সেঞ্চুরির পর ফখর জামান
সেঞ্চুরির পর ফখর জামান

ফখরে ম্লান মিচেলের সেঞ্চুরি, পাকিস্তানের ৫০০তম জয়

প্রতিপক্ষ একই, ব্যবধান সাড়ে তিন মাসের মতো। গত জানুয়ারিতে করাচিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেই সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন ফখর জামান, কিন্তু পাকিস্তান হেরেছিল ২ উইকেটে। এবার রাওয়ালপিন্ডিতে ফখর করলেন আরেকটি সেঞ্চুরি। এর মাঝে পাকিস্তান ওয়ানডে খেলেনি, ফখর তাই সেঞ্চুরি পেলেন টানা দুই ম্যাচে। এবার বদলে গেল ফলটাও। ফখরের ১১৪ বলে ১১৭ রানের ইনিংসে নিউজিল্যান্ডের দেওয়া ২৮৯ রানের লক্ষ্য পাকিস্তান পেরিয়ে গেছে ৫ উইকেট ও ৯ বল বাকি থাকতে। আর তাতেই ম্লান হয়ে গেছে ড্যারিল মিচেলের ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি।

ওয়ানডেতে পাকিস্তানের এটি ৫০০তম জয়। অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের পর তৃতীয় পুরুষ দল হিসেবে এ রেকর্ড হলো দলটির।

রান তাড়ায় ফখরের সঙ্গে ইমাম-উল-হকের ১২৪ রানের ওপেনিং জুটিতে নিউজিল্যান্ডকে অনেকটাই পেছনে ফেলে পাকিস্তান। ২২তম ওভারে সে জুটি ভাঙেন ইশ সোধি, ৬৫ বলে ৬০ রান করা ইমামকে এলবিডব্লু করে। ইমাম ফেরার পর বাবর আজমকে নিয়ে ফখর গড়েন ৯০ রানের জুটি। ৫৩ বলে ফিফটি করেছিলেন ফখর, ক্যারিয়ারের নবম সেঞ্চুরি পূর্ণ করতে এ বাঁহাতির লেগেছে ৯৯ বল।

ফিফটির ১ রান আগেই অবশ্য থামেন বাবর, শান মাসুদও ফেরেন দ্রুতই। তবে মোহাম্মদ রিজওয়ানকে নিয়ে ফখর ছিলেন আরও কিছুক্ষণ, ৪৩তম ওভারে তাঁর আউট হওয়ার সময় পাকিস্তান ছিল নিরাপদই। এরপর সালমান আগা ফিরলেও ৪২ রানে অপরাজিত রিজওয়ান পাকিস্তানকে জয় এনে দেন।

ব্যাটিংয়ে ফখর তাঁর সেঞ্চুরি ইনিংসেই ছিলেন উজ্জ্বল, এর আগে বোলিংয়ে পাকিস্তানের সবচেয়ে উজ্জ্বল নাসিম শাহ এদিন পেয়েছেন মাত্র ২টি উইকেট। কিন্তু এ ফাস্ট বোলারের ১০ ওভারে ২৯ রানে ২ উইকেটের বোলিং ফিগারই ছিল ম্যাচে দুই দলের বড় একটা পার্থক্য।

ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি পান ড্যারিল মিচেল

প্রথম ৪ ওভারে নাসিম দেন মাত্র ৮ রান, যদিও পাকিস্তানকে প্রথম ব্রেকথ্রু এনে দেন তাঁর জায়গায় বোলিংয়ে আসা হারিস রউফ। চ্যাড বোজ কট বিহাইন্ড হলে ভাঙে ৪৮ রানের ওপেনিং জুটি। পরের উইকেট পেতে পাকিস্তানকে বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়। মিচেল ও ইয়াং ১০১ বলে যোগ করেন ১০২ রান। ৫১ বলে ৫০ পূর্ণ করা ইয়াং গতি বাড়ান ফিফটির পর। পরের ২৬ বলে করেন ৩৬ রান। তবে শাদাবের একটু বাড়তি স্পিনের ডেলিভারিতে তুলে মারতে গিয়ে লং অফে ধরা পড়েন তিনি।

মিচেলের সঙ্গে টম ল্যাথামের জুটিতে ৭৯ বলে ৭২ রান ওঠে ঠিকই, কিন্তু ল্যাথাম ঠিক স্বচ্ছন্দে ছিলেন না। সে জুটিতে তাঁর অবদান ৩৬ বলে ২০ রান। শাহিন শাহ আফ্রিদির ফুলটস মিস করে তিনি এলবিডব্লু হন, সেটিতে আবার রিভিউও নেন। ল্যাথামকে বাঁচাতে পারেনি সে রিভিউও।

দারুণ বোলিং করেন নাসিম শাহ

ল্যাথাম আউট হওয়ার সময় সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ২ রান দূরে দাঁড়িয়ে ছিলেন মিচেল। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তিনি পান ১০৩তম বলে, আফ্রিদিকে চার মেরে। ক্রিজে সেঞ্চুরি করা মিচেল, ৪৩ ওভার শেষে ৩ উইকেটে ২৪৩ রান—নিউজিল্যান্ড বড় স্কোরের পথে ছিল তখনো। পরের ওভারে মার্ক চ্যাপম্যানের উইকেটের পরই যেন সে পথ হারিয়ে ফেলে কিউইরা। চ্যাপম্যানের উইকেটও নেন রউফ।  

বাবর নাসিমকে টানা বোলিং করাননি। তবে যখনই এনেছেন, নাসিম তৈরি করে গেছেন চাপ। আঁটসাঁট বোলিংয়ের পুরস্কার নাসিম পান ইনিংসের শেষ ২ বলের ২ উইকেটে। মিচেল অবশ্য ফেরেন ৪৭তম ওভারেই, আফ্রিদির বলে মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়ে। শেষ ১০ ওভারে ৬৬ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড।