ভারতের জার্সি গায়ে জার্মান ফুটবলার টমাস মুলার
ভারতের জার্সি গায়ে জার্মান ফুটবলার টমাস মুলার

কোহলি ও ভারতীয় দলকে মুলারের শুভকামনা

বিশ্বকাপের প্রথম পর্বে ৯ ম্যাচের সব কটি জিতে সেমিফাইনালে উঠেছে ভারত। টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত একমাত্র অপরাজিত দলও স্বাগতিকেরা।

সোনালি ট্রফি থেকে দুই ধাপ দূরে থাকা ভারত আগামীকাল মুম্বাইয়ে প্রথম সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে। ফাইনালে ওঠার লড়াই সামনে রেখে বিরাট কোহলি ও ভারতীয় দলকে শুভকামনা জানিয়েছেন জার্মানির বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার টমাস মুলার।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গত রাতে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন মুলার। সে সময় তিনি ছিলেন তাঁর ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখের ট্রেনিং গ্রাউন্ড সাবেনের স্ট্রাসেতে। ৩৪ বছর বয়সী ফরোয়ার্ডের গায়েও ছিল বায়ার্নের অনুশীলন জার্সি। উচ্ছ্বসিত মুলার এরপর তাঁর সামনে রাখা একটি বক্স থেকে ভারতের জার্সি বের করেন, যার পেছনে লেখা ‘মুলার ২৫’।

কোহলির উদ্দেশে ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘কোহলি এটা দেখো। শার্টটি উপহার দেওয়ায় ভারতীয় দলকে ধন্যবাদ এবং বিশ্বকাপের জন্য শুভকামনা। এটা আমার জন্য আনন্দের। আমি আমার বাগানে ক্রিকেট খেলার চেষ্টা করব।’

এখন প্রশ্ন উঠতে পারে, এত খেলোয়াড় ও দল থাকতে মুলার হঠাৎ কোহলি ও ভারতকে শুভকামনা জানালেন কেন? উত্তরটা হলো ফুটবলে কোহলি জার্মানির সমর্থক। বিশ্বকাপ ও ইউরোর সময় জার্মান দলকে শুভকামনা জানিয়েছিলেন ভারতীয় তারকা। তাঁকে জার্মানির জার্সিও উপহার দিয়েছিলেন রিয়াল মাদ্রিদের জার্মান ফরোয়ার্ড টনি ক্রুস।

টমাস মুলারের বায়ার্ন মিউনিখ সতীর্থ হ্যারি কেইনও বিরাট কোহলির অনেক বড় ভক্ত

এবার জার্মানির হয়ে কোহলি ও ভারতীয় দলকে সেই ভালোবাসা ফিরিয়ে দিলেন মুলার। এ ছাড়া কোহলির সঙ্গে মুলারের সম্পর্ক বেশ পুরোনো। একে-অপরের অনেক বড় ভক্ত। মুলারের বায়ার্ন সতীর্থ হ্যারি কেইনও কোহলির খেলা দেখতে পছন্দ করেন।

ভারতীয় দলকে মুলারের শুভকামনা জানিয়ে বার্তা পাঠানোর কারণ আছে আরেকটি। জার্মানি, বায়ার্ন মিউনিখ, ভারত—তিন দলেরই জার্সি বানিয়ে থাকে বিখ্যাত ক্রীড়াসামগ্রী প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান অ্যাডিডাস।

প্রতিষ্ঠানটি অনেক আগে থেকেই জার্মানি ও বায়ার্নের কিট স্পনসর। অ্যাডিডাস ফুটবল ক্লিনিকে মুলার বেশ কিছু ধরে তরুণ ফুটবলারদের সঙ্গে কাজ করে আসছেন। কোহলিও অ্যাডিডাসের দূতিয়ালি করে থাকেন।

ভারতীয় দলের কিট স্পনসর অ্যাডিডাস

গত জুন মাস থেকে অ্যাডিডাস ভারতীয় দলেরও কিট স্পনসর হিসেবে বিসিসিআইয়ের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে বিসিসিআইয়ের চুক্তির মেয়াদ ফুরোবে ২০২৮ সালের মার্চে।