বিপিএলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের শুরুটা ভিক্টোরিয়ানসের মতো হয়নি। গতবারের চ্যাম্পিয়নরা প্রথম তিন ম্যাচের তিনটিতেই হেরেছে। দলের তারকা ব্যাটসম্যানরা রান পাচ্ছিলেন না। প্রধান কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন এডিআরএসের সমালোচনা করে শাস্তি পেয়েছেন। দলের মূল বোলার মোস্তাফিজুর রহমান হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে ভুগছেন।
কুমিল্লার সবকিছুতেই যেন শনির দশা!
এত কিছুর পর আজ এল স্বস্তির প্রথম জয়। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ১৩৫ রানে থামিয়ে ১৫ বল বাকি থাকতেই তাড়া করে জিতেছে তিনবারের চ্যাম্পিয়নরা। কুমিল্লার ৬ উইকেটে জয়ের দিন রানে ফিরেছেন লিটন দাস। ২২ বলে ৪০ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেন। ৪টি চার ও ৩টি ছক্কা ছিল লিটনের ইনিংসে। পাকিস্তানের তারকা মোহাম্মদ রিজওয়ান অপরাজিত ছিলেন ৩৫ বলে ৩৭ রানে।
লিটনের ঝড়ের মতো চট্টগ্রামের ইনিংসের শুরুটাও হয়েছিল আফিফ হোসেনের ব্যাটে। ৬টি চারে ২১ বলে ২৯ রান করেন আফিফ। আউট হলেও আফিফ চট্টগ্রামের ইনিংসের উড়ন্ত সূচনা এনে দেন। আফিফের গড়ে দেওয়া মঞ্চটা অবশ্য কাজে লাগাতে পারেনি চট্টগ্রাম মিডল অর্ডার। কুমিল্লার তিন স্পিনার তানভীর ইসলাম, মোসাদ্দেক হোসেন ও খুশদিল শাহর বলে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসেন ইরফান ও জিয়াউররা।
তবে ডেথ ওভারের বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে অধিনায়ক শুভাগত হোম চট্টগ্রামকে লড়াই করার মতো পুঁজি এনে দিয়েছেন। ২৩ বল খেলে ৩৭ রান করে অপরাজিত ছিলেন। ৪টি চার ও ১টি ছক্কা ছিল শুভাগত ইনিংসে। তাতে ৮ উইকেটে চট্টগ্রাম ১৩৫ রান করতে সক্ষম হয়। কুমিল্লার হয়ে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন তানভীর, মোসাদ্দেক ও খুশদিল।