৩টি শতক, ৬টি অর্ধশতক। ৯৫.৬২ গড়ে রান ৭৬৫, যেটা টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ। শুধু এই বিশ্বকাপেরই সর্বোচ্চ রানই নয়, এটি বিশ্বকাপ ইতিহাসেই এক আসরে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডও। এমন কীর্তির পরও কোহলি ফাইনালের পরাজিত দলে!
দুর্দম্য গতিতে এগিয়ে চলা ভারত ফাইনালে উঠেছিল টানা ১০ ম্যাচ জিতে। কিন্তু আরেকটি বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন পূরণ করার জন্য আসল বাধাটাই পেরোতে পারেনি ভারত। কাল ফাইনালে তারা অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে গেছে ৬ উইকেটে।
দল হারলেও টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেছেন কোহলি। রবি শাস্ত্রী যখন টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে কোহলির নাম ঘোষণা করেন, আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে কিছুটা হলেও হুল্লোড় উঠেছিল।
কিন্তু কোহলি পুরস্কারটি নিতে মঞ্চে যান শুকনা মুখে। কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকারের হাত থেকে পুরস্কারটি নিয়ে মঞ্চ থেকে নামেন নীরবে-নিঃশব্দে। সেরা খেলোয়াড়ের ট্রফিটার দিকে ফিরেও তাকালেন না। ২০১১ সালের পর ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় বিশ্বকাপ জিততে না পেরে তিনি কতটা হতাশ হয়েছেন, সেটা বলে দিয়েছে শরীরী ভাষাই।
হতাশ এই সময়ে কে সান্ত্বনা দিতে পারেন কোহলিকে? টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার কোহলির হাতে তুলে দেওয়ার সময় টেন্ডুলকার তাঁকে হয়তো সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। হয়তো কোচ রাহুল দ্রাবিড়, অধিনায়ক রোহিত শর্মাও একই কাজ করেছেন।
কিন্তু সেই সান্ত্বনায় যে খুব একটা কাজ হয়নি, সেটা কোহলির চেহারা দেখেই বোঝা যাচ্ছিল। অবশেষে কোহলি সান্ত্বনা খুঁজতে চলে গেলেন স্ত্রী আনুশকা শর্মার কাছে। কোহলি ভারতীয় এই অভিনেত্রীর কাছে যেতেই, তাঁকে আলিঙ্গনে আবদ্ধ করলেন আনুশকা।
সেই সময় দুজনের খুব একটা কথা হয়নি। কিন্তু আনুশকার কাঁধে মাথা রেখে কিছুটা হলেও সান্ত্বনা খুঁজে পাওয়ার কথা কোহলির! কোহলিকে এভাবে আনুশকার সান্ত্বনা দেওয়ার ছবিটি সামাজিক যোগাযোগামধ্যমে এরই মধ্যে ‘ভাইরাল’ হয়েছে। অনেকেই লিখেছেন, স্বামীর দুঃসময়ে স্ত্রীর পাশে থাকার চিরায়ত ছবি এটি।