল্যাটফর্ম ও ট্রেনেই অভিনয় করেছিলেন রণবীর। ওই টুইটার ব্যবহারকারী সেটাই বোঝাতে চেয়েছেন।