গত জুনে নিজের ব্যাটিংয়ে মনোযোগ দিতে টেস্ট অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ান মুমিনুল হক। সে মাসেই রান–খরায় থাকা মুমিনুল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেন্ট লুসিয়া টেস্টের দল থেকে বাদ পড়েন। এরপর মুমিনুল জাতীয় ক্রিকেট লিগে খেলেছেন। ‘এ’ দলের হয়ে ভারত সফরে গিয়েছেন। খেলেছেন ভারত ‘এ’ দলের বিপক্ষেও। কিন্তু কোথাও বড় রানের দেখা পাননি। মুমিনুলকে তাই ভারতের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টেও দলে রাখা হয়নি।
তবে চট্টগ্রাম টেস্টের দলে না থাকলেও রানে ফেরার জন্য যে কাজটা করা দরকার, সেটা চট্টগ্রামেই করেছেন মুমিনুল। একাদশের বাইরে থাকার সময়টা তিনি ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্সের সঙ্গে কাজ করেছেন। সেটি কাজে লাগিয়েই নাকি ভারতের বিপক্ষে মিরপুর টেস্টের প্রথম ইনিংসে মুমিনুলের ব্যাট থেকে এল ৮৪ রানের ঝলমলে ইনিংস। স্বস্তির ফিফটির জন্য মুমিনুলকে ১২ ইনিংস অপেক্ষা করতে হয়েছে। সেটাও নাকি টি-টোয়েন্টির সৌজন্যে।
ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্স আজ দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে জানালেন সে কথা, ‘আমরা তাকে একদম ছেড়ে দিয়েছি। ব্যাটিং উপভোগ করার সুযোগ করে দিয়েছি। চট্টগ্রামে গত সপ্তাহে তার সঙ্গে অনেকটা টি-টোয়েন্টি মানসিকতা নিয়ে ব্যাটিং করেছে। সেটা তাকে সাহায্য করেছে কি না, কে জানে। তবে আজ সে ক্রিজে এসে শট খেলেছে, সাফল্য পেয়েছে। এটা হতাশার যে ইনিংসটি সেঞ্চুরি হয়নি।’
প্রথম টেস্টে কেন মুমিনুলকে খেলানো হয়নি, সে প্রশ্নও উঠেছে। সিডন্স অবশ্য এ ব্যাপারে কোনো সরাসরি উত্তর দেননি, ‘সিদ্ধান্তটা নির্বাচকদের। কিন্তু মুমিনুল আমার সঙ্গে “এ” দলের দুটি ম্যাচ খেলেছে। সেখানে ১০ রানও করেনি ৪ ইনিংসে। আমরা তাকে বিশ্রাম দিতে চেয়েছি।’
টেস্ট দলে মুমিনুলের প্রত্যাবর্তনটা হয়েছে ৩ নম্বর ব্যাটসম্যান হিসেবে। ২০১৯ সালের পর এই প্রথম কোনো টেস্টের প্রথম ইনিংসে তিনে ব্যাটিং করলেন এই বাঁহাতি। এ প্রসঙ্গে সিডন্সের ব্যাখ্যা, ‘চট্টগ্রামে তার সঙ্গে কিছু বিষয় নিয়ে কাজ করেছি। তাকে কিছু সময় দেওয়া হয়েছে ছন্দে ফেরার জন্য। সে যেন ব্যর্থতাগুলো ভুলে ঘুরে দাঁড়াতে পারে, সে চেষ্টা করেছি। আমাদের ৩ নম্বর পজিশন নিয়েও ভাবতে হচ্ছিল। সেটা কাজেও দিয়েছে। সে দারুণ খেলেছে।’