২৬ বলে ৪১ রানে অপরাজিত ছিলেন মুশফিকুর রহিম
২৬ বলে ৪১ রানে অপরাজিত ছিলেন মুশফিকুর রহিম

নাজমুল-মুশফিকে সিলেটের জয়

ছক্কা, চার—এরপর ক্রিজ ছেড়ে খেলতে গিয়ে স্টাম্পড। সিলেট স্ট্রাইকার্সের ওপেনার নাজমুল হোসেন যে বড় ভুল করেছেন, সেটা সঙ্গে সঙ্গেই বুঝতে পারলেন। চট্টগ্রামের বাঁহাতি স্পিনার নিহাদুজ্জামানের দুটি বলে ১০ রান নেওয়ার পরও কেন অমন বড় শটের চেষ্টা?

রান রেট লাগামের মধ্যে, নাজমুল নিজে খেলছিলেন ৬০ রানে। চট্টগ্রামের ১৭৪ রান তাড়া করে দলের জয়টা নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়ার সুযোগ ছিল নাজমুলের। সেটি করতে না পারার হতাশা থেকেই মাঠ থেকে বেরিয়ে হেলমেট ছুড়ে মারলেন। অবশ্য নাজমুলের অসমাপ্ত কাজটা করেছেন মুশফিকুর রহিম ও রায়ান বার্ল। দুজন মিলে ২২ বলে ৪৮ রানের জুটি গড়েন। তাতে ২ ওভার বাকি থাকতে ৭ উইকেটে জিতেছে সিলেট। ঘরের মাঠের গ্যালারিভর্তি দর্শকও উপভোগ করলেন প্রিয় দলের দাপুটে জয়।

এবারের বিপিএলের শুরু থেকেই দারুণ ছন্দে ছিলেন নাজমুল। আজ চট্টগ্রামের বিপক্ষে নিজের সেরা ব্যাটিংটাই করতে দেখা গেল তাঁকে। কাট, ড্রাইভ ও পুল শটে চট্টগ্রামের বোলারদের শুরু থেকেই চাপে রাখেন।

৪৪ বলে ৬০ রানের ইনিংস খেলেন নাজমুল হোসেন

মেহেদী হাসান রানার এক ওভারেই ৪টি চার মারেন নাজমুল। পুরো স্টেডিয়ামে তখন একটাই স্লোগান—‘শান্ত!’‘শান্ত!’। তাঁর বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ের সৌজন্যে পাওয়ার প্লেতেই ৫৫ রান পেয়ে যায় সিলেট। এরপর রানের গতি কমলেও সিলেট এগোচ্ছিল স্বচ্ছন্দেই।

ওপেনার তৌহিদ হৃদয় ও নাজমুল আউট হলেও মুশফিক-বার্ল জুটিতে সিলেট সহজেই জিতেছে। মুশফিক ২৫ বলে ৪০ রানে অপরাজিত ছিলেন। বার্ল ৪১ রান করেন মাত্র ১৬ বলে।

চট্টগ্রামের জন্য ম্যাচটা ছিল শেষ চারের লড়াইয়ে টিকে থাকার সুযোগ। ৮ ম্যাচে মাত্র ২টি জয়—শেষ চারে জায়গা করে নিতে হলে চট্টগ্রামের একটা জয় খুব দরকার ছিল। এমন সমীকরণ নিয়ে কাল সিলেটের বিপক্ষে খেলতে নামে শুভাগতর দল।

শুধু স্ট্রাইকার্স নয়, চ্যালেঞ্জার্সদের বিপক্ষে ছিল সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের গ্যালারিভর্তি দর্শকও। যাঁরা সিলেটের প্রতিটি রান, উইকেটে গলা ফাটিয়ে চিৎকার করছিলেন। আর চ্যালেঞ্জার্সের চার-ছক্কার সময় মাঠে নেমে আসছিল পিনপতন নীরবতা।

জাকিরকে নিয়ে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন মুশফিক

এই নীরবতার মধ্যেই কাল ঝড় তুলেছেন চট্টগ্রামের অধিনায়ক শুভাগত হোম। তাঁর ২৯ বলে ৫৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংস চট্টগ্রামকে ৬ উইকেটে ১৭৪ রানে নিয়ে যায়। চট্টগ্রাম কাল রান পেয়েছে টপ অর্ডার থেকেও।

মেহেদী মারুফ ও আফিফ হোসেন দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৮৮ রান যোগ করেন। মারুফ রান–খরা কাটিয়েছেন ৪০ বলে ৫২ রানের ইনিংস খেলেন। আফিফের ব্যাট থেকে এসেছে ২৭ বলে ৩৪ রানের ইনিংস।