বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেঞ্চুরি করার পর আইসিসির ওয়ানডে ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি হয়েছে মাহমুদউল্লাহর। গতকালও ব্যর্থ হওয়ার পর পিছিয়ে গেছেন সাকিব আল হাসান।
অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে থাকলেও রেটিং পয়েন্ট কমেছে বাংলাদেশ অধিনায়কের। এদিকে বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচের পর ক্যারিয়ার–সেরা অবস্থানে উঠে এসেছেন হাইনরিখ ক্লাসেন।
ওয়ানডে ব্যাটসম্যানদের আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থান নিয়ে লড়াইটা বেশ জমে উঠেছে। শীর্ষে থাকা পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজমকে টপকে যেতে ভারতীয় ওপেনার শুবমান গিলের প্রয়োজন মাত্র সাতটি রেটিং পয়েন্ট।
জমে উঠেছে বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ের লড়াইও। শীর্ষে থাকা অস্ট্রেলিয়ান পেসার জশ হ্যাজলউডের চেয়ে মাত্র ২ রেটিং পয়েন্ট পিছিয়ে ভারতের মোহাম্মদ সিরাজ।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে সর্বশেষ ম্যাচেই ফিফটি পেয়েছিলেন বাবর, করেছিলেন ৭৪ রান। তবে এরপরও গত সপ্তাহে প্রকাশিত র্যাঙ্কিংয়ের চেয়ে সাতটি রেটিং পয়েন্ট কমেছে বাবরের। তাঁর রেটিং পয়েন্ট এখন ৮২৯, দুইয়ে থাকা গিলের ৮২৩। গিল ১৯ অক্টোবর বাংলাদেশের বিপক্ষে ফিফটি পেলেও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বশেষ ম্যাচে ২৬ রান করেছেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান ক্লাসেন উঠে এসেছেন ক্যারিয়ার–সেরা চতুর্থ স্থানে। ইংল্যান্ডের সঙ্গে ৬৭ বলে ১০৯ রানের পর গতকাল বাংলাদেশের বিপক্ষে ৯০ রান করে সাত ধাপ এগিয়েছেন তিনি।
ক্লাসেনের ঠিক ওপরে আছেন কুইন্টন ডি কক। বিশ্বকাপে দারুণ ছন্দে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকান ওপেনার এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে ৫ ইনিংস খেলে করেছেন ৩টি সেঞ্চুরি। সর্বশেষ ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলেছেন ১৪০ বলে ১৭৪ রানের ইনিংস। তিন ধাপ এগিয়েছেন ভারতের বিরাট কোহলিও। বাংলাদেশের বিপক্ষে সেঞ্চুরির পর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিনি করেন ৯৫ রান।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হারা ম্যাচে সেঞ্চুরির পর মাহমুদউল্লাহ সাত ধাপ এগিয়ে এসেছেন ৫২ নম্বরে। দুই ধাপ পিছিয়ে ৪৪ নম্বরে সাকিব।
বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে থাকা হ্যাজলউডের চেয়ে ট্রেন্ট বোল্ট গত সপ্তাহে মাত্র ১ রেটিং পয়েন্ট পিছিয়ে ছিলেন। তবে বোল্ট আর হ্যাজলউডকে ছুঁতে পারেননি। নিউজিল্যান্ডের এই পেসার উল্টো নেমে গেছেন ৫ নম্বরে। হ্যাজলউডের রেটিং পয়েন্ট ৬৭০, দুইয়ে থাকা সিরাজের রেটিং ৬৬৮। তিনে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকার বাঁহাতি স্পিনার কেশব মহারাজের রেটিং পয়েন্ট ৬৫৬।
অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে থাকা সাকিবের রেটিং পয়েন্ট ৩২৪। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগেও তাঁর রেটিং ছিল ৩৭২। এ তালিকায় দুইয়ে থাকা আফগানিস্তানের মোহাম্মদ নবীর রেটিং পয়েন্ট ৩০১। তাঁরও পয়েন্ট কমেছে।