ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি হবে আর ভারতীয়রা মুখে বিজয়ের হাসি নিয়ে মাঠ ছাড়বে, এটাই যেন ধ্রুব সত্য। সিডনিতে ১৯৯২ সালে যার শুরু, সর্বশেষটা আহমেদাবাদে গত শনিবার। পাকিস্তানের দেওয়া ১৯২ রানের লক্ষ্য সেদিন ১১৭ বল আর ৭ উইকেট হাতে রেখে টপকে গেছে ভারত।
তবে একপেশে লড়াইয়ের চার দিন হতে চললেও এ নিয়ে আলোচনা যেন থামছেই না। সহজে থামার কথাও নয়। ২ উইকেটে ১৫৫ থেকে ১৯১ রানে অলআউট—ভারতের বিপক্ষে মাত্র ৩৬ রানে শেষ ৮ উইকেট হারালে পাকিস্তানি সাবেকদের অহমে লাগবে, এটাই স্বাভাবিক। সেটারই তোপ গিয়ে পড়ছে বাবর আজমের ওপর।
একে তো বাবরের আউটের পরই পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপ তাসের ধরের মতো ভেঙে পড়েছে, তার ওপর ম্যাচ হেরে মাঠেই বিরাট কোহলির থেকে জার্সি চেয়ে নিয়েছেন—এসব নিয়ে তাঁর ওপর বেজায় চটেছেন ওয়াসিম আকরাম, শোয়েব আখতার, রমিজ রাজা, শোয়েব মালিকদের মতো সাবেক ক্রিকেটাররা।
এবার বাবরের অধিনায়কত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুললেন মঈন খান। ভারতের বিপক্ষে বাবরকে ‘ঘাবড়ে যাওয়া অধিনায়ক’ মনে হয়েছে পাকিস্তানের সাবেক উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান মঈনের।
পাকিস্তানের ক্রীড়াবিষয়ক টিভি চ্যানেল ‘এ’ স্পোর্টসে মঈন বলেছেন, ‘ব্যাটিংয়ের সময় বাবরের খেলার কৌশল দেখে মনে হয়নি ওর স্বাভাবিক খেলাটা খেলছে। (ফিফটি করতে) ওর ৫৮ বল লেগেছে। ৪১ রানে পাকিস্তান প্রথম উইকেট হারিয়েছিল। এরপর সে যখন ব্যাটিংয়ে নামল, তখন পিচের অবস্থা খুব ভালো ছিল। ওর উচিত ছিল আরেকটু আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে রানপ্রবাহ বজায় রাখা। এ ধরনের ব্যাটিং পুরো দলের মধ্যে প্রতিফলিত হয়। তাই অধিনায়ক নিজেই যখন তার শটগুলো খেলতে ভয়, সেটা দলের অন্যদের মধ্যেও একই রকম প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।’
ম্যাচ নিয়ে বিশ্লেষণ করতে গিয়ে মঈনের মনে হয়েছে, পাকিস্তান দল ভয় পাচ্ছিল; যা তাদের শারীরিক ভাষায় ফুটে উঠেছে, ‘ওটার কারণে (বাবরের খেলার ধরন) স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল পুরো দল চাপে আছে। তারা ঠিকঠাক শট খেলতে পারেনি। শট খেলতে গেলেই আউট হয়ে যাবে, ওরা এই ভয় পাচ্ছিল। কোনো ব্যাটারের মধ্যে আমি আক্রমণাত্মক মনোভাব দেখতে পাইনি।’
বিশ্বকাপ অভিযানে নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচ জেতা পাকিস্তান ভারতের কাছে হেরে পয়েন্ট তালিকার চারে নেমে গেছে। বাবরের দলের পরের ম্যাচ শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।