সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন

বাংলাদেশের মানুষ ও সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চাইলেন নাজমুল, সরিও বললেন

ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়াম থেকে সেন্ট ভিনসেন্টের আর্ন ভেল, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচ থেকে আজ আফগানিস্তানের বিপক্ষে সুপার এইটের শেষ ম্যাচ—এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের গল্পটা একই রকমের। বোলাররা ভালো করেছেন, ব্যাটসম্যানরা সেই ভালোটা রক্ষা করতে পারেননিব্যর্থ হয়েছেন চরমভাবে।

এভাবে এগিয়ে যেতে যেতেও গ্রুপ পর্বে ৩টি ম্যাচ জিতে সুপার এইটে উঠেছে বাংলাদেশ। সেখানে প্রথম দুটি ম্যাচ হারার পরও আজ আফগানিস্তানের বিপক্ষে সুযোগ ছিল হিসাব মিলিয়ে সেমিফাইনালে জায়গা করে নেওয়ার। বাংলাদেশ সেই হিসাব মেলাতে পারেনি আরেকবার ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায়। ম্যাচ শেষে তাই সমর্থক আর দেশের মানুষের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন। বলেছেন, সরি।

আবারও ব্যাটিংয়ে ব্যর্থ বাংলাদেশ

টসে হেরে ফিল্ডিংয়ে নেমে আফগানিস্তানকে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১১৫ রানে আটকে ফেলেন বাংলাদেশের বোলাররা। এরপর সেমিফাইনালে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশের সামনে হিসাব দাঁড়ায় এ রকম—১২.১ ওভারে পেরোতে হবে লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য তো অর্জন করতে পারেইনি বাংলাদেশ, উল্টো হেরে গেছে ৮ রানে।

ম্যাচ শেষে নাজমুল বলেছেন, ‘পুরো টুর্নামেন্ট নিয়ে আমি বলব, আমরা সবাইকে হতাশ করেছি। আমাদের খেলা যাঁরা অনুসরণ করেন, যাঁরা আমাদের সব সময় সমর্থন করেন, তাঁদের আমরা হতাশ করেছি। পুরো দলের পক্ষ থেকে আমি তাঁদের কাছে ক্ষমা চাইছি।’

এই দায় যে ব্যাটসম্যানদের, সেটাও বলেছেন নাজমুল, ‘ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে আমরা দেশের মানুষের জন্য ভালো কিছু দিতে পারিনি। এটার জন্য আমরা দুঃখিত এবং আমরা এখান থেকে ইতিবাচক দিকগুলো নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করব। ইতিবাচক দিক, বোলাররা অনেক ভালো বোলিং করেছে। বিশেষ করে রিশাদ এত বড় একটা টুর্নামেন্টে এসে প্রায় সবগুলো ম্যাচে ভালো করেছে। তাই বেশ কিছু ইতিবাচক দিকও ছিল।’

নাজমুল এখানেই থামেননি। তিনি এরপর যোগ করেন, ‘ব্যাটিং গ্রুপ হিসেবে আমরা সমর্থকদের হতাশ করেছি। পুরো দেশের মানুষকে বলতে গেলে কষ্ট দিয়েছি। কিন্তু চেষ্টার কমতি ছিল না। সবাই চেষ্টা করেছে; কিন্তু আমরা পারিনি। এটার জন্য দলের পক্ষ থেকে আমি সরি।’