৬৫ বলে ১১৬ রানের ইনিংস খেললেন তানজিদ
৬৫ বলে ১১৬ রানের ইনিংস খেললেন তানজিদ

তানজিদ তামিমের ব্যাট থেকে এবারের বিপিএলের সর্বোচ্চ ইনিংস

২০২০ সালে বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব–১৯ বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য খেলে ফেলেছেন ওয়ানডে বিশ্বকাপেও। বাঁহাতি ওপেনার, আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়েও মিল আছে। তানজিদ হাসান তামিমের মধ্যে ক্যারিয়ারের শুরুর দিকের তামিম ইকবালের মিল তাই খুঁজে পাওয়াটাই স্বাভাবিক। তাঁকে ‘নতুন তামিম’ নামে ডাকাটা তাই দুই অর্থেই ঠিক আছে।

ওয়ানডে বিশ্বকাপে দু’একটি ম্যাচে নিজের ঝলক দেখালেও সব মিলিয়ে হয়তো প্রত্যাশাটা মেটাতে পারেননি। তবে লাইমলাইটটা তাঁর ওপর সব সময়ই ছিল। ছিল এবারের বিপিএলেও।

টুর্নামেন্টের শেষ দিকে এসে সেই প্রত্যাশা মেটাতেই শুরু করছেন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ওপেনার। ঢাকার বিপক্ষে এর আগের ম্যাচে খেলেছিলেন ৭০ রানের ইনিংস। আজ সেটিকে ছাড়িয়ে খুলনার বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে পেলেন ক্যারিয়ারের প্রথম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি। ৬৫ বলে করেছেন ১১৬ রান। যা এবারের বিপিএলে সর্বোচ্চ ইনিংস।

আজ খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে চট্টগ্রাম হেরে গেলে অবশ্য অনেক যদি-কিন্তুর মধ্যে পড়ে যাবে দলটি। সে ক্ষেত্রে খুলনা তাদের শেষ ম্যাচে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে হারিয়ে দিলেই বিদায় নেবে চট্টগ্রাম। ওই ম্যাচে খুলনা হেরে গেলে আসবে নেট রান রেটের হিসাব। এমন সমীকরণের ম্যাচেই জ্বলে উঠেছেন তানজিদ। তাঁর ঝোড়ো সেঞ্চুরিতে চট্টগ্রামে আগে ব্যাট করে করেছে ৪ উইকেটে ১৯২ রান।

সেঞ্চুরির পর তানজিদ

ঝোড়ো সেঞ্চুরির সংজ্ঞাটা এখন বদলে গেছে টি–টোয়েন্টির কল্যাণে। তবে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের ৩২ বলে হাফ সেঞ্চুরি, ২৮ বলে পরের ৫০। পুরো ইনিংসের স্ট্রাইকরেট ১৭৮.৪৬—এটাকে টি–টোয়েন্টিসুলভ ইনিংস বলতেই হবে। মেরেছেন সবাইকেই, তবে সবচেয়ে বেশি নির্দয় ছিলেন দুই বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ ও আরিফ আহমেদের প্রতি। ১১৬ রানের মধ্যে এই দুই বাঁহাতি স্পিনারের বিপক্ষেই করেছেন ৫৮ রান।

প্রথম ১০ বলে করেছিলেন ১০ রান। সেটিই চোখের পলকে ১৪ বলে ২৪ হয়ে যায়। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে নাসুমের প্রথম চার বলেই মেরেছেন এক ছক্কা ও দুটি চার। প্রথমটি ডট দিয়েছিলেন, যার মানে ৬–৪–৪ টানা তিন বলে। ৩২ বলে হাফ সেঞ্চুরি করার আনন্দটাও উদযাপন করেছেন দারুণভাবে। পেসার মুকিদুলের ওভারে মেরেছেন ২টি চার ও ১টি ছক্কা।

ক্যারিয়ারের প্রথম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরির আনন্দ

এবারের বিপিএলে এর আগের ১০ ইনিংসে দুটি হাফ সেঞ্চুরি করেছেন। আগের ম্যাচে ৭০ রানের কথা তো বলা হলোই, নিজের পঞ্চম ম্যাচে সিলেটের বিপক্ষে করেছিলেন ঠিক ৫০। বাকি ৭টি ইনিংসে অবশ্য বলার মতো কিছু করতে পারেননি। দুটি ইনিংস অবশ্য প্রায় পঞ্চাশ ছুঁইছুই। একটি ৪৯, অন্যটি ৪১। বাকি ৫টি ইনিংসে সর্বোচ্চ ১৯।

টি–টোয়েন্টিতে তানজিদ হাসানের এর আগের সর্বোচ্চ ছিল অপরাজিত ৭৯। তা ছিল আবার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে। ২০২১ সালে টি–টোয়েন্টি সংস্করণে অনুষ্ঠিত প্রিমিয়ার লিগে শাইনপুকুরের হয়ে ওল্ড ডিওএইচএসের বিপক্ষে তানজিদের ওই ইনিংস।

আগামী মাসে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অনুষ্ঠেয় টি–টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশের দলে নেই তানজিদ। পরের সিরিজের জন্য অন্তত নিজের দাবি জানিয়ে রাখলেন এই তরুণ।