আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পাকিস্তানের পেসার ইহসানউল্লাহর আবির্ভাব গত বছর। এখন পর্যন্ত পাকিস্তানের হয়ে খেলেছেন একটি ওয়ানডে ও চারটি টি–টোয়েন্টি ম্যাচ। ওয়ানডেতে কোনো উইকেট না পেলেও টি–টোয়েন্টিতে তাঁর শিকারসংখ্যা ৬। এই ৬ উইকেট তিনি নিয়েছেন ১৮ গড় ও ৭.১২ ইকোনমিতে।
ইহসানউল্লাহর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের শুরুটাকে খারাপ বলা যাবে না। তবে পাকিস্তানের সম্ভাবনাময় এই প্রতিভা শেষ হয়ে যেতে পারেন শুরু হতে না–হতেই! অনেক দিন ধরেই কনুইয়ের চোটে ভুগছেন ইহসানউল্লাহ। তাঁর বাবা আবদুল নাসিরের দাবি, চোট কাটিয়ে ওঠার জন্য সুচিকিৎসা পাচ্ছেন না পাকিস্তানের এই উঠতি পেসার।
সম্ভাবনাময়ী পেসার ইহসানউল্লাহ যেন অকালেই ঝরে না পড়েন এর জন্য পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) কাছে আকুল আবেদন জানিয়েছেন আবদুল নাসির। তাঁর ছেলে যেন দ্রুত চোট কাটিয়ে উঠে খেলায় ফিরতে পারেন। এর জন্য পিসিবির কাছে নাসির আবেদন করেছেন, ইহসানউল্লাহকে যেন ন্যাশনাল ক্রিকেট একাডেমিতে (এনসিএ) সঠিকভাবে পুনর্বাসন করা হয়।
এক বছরেরও বেশি সময় ধরে কনুইয়ের চোটে ভুগতে থাকা ইহসানউল্লাহর এ মুহূর্তে আছেন খাইবার পাখতুনখাওয়ায় তাঁর নিজের শহর সোয়াটে। নাসিরের দাবি, সেখানে তাঁর ছেলে সুচিকিৎসা পাচ্ছেন না। লাহোরে সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে এমনটা বলেছেন নাসির।
নাসির বিবৃতিতে লিখেছেন, ‘সুযোগ–সুবিধা আর মানসম্পন্ন চিকিৎসকের অভাবে সোয়াটে আমার ছেলে পর্যাপ্ত চিকিৎসা পাচ্ছে না। তার পুনর্বাসনের জন্য তাকে এনসিএতে পাঠানোটা গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে সে নিজের ক্যারিয়ার বাঁচানোর জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পেতে পারে। আমি তাকে লাহোরে নিয়ে আসার জন্য অনুরোধ করছি।’
সোয়াটে ইহসানউল্লাহ এখন যে চিকিৎসা পাচ্ছেন, সেটার খরচও পিসিবিই দিচ্ছে। কিন্তু সোয়াটে সুযোগ–সুবিধা পর্যাপ্ত নয় বলেই মনে করছেন নাসির। ইহসানউল্লাহর কোচ মালিক নাসিরও পিসিবির কাছে একই আবেদন জানিয়েছেন, অন্য সব চোটে পড়া খেলোয়াড়ের মতো ইহসানউল্লাহকে এনসিএতে পুনর্বাসন করা উচিত।