দেশের মাটিতে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ না খেলতে পারাটা বাংলাদেশ দলের জন্য দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক হিদার নাইট। এ দেশে বিশ্বকাপ হলে দর্শকসংখ্যা বেশি হতো বলেও মনে করেন তিনি।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাংলাদেশ থেকে সরিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে নেয় আইসিসি। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডসহ অংশগ্রহণকারী বেশ কয়েকটি দেশের নাগরিকদের বাংলাদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞার কারণে এমন সিদ্ধান্ত বলে জানানো হয়।
ভিন্ন দেশ বলে স্বাভাবিকভাবেই কন্ডিশনে একটু হলেও পরিবর্তন আছে। নাইট দেখছেন আরেকটি পরিবর্তনও। আজ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ইংল্যান্ড পুরুষ দলের লর্ডস টেস্টের প্রথম দিন মধ্যাহ্নবিরতিতে স্কাই স্পোর্টসে কথা বলার সময় সে প্রসঙ্গে নাইট বলেন, ‘ভিন্ন কিছুই হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশে অবশ্যই অনেক বেশি দর্শক থাকত। ২০১৪ সালে সেখানে খেলে দেখেছি। আমাদের ম্যাচে অনেক দর্শক দেখেছি, বিশেষ করে সিলেটে। আমাদের রীতিই হয়ে গিয়েছিল আশপাশে অনেক মানুষ থাকা। আমরা এটি নিয়ে কথা বলব। তবে এটা বিশ্বকাপ, এ নিয়ে উজ্জীবিত হতে খুব বেশি কিছু দরকার নেই।’
বাংলাদেশে সিলেট ও মিরপুর—এ দুই ভেন্যুতে হওয়ার কথা ছিল বিশ্বকাপ। এখন সেটি হবে শারজা ও দুবাইয়ে। এর মধ্যে শারজার স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতা ১৬ হাজার, দুবাইয়ে ২৫ হাজার। ২০২১ সালে পুরুষদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময় ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচ ছাড়া সেভাবে দর্শক ছিল না মাঠে। এমনিতেও দেশটি মেয়েদের ক্রিকেট সেভাবে আয়োজন করে না।
নাইটও জানেন সেটি, ‘কেউ কেউ দর্শকদের অনেক আওয়াজে রোমাঞ্চিত হয়। ফলে আমাদের সামনে কী আসতে যাচ্ছে, সেটি নিয়ে প্রস্তুত হতে হবে। আমার মনে হয় না হুট করে বেশি দর্শক আসবে। তবে এ নিয়ে কিছু করার নেই। অবশ্যই নিরাপত্তার মতো বিষয়গুলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’
বাংলাদেশে বিশ্বকাপ হবে, এটি ভেবেই ১৮ মাস ধরে প্রস্তুতি নিয়েছে ইংল্যান্ড। এরপরও আইসিসির এমন সিদ্ধান্তের পক্ষেই নাইট। অবশ্য বাংলাদেশের প্রতি সহমর্মিতাও জানিয়েছেন তিনি, ‘অবশ্যই বাংলাদেশ দলের জন্য ব্যাপারটি দুঃখজনক, নিজেদের মাটিতে বিশ্বকাপ খেলতে পারবে না। তবে আমার মনে হয়, এটিই হয়তো সঠিক সিদ্ধান্ত। কন্ডিশন একটু আলাদা হবে, তবে খুব বেশি হবে না।’