বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচে ‘টাইমড আউট’ হন ম্যাথুস
বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচে ‘টাইমড আউট’ হন ম্যাথুস

টাইমড আউট বিতর্ক : সাকিব–ম্যাথুস দুই পক্ষেই অশ্বিন

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ‘টাইমড আউট’ হয়েছেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস। এ নিয়ে আলোচনা চলছে এখনো। কেউ এর পক্ষে আবার কেউ এর বিপক্ষে। মানকাডিং আউট নিয়ে সরব ভারতের স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন দুজনেরই পক্ষে। ম্যাথুসকে যিনি আউট করেছেন, সেই সাকিবেরও কোনো দোষ দেখছেন না অশ্বিন। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে অশ্বিন এই বিষয়ে মতামত দিয়েছেন।

ঘটনাটি ঘটে ৬ নভেম্বর। দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের বিপক্ষে সেই ম্যাচে ম্যাথুস নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্রিজে আসার পর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রথম বল খেলার জন্য প্রস্তুত হতে পারেননি। সুযোগ পেয়ে আম্পায়ারদের কাছে আউটের আবেদন জানিয়ে সেটারই সদ্ব্যবহার করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব।

ম্যাথুসের ‘টাইমড আউট’ ঘিরে মাঠে যেমন উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে, মাঠের বাইরেও তৈরি হয় বিতর্ক। শ্রীলঙ্কার ইনিংস শেষে চতুর্থ আম্পায়ার আদ্রিয়ান হোল্ডস্টক এর ব্যাখ্যা দিলেও বিতর্কের রেশ থামেনি।

ভারতের বিশ্বকাপ দলের সদস্য অশ্বিন এই প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘একটা পক্ষ নিয়মের কথা বলছে আর অন্য পক্ষ ক্রিকেটীয় চেতনার কথা বলছে। যখন ম্যাথুস ব্যাট করতে আসে, তার হেলমেট ঠিক ছিল না, সে সেটা পরিবর্তন করতে চেয়েছিল। অন্য একটা ভিডিও দেখলাম শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই সাকিব মাঠে তার গার্ড নিয়ে আসতে ভুলে গিয়েছিল, তাকে সেটা নিয়ে আসার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। দুই দেশের মধ্যে একটা যুদ্ধ যুদ্ধ ভাব তৈরি হয়েছিল।’

এই ঘটনার পরদিন ক্রিকেটবিষয়ক ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফো জানায়, ব্যাট করতে ক্রিজে আসার পর ম্যাথুস জানতেন, তিনি টাইমড আউট হওয়ার ঝুঁকিতে আছেন। অশ্বিনও তাঁর কথায় সেই প্রসঙ্গে এনেছেন, ‘হ্যাঁ, সাকিব আবেদন করেছে আর আম্পায়ার আউট দিয়েছে। সম্প্রতি আরেকটা তথ্য পেলাম, ম্যাথুসকে আগে থেকেই নাকি টাইমড আউটের বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছিল। কিন্তু ম্যাথুস আউট হওয়ার পর খুবই হতাশ হয়ে পড়ে, যেটা ঠিক আছে। কারোরই এভাবে আউট হওয়া উচিত নয়। এভাবে আউট হলে সবারই মন খারাপ হবে।’

অশ্বিন যোগ করেন, ‘সাকিব আর ম্যাথুস দুজনই সঠিক। একজন নিয়ম জানত, আরেকজন চেয়েছে যেহেতু এটা হেলমেটের সমস্যা, তাই এটাকে হিসাবের বাইরে রাখা যায় কি না। যে আউট হয়েছে, ঘটনার প্রভাবটা তার ওপরই পড়েছে।’