জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডের আগেই চোটের ধাক্কা লাগে বাংলাদেশ দলে। হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে বাংলাদেশ হারায় পেসার তানজিম হাসানকে। চোট আক্রান্ত খেলোয়াড়ের তালিকাটা ম্যাচ শুরুর পর আরও লম্বা হয়। বাংলাদেশের একাদশে থাকা মোস্তাফিজুর রহমান ও সৌম্য সরকার চোটে পড়েন। বদলি ফিল্ডার হিসেবে মাঠে নামা জাকের আলীও এনামুল হকের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হয়ে মাঠ ছাড়েন।
তবে স্বস্তির খবর হচ্ছে, তিনজনই এখন ঝুঁকিমুক্ত। সৌম্য ও মোস্তাফিজকে ম্যাচ শেষে দলের সঙ্গে সিরিজ জয়ের উদ্যাপন করতে দেখা গেছে। জাকের এখন হাসপাতালে আছেন। তাঁর চোটও গুরুতর নয়। ঘাড়ে ব্যথা পেলেও সিটি স্ক্যান রিপোর্টে মাথায় কোনো আঘাত ধরা পড়েনি। চিকিৎসকেরা আশাবাদী, ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তিনি মোটামুটি সুস্থ হয়ে উঠবেন। এই সময় পর্যন্ত জাকের হাসপাতালেই পর্যবেক্ষণে থাকবেন।
এই তিন ক্রিকেটারের কেউই শ্রীলঙ্কা সিরিজের প্রথম টেস্টের দলে নেই। ম্যাচ শেষে তিনজনের চোটের সর্বশেষ অবস্থা জানতে সংবাদ সম্মেলনে আসা অধিনায়ক নাজমুল হোসেনকে প্রশ্ন করা হয়। উত্তরে তিনি জানান, ‘মোস্তাফিজের ক্র্যাম্প (পানিশূন্যতায় পেশির টান) করেছে। ও ঠিক আছে এখন। সৌম্য ভাইয়েরটা আমি জানি না। ফিজিওরা বলতে পারবে। জাকের পর্যবেক্ষণে আছে।’
শ্রীলঙ্কার ইনিংসের শেষ ওভারে ফিল্ডিং করতে গিয়ে জাকের মাথার এক পাশে ব্যথা পেয়েছেন এনামুল হকের সঙ্গে সংঘর্ষে। স্ট্রেচারে মাঠ ছাড়তে হয় তাঁকে। টেলিভিশন রিপ্লে দেখে সৌম্যর চোটটা প্রথমে শুধু হাঁটুতেই মনে হচ্ছিল। বাউন্ডারিতে ফিল্ডিং করতে গিয়ে বিজ্ঞাপন বোর্ডের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন তিনি।
পরে জানা গেছে, হাঁটুর ব্যথার সঙ্গে সৌম্য ভুগছিলেন পানিশূন্যতায়। মাথায় আঘাত পাওয়াজনিত সমস্যাও অনুভব করছিলেন তিনি। তাই ব্যাটিংয়ে সৌম্যর বদলি হিসেবে নামানো হয় তানজিদ হাসানকে। এ ছাড়া পানিশূন্যতায় পুরো শরীরের মাংসপেশিতে টান পড়ায় (ক্র্যাম্প) পেসার মোস্তাফিজকেও বোলিং শেষ না করেই মাঠ ছাড়তে হয়েছে।