সেই ম্যাচটা শাই হোপ আর শিমরন হেটমায়ারেরই বেশি মনে থাকার কথা। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চেন্নাইয়ে ভারতকে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেদিন ক্যারিবীয়দের হয়ে রান তাড়ায় সেঞ্চুরি করেছিলেন হোপ আর হেটমায়ার।
এ দুজনের পাশাপাশি দিনে দিনে ম্যাচটা স্মরণীয় হয়ে উঠেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ সমর্থকদের কাছেও। সেদিনের পর থেকে ভারতকে যে আর হারাতেই পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ!
অবশেষে অপেক্ষা ফুরিয়েছে আজ। বার্বাডোজে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ভারতকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলিবিহীন ভারত প্রথমে ব্যাট করে গুটিয়ে যায় ১৮১ রান। রান তাড়ায় ৩৬.৪ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ক্যারিবীয়রা।
রান তাড়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজকে নেতৃত্ব দেন অধিনায়ক হোপ। ৯১ রানে ৪ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর কিসি কার্টিকে নিয়ে তিনি অবিচ্ছিন্ন জুটিতে যোগ করেন ৯১ রান। হোপ অপরাজিত থাকেন ৮০ বলে ২টি করে চার ও ছয়ের মারে ৬৩ রান করে। সঙ্গে ৬৫ বলে ৪৮ রানে কার্টি।
এর আগে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ভারতের শুরুটা বেশ ভালোই ছিল। ঈশান কিষান ও শুবমান গিলের উদ্বোধনী জুটি ১০০ বলের মধ্যে তুলে ফেলে ৯০ রান। ১৭তম ওভারের পঞ্চম বলে গিল গুড়াকেশ মোতিকে লং-অফ দিয়ে তুলে মারতে গেলে ক্যাচ দেন আলজারি জোসেফের হাতে।
৪৯ বলে ৩৪ রান করা গিলের আউটের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ভারতের ব্যাটিং বিপর্যয়। পরের ওভারে রোমারিও শেফার্ডের পেসে ক্যাচ দেন কিষানও। আগের ইনিংসে ফিফটি পাওয়া কিশান এবার খেলে যান ৫৫ বলে ৫৫ রানের ইনিংস। তাঁর এই ফিফটিতে ছিল ৬টি চার ও ১টি ছয়।
দুই ওপেনারের বিদায়ের পরের পাঁচ ওভারের মধ্যে অক্ষর প্যাটেল, হার্দিক পান্ডিয়া ও সঞ্জু স্যামসনের উইকেট হারিয়ে ফেলে ভারত। বিনা উইকেটে ৯০ থেকে ৪৫ বলের মধ্যে ৫ উইকেটে ১১৩ রানে পরিণত হয় ভারতের স্কোর।
এই ধাক্কা আর সামাল দিতে পারেননি পরের ব্যাটসম্যানরা। ষষ্ঠ উইকেটে রবীন্দ্র জাদেজা ও সূর্যকুমার যাদব ৩৩ রানের জুটি গড়ে কিছুটা প্রতিরোধের ইঙ্গিত দিলেও এরপর আর খুব একটা এগোনো যায়নি।
শেষ পর্যন্ত ৪০.৫ ওভারে ১৮১ রানেই থেমে যায় ভারতের ইনিংস। দুই ওপেনারের পর দলের পক্ষে তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সূর্যকুমারের ২৪।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে ৩টি করে উইকেট নেন মোতি ও শেফার্ড। বোলারদের এই সাফল্যের পথ ধরে শেষে প্রায় চার বছর জয় এনে দেন ব্যাটসম্যানরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ভারত: ৪০.৫ ওভারে ১৮১ (কিষান ৫৫, গিল ৩৪, সূর্যকুমার ২৪; মোতি ৩/৩৬, শেফার্ড ৩/৩৭)।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৩৬.৪ ওভারে ১৮২/৪ (হোপ ৬৩*, কার্টি ৪৮*, শার্দুল ৩/৪২)।
ফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৬ উইকেটে জয়ী।