দুুই ম্যাচ হাতে রেখে সুপার এইট নিশ্চিত করেছে অস্ট্রেলিয়া
দুুই ম্যাচ হাতে রেখে সুপার এইট নিশ্চিত করেছে অস্ট্রেলিয়া

সুপার এইটের আগেই ইংল্যান্ডকে বিদায় করতে চায় অস্ট্রেলিয়া

টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে সুপার এইটে দেখতে চায় না অস্ট্রেলিয়া। অন্তত অস্ট্রেলিয়া দলের পেসার জশ হ্যাজলউড তেমন ইচ্ছার কথাই জানালেন। হ্যাজলউডের ভাষায়, ‘বি’ গ্রুপে অস্ট্রেলিয়া স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে নিজেদের শেষ ম্যাচটি এমন ব্যবধানে জেতার চেষ্টা করবে, যেন ইংল্যান্ড গ্রুপ পর্ব থেকেই বাদ পড়ে।

প্রশ্ন হলো কীভাবে জেতার চেষ্টা করবে? সেটি এখনই বলা সম্ভব নয়। আগামীকাল ওমান এবং শনিবার নামিবিয়ার মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড। এ দুটি ম্যাচের পর বোঝা যাবে, ইংল্যান্ডকে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় জানাতে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়াকে ঠিক কী ব্যবধানে জিততে হবে। তবে ওমান কিংবা নামিবিয়া—যে কারও বিপক্ষে হারলেই সুপার এইটে ওঠার আশা শেষ হয়ে যাবে ইংল্যান্ডের।

‘বি’ গ্রুপে ৩ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে অস্ট্রেলিয়া (৩.৫৮০)। সমান ম্যাচে ৫ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে স্কটল্যান্ড (২.১৬৪)। ৩ ম্যাচে ২ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় নামিবিয়া (–২.০৯৮)। ইংল্যান্ড ২ ম্যাচে ১ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ। তাদের নেট রানরেট –১.৮০০। তলানিতে থাকা ওমানের সংগ্রহ ৩ ম্যাচে ০ পয়েন্ট। ইংল্যান্ড নিজেদের বাকি দুই ম্যাচ জিতলে স্কটল্যান্ডের সমান ৫ পয়েন্ট হবে। কিন্তু স্কটিশদের রানরেট টপকে যেতে হলে নিজেদের দুটি ম্যাচেই বড় ব্যবধানে জিততে হবে ইংল্যান্ডকে।

আজ নামিবিয়ার বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার ৯ উইকেটে জয়ের পর সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন হ্যাজলউড। ক্রিকেটে ঐতিহ্যগতভাবে অস্ট্রেলিয়ার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইংল্যান্ডকে নিয়ে হ্যাজলউড বলেন, ‘এই টুর্নামেন্টের কোনো না কোনো পর্যায়ে হয়তো ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হতে হবে...নিজেদের দিনে তারা অন্যতম সেরা দলগুলোর একটি। টি–টোয়েন্টিতে তাদের বিপক্ষে আমরা ভুগেছিও। তাই টুর্নামেন্ট থেকে তাদের বিদায় করাটা আমাদের জন্য তো ভালো বটেই, সম্ভবত অন্যদের জন্যও।’

হ্যাজলউড আরও বলেন, ‘ব্যাপারটা মজার হবে। দল হিসেবে আমরা মনে হয় না এর আগে এমন অবস্থানে পড়েছি। তাই ব্যাপারটা নিয়ে আলোচনা হোক বা না হোক, আমরা আজ রাতের (অ্যান্টিগার স্থানীয় সময়) মতোই খেলার চেষ্টা করব। এটা অবশ্য আমার ওপর নয়, বাকিদের ওপর নির্ভর করছে।’

নামিবিয়াকে ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া

তবে অস্ট্রেলিয়া কিন্তু এমন পরিস্থিতিতে আগেও পড়েছে। ১৯৯৯ বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের সুপার সিক্সে যাওয়ার পথ জটিল করতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া ইচ্ছা করেই মন্থর ব্যাটিং করেছিল অস্ট্রেলিয়া। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ১১০ রান তাড়া করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া ৬ উইকেটে জিতেছিল ৪১তম ওভারে (যদিও স্কটল্যান্ডকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে কিউইরা ঠিকই সুপার সিক্সে জায়গা করে)। তবে হ্যাজলউড এখনই ইংল্যান্ডকে বিদায় করে দেওয়া নিয়ে খুব বেশি ভাবছেন না। তাঁর ভাষায়, ‘জয় থেকে আমরা আত্মবিশ্বাস তুলে নিতে চাই। এটা অন্য কাউকে বিদায় করার চেষ্টার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাদের (ইংল্যান্ড) নিজেদেরই এখনো অনেক কিছু করতে হবে। তবে ধীরে ধীরে এই ছবিটা পরিষ্কার হবে।’