বিরাট কোহলি ও কেভিন পিটারসেন
বিরাট কোহলি ও কেভিন পিটারসেন

কোহলি ভারতের ক্রিকেটারদের সত্যিকারের অ্যাথলেট বানিয়েছে: পিটারসেন

বিরাট কোহলির বয়স ৩৬ চলছে। এই বয়সে অনেকেই অবসরে চলে যান। কিন্তু কোহলির ফিটনেসের মাত্রা দেখলে মনে হয়, এখনো তিনি ২০ বছরের তরুণ; চাইলে যত দিন ইচ্ছা, তত দিন খেলতে পারেন।

পারিবারিক কারণে ২ মাস ক্রিকেট থেকে দূরে ছিলেন কোহলি। ছুটি কাটিয়ে ফিরেছেন আইপিএল দিয়ে। ২২ মার্চ আইপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে খুব একটা ভালো করতে না পারলেও (২০ বলে ২১ রান) গতকাল রাতে পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে ৪৯ বলে ৭৭ রানের ইনিংস উপহার দিয়ে হয়েছেন ম্যাচসেরা। তাঁর দল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুও পেয়েছে এবারের আসরের প্রথম জয়।

ব্যাটিংয়ের সময় যখন বাউন্ডারি বের করা কঠিন হয়ে পড়ে, তখন ১ রানকে ২ রান বানানো কিংবা প্রতিপক্ষ ফিল্ডারদের প্রতিনিয়ত চাপে রাখা কোহলির অভ্যাস। ভারতের এই ব্যাটিং জিনিয়াস গতকালও সেই কাজ করেছেন। পাশাপাশি বাউন্ডারি লাইনে দুর্দান্ত কয়েকটি ফিল্ডিং করে বেশ কিছু রান বাঁচিয়েছেন।

৪৯ বলে ৭৭ রান করে কাল ম্যাচসেরা হয়েছেন কোহলি

এই বয়সেও কোহলির এমন নিবেদন ও ফিটনেস দেখে বিস্মিত কেভিন পিটারসেন। ইংল্যান্ডের সাবেক ব্যাটসম্যান ও কোহলির একসময়ের বেঙ্গালুরু সতীর্থ পিটারসেন মনে করেন, অসাধারণ ফিটনেসের কারণে কোহলি ভারতের তরুণ ক্রিকেটারদের কাছে অনুপ্রেরণার উৎস। তিনি দেশটির ক্রিকেটারদের অ্যাথলেটে পরিণত করছেন।

ম্যাচ শেষে স্টার স্পোর্টসকে পিটারসেন বলেন, ‘একটা জিনিস সবাই মনে রাখবে এবং একজন খেলোয়াড় হিসেবে সে সবচেয়ে বড় স্মৃতি তৈরি করবে, তা হলো ইনিংস শেষ করা এবং সর্বকালের সেরা ফিনিশার হওয়া। সে ভারতের ক্রিকেটের জন্য আরেকটি কাজ করেছে। তা হলো ভারতীয় ক্রিকেটারদের সে সত্যিকারের অ্যাথলেটে পরিণত করেছে এবং সে শুধু কথার কথা বলেনি, করেও দেখিয়েছে।’

কোহলি ও পিটারসেন যখন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর সতীর্থ ছিলেন

মাঠে কোহলির ক্ষিপ্রতা সম্পর্কে পিটারসেন বলেন, ‘রানিং বিটুইন দ্য উইকেটের সময় ওর নিবেদন ও শক্তি দেখলে সেরা হতে চাওয়ার ইচ্ছা সম্পর্কে বোঝা যায় এবং সে আসলেই সেরা। ওর সেরা হতে চাওয়ার ব্যাপারটা মাঠে নামার আগে থেকেই শুরু হয়। সেটা ডায়েটের মাধ্যমে, জিমে প্রচুর ঘাম ঝরানোর মাধ্যমে এবং (আরও অনেক কিছু) বিসর্জনের মাধ্যমে। ওর অধীনে খেলা খেলোয়াড়েরা এগুলোই অনুসরণ করে, ওর এই গুণগুলো দেখে। সে যা করেছে, তার কারণেই ভারতের ক্রিকেটে পরিবর্তন এসেছে।’