মেয়েদের ক্রিকেটে ক্যাচ মিস প্রায়ই দেখা যায়। এবারের নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও যে ব্যতিক্রম হবে না, সে চিত্র ফুটে উঠেছে প্রথম দিনেই। বৃহস্পতিবার টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী দিনে হয়েছে দুটি ম্যাচ। বাংলাদেশ খেলেছে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে, পাকিস্তানের প্রতিপক্ষ ছিল শ্রীলঙ্কা।
এ দুই ম্যাচের চার ইনিংসে ক্যাচ মিস হয়েছে মোট ১৩টি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্যাচ মিস করেছে বাংলাদেশ দল। যদিও স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ১৬ রানে জিতেছে নিগার সুলতানার দল।
শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-স্কটল্যান্ডের ম্যাচে মিস হয়েছে মোট ৭টি ক্যাচ। এর মধ্যে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে স্কটিশরা ফেলে ৩টি ক্যাচ। চতুর্থ ওভারের শেষ বলে মিডউইকেটে মুরশিদা খাতুনের সহজ ক্যাচ ফেলেন র্যাচেল স্ল্যাটার। মুরশিদা অবশ্য ‘নতুন জীবন’ কাজে লাগাতে পারেননি। পরের ওভারে নিজের প্রথম বলেই আউট হয়ে যান।
বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে অপর দুটি ‘জীবন’পেয়েছেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা। একটি ষোলতম ওভারে, আরেকটি বিশতম ওভারে। শেষ ওভারের পঞ্চম বলে আউট হওয়া নিগারের ব্যাট থেকে আসে ১৮ বলে ১৮ রান।
বাংলাদেশের ১১৯ রান তাড়া করতে নেমে স্কটল্যান্ড অবশ্য ফিল্ডারদের কাছ থেকে আরও বেশি ‘সহযোগিতা’ পেয়েছে। বাংলাদেশের ফিল্ডাররা মোট ৪টি ক্যাচ মিস করেন। এর মধ্যে ৪৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলা সারাহ ব্রাইসের ক্যাচ একবার মিস করেন সোবহানা মোশতারি, আরেকবার রাবেয়া খাতুন। এ ছাড়া এইলসা লিস্টারকে স্বর্ণা আক্তার আর সাসকিয়া হরলিকে নিগার ‘নতুন জীবন’ দেন।
বাংলাদেশ-স্কটল্যান্ড ম্যাচের মতো একের পর এক ক্যাচ মিস হয়েছে পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা ম্যাচেও। প্রথমে ব্যাট করে পাকিস্তানের মেয়েরা তোলেন ১১৭ রান। এই ইনিংসে শ্রীলঙ্কার ফিল্ডাররা ‘জীবন’দেন ফাতিমা সানা, নিদা দার ও সিদরা আমিনকে। তাঁদের মধ্যে পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৩০ রান করেন সানা। রান তাড়ায় শ্রীলঙ্কান ব্যাটারদেরও তিনটি ক্যাচ ছাড়ে পাকিস্তান। নতুন জীবন পান সাচিনি নিসানসালা, নীলাক্ষী ডি সিলভা ও সঞ্জীবনী। এর মধ্যে শ্রীলঙ্কার ৮৫ রানের ইনিংসে সবচেয়ে বেশি ২২ রান করেন নীলাক্ষী।