লক্ষ্য ৭০ রানের। শেষ দিকে ৩ বলের মধ্যে ২ উইকেট হারালেও বাংলাদেশ জিতল ৫ উইকেট ও ৬৫ বল বাকি থাকতেই। তবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে এমন দাপুটে জয়ও যথেষ্ট হলো না। নেট রানরেটে বেশ পিছিয়ে পড়া বাংলাদেশ প্রায় অসম্ভব উন্নতিটা করতে পারেনি।
টুর্নামেন্টে ৫ ম্যাচ খেলে চারটিতে জয়ের পরও অনূর্ধ্ব-১৯ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার সিক্স পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হলো দিশা বিশ্বাসের দলের। সেমিফাইনালে গ্রুপ ‘১’ থেকে উঠেছে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশ অবশ্য টুর্নামেন্ট শেষ করেছে গ্রুপ ‘১’-এ তিনে থেকেই।
গ্রুপ ‘১’-এ ভারত, অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকা—তিন দলেরই পয়েন্ট সমান ৬। পার্থক্য হলো শেষ পর্যন্ত রানরেটেই। এ ম্যাচের পর বাংলাদেশের নেট রানরেট ১.২২৬। ভারতের ২.৮৪৪, অস্ট্রেলিয়ার ২.২১০।
সমীকরণটা প্রায় অসম্ভব, বাংলাদেশ জানত সেটি। আরব আমিরাতের বিপক্ষে শুরুটা অবশ্য দুর্দান্তই হয় তাদের। টসে হেরে ফিল্ডিংয়ে নেমে প্রথম ওভারেই জোড়া আঘাত করেন পেসার মারুফা আক্তার। ৪ রানে ২ উইকেট হারানোর পর আরব আমিরাতকে একটু ধাতস্থ করেন লাবণ্য কেনি ও মাহিকা গৌর।
তৃতীয় উইকেটে দুজন মিলে যোগ করেন ৩২ রান। নবম ওভারে এসে সে জুটি ভাঙেন লেগ স্পিনার রাবেয়া খান। এক ওভার পর ইশিতা জেহরা রানআউট হয়ে ফিরলে চাপ আরও বাড়ে আরব আমিরাতের।
পঞ্চম উইকেটে কেনি ও বৈষ্ণব মহেশ যোগ করেন আরও ৩৫ রান, এবার জুটি ভাঙেন স্বর্ণা আক্তার। ৪ রান যোগ করতেই সে সময়ে ৫ উইকেট হারায় আরব আমিরাত। অধিনায়ক দিশা ছাড়া বাকি পাঁচ বোলারই পেয়েছেন উইকেটের দেখা। স্বর্ণা বোলিং শেষ করেন ৪ ওভারে মাত্র ১১ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়ে। পরে ব্যাটিংয়েও ঝড় তোলেন আরেকবার।
আফিয়া প্রত্যাশা ও মিষ্টি সাহার ওপেনিং জুটি আজ বড় হয়নি, দ্বিতীয় ওভারেই ফিরতে হয় মিষ্টিকে। প্রত্যাশা আজও ভালো শুরু করেছিলেন, তবে ৩ চারে ১৫ বলে ১৫ রান করেই থামেন। কোনো রান না করে ফেরেন সুমাইয়া আক্তারও, ২২ রানে তৃতীয় উইকেট হারিয়ে একটু চাপেই পড়ে বাংলাদেশ।
তবে আবারও এগিয়ে আসেন স্বর্ণা। রাবেয়ার সঙ্গে তাঁর চতুর্থ উইকেট জুটিতে মাত্র ২৫ বলেই ওঠে ৪৬ রান। স্বর্ণা ১৯ বলে ৩৮ রান করেন ৪ চার ও ২ ছক্কায়। ইন্ধুজা নন্দকুমারের করা ষষ্ঠ ওভারেই দুটি করে চার ও ছক্কায় স্বর্ণা তোলেন ২০ রান!
নবম ওভারে ৩ বলের মধ্যে ফেরেন স্বর্ণা ও রাবেয়া, তবে ততক্ষণে স্কোর সমান করে ফেলেছে বাংলাদেশ। দশম ওভারের প্রথম বলে চার মেরে জয় নিশ্চিত করেন উন্নতি আক্তার।