আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশ ইনিংসে একমাত্র ছক্কাটি মেরেছিলেন শরীফুল ইসলাম। মুশফিকুর রহিমের ফিফটি ছাড়াও বাংলাদেশকে ২৪৬ রানের লড়াই করার মতো স্কোর এনে দেওয়ার পেছনে অবদান ছিল শরীফুলের ১৫ বলে ১৬ ও তাইজুল ইসলামের ১৪ রানের ইনিংসের। টেল-এন্ডে ব্যাটিংয়ের গুরুত্বটা বাংলাদেশ বুঝতে পারছে, এমন বলেছেন শরীফুল। নেটে তাসকিন আহমেদের ব্যাটিং অনুশীলন দেখে উৎসাহ পান বলেও জানিয়েছেন বাঁহাতি এ পেসার।
সম্প্রতি টেল-এন্ডে (৮ থেকে ১১ নম্বর) বাংলাদেশের ব্যাটিংটা খুব একটা খারাপ নয়। গত বিশ্বকাপের পর থেকে এ পজিশনগুলোয় ব্যাটিং গড়ে বিশ্বকাপ সুপার লিগের দলগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ আছে একেবারে মাঝে। এ সময়ে বাংলাদেশের টেল-এন্ডাররা গড়ে করেছেন ১৪.৮২ রান। অবশ্য এর পেছনে অবদান আছে অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজের ব্যাটিংয়েরও। এ সময়ে তিনিও আটে ব্যাটিং করেছেন, ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক সেঞ্চুরিও আছে তাঁর।
গত বিশ্বকাপের পর থেকে বাংলাদেশের টেল-এন্ডারদের মধ্যে রান করার দিক দিয়ে মিরাজের ঠিক পরই আছেন তাসকিন। নেটে এই ফাস্ট বোলারই শরীফুলদের প্রেরণা। আগামীকাল সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডের আগে আজ চেমসফোর্ডে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় শরীফুল বলেন, ‘আসলে সব দেশের টেল-এন্ডাররা এখন ভালো ব্যাটিং করছে। আমরাও চেষ্টা করছি। তাসকিন ভাইকে দেখে আমরা প্রতিদিন নেটে অনুশীলন করছি। একটু হলেও উন্নতি করার চেষ্টা করছি। যদি আমরা ১০-১৫ রান করি, সেটা দলের জন্য সহায়ক হবে। তো সেটা আমাদের জন্য খুব ভালো হবে।’
অবশ্য স্বাভাবিকভাবেই বোলার তাসকিনকেই বেশি মিস করার কথা বাংলাদেশ দলের। চোটের কারণে এ সিরিজেও খেলতে পারছেন না তিনি। তাসকিনের না থাকায় অবশ্য শরীফুলের মতো পেসারের সুযোগ মিলছে নিয়মিত। সব মিলিয়ে দলে পেসারদের এই প্রতিযোগিতা উপভোগই করছেন ১৫টি ওয়ানডে খেলা এ পেসার, ‘আসলে প্রতিযোগিতা যত হবে, আমাদের মধ্যে তত ভালো হবে। কারণ, যে-ই ভালো করুক, শেষ পর্যন্ত দেশের জন্যই ভালো হবে। আর উপভোগ অবশ্যই করছি। যেখানে প্রতিযোগিতা বেশি সেখানে উপভোগ বেশিই হবে। চাপ থাকলেও সেটা উপভোগ্য হিসেবে নিই।’
প্রথম ম্যাচে ইবাদত হোসেন, হাসান মাহমুদের সঙ্গে দলে একমাত্র বাঁহাতি পেসার হিসেবে ছিলেন শরীফুল। আইপিএল থেকে যাওয়া মোস্তাফিজুর রহমানকে রাখা হয় দলের বাইরে। শরীফুল বলছেন, পেসারদের ঘুরিয়ে–ফিরিয়ে খেলানোর নীতির কারণেই মোস্তাফিজকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। তবে মোস্তাফিজের না খেলা যে তাঁর জন্য সুযোগ, সেটিও জানেন তিনি, ‘আসলে অনেক দিন পর এসেছি, আবার একাদশে এসেছি। এটা আমার জন্য অনেক চ্যালেঞ্জিং। মোস্তাফিজ ভাইকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে, সব ফাস্ট বোলারকে ঘুরিয়ে খেলার জন্য চেষ্টা করছে। সে ক্ষেত্রে এটা আমার জন্য ভালো একটা সুযোগ। যদি আমি এখানে ভালো কিছু করতে পারি, তো আমার জন্য ভালো কিছু হবে।’
চেমসফোর্ডে প্রথম ম্যাচের উইকেটে পেসারদের জন্য যেমন মুভমেন্ট ছিল, তেমনি বাড়তি বাউন্সও ছিল। স্বাভাবিকভাবেই এ কন্ডিশন উপভোগ করছেন শরীফুল। সেখানে গিয়ে সুইং নিয়েও বাড়তি কাজ করছেন বলে জানালেন, ‘পেস ও সুইং—দুটি যদি থাকে দুদিক থেকে, ইনশা আল্লাহ ভালো কিছু হবে।’