টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠলে কোন মাঠে খেলবে, তা আগেই জেনে গেছে ভারতীয় দল
টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠলে কোন মাঠে খেলবে, তা আগেই জেনে গেছে ভারতীয় দল

টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ

ভারতের সুবিধামতো কি সূচি তৈরি করেছে আইসিসি

ভারতীয় ক্রিকেটের সমালোচকেরা আইসিসিকে তো আর এমনি এমনি ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের পরিবর্তে ইন্ডিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল বলে ডাকে না! এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ যেন সমালোচকদের এই ডাককে আরও জোরালো ও যুক্তিসংগত করে তুলেছে।

বিশ্বের যেকোনো খেলার যেকোনো বিশ্ব আসর হোক না কেন—কোন দল নকআউট পর্বে কোন মাঠে খেলবে, তা ওই পর্বে না ওঠা পর্যন্ত জানার কথা নয়। কিন্তু ভারত এরই মধ্যে জেনে গেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের সেমিফাইনালের ভেন্যু!

২৭ জুন দ্বিতীয় সেমিফাইনাল হবে গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে। রোহিত-কোহলি-বুমরা-জাদেজারা যদি দলকে শেষ চারে তুলতে পারেন, তাহলে এ মাঠেই ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে নামবেন তাঁরা। খোদ আইসিসি বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্লেয়িং কন্ডিশনের ১৬ নম্বর বিষয়বস্তু হলো ‘ম্যাচের ফল’। পোর্টেবল ডকুমেন্ট ফরম্যাট (পিডিএফ) ফাইল আকারে প্রকাশিত ৯৫ পৃষ্ঠার এই প্লেয়িং কন্ডিশনের ২৪ নম্বর পৃষ্ঠায় ১০ নম্বর পয়েন্টের ৬ নম্বর সাব-পয়েন্টে বিশেষ দ্রষ্টব্য হিসেবে লেখা—ভারত যদি সেমিফাইনালে ওঠে, তাহলে তারা দ্বিতীয় সেমিফাইনাল খেলবে। ২৭ জুন ম্যাচটি হবে গায়ানায়।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্লেয়িং কন্ডিশনে আইসিসি স্পষ্ট উল্লেখ করেছে, সেমিফাইনালে উঠলে ভারত খেলবে গায়ানায়

বিশ্বকাপের আরেক সেমিফাইনাল হবে ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোয়। কিন্তু ভারত ত্রিনিদাদে না খেলে কেন গায়ানাতেই খেলবে, এর কোনো ব্যাখ্যা নেই প্লেয়িং কন্ডিশনে।

তবে ক্রিকেটবিষয়ক ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফো এর একটা কারণ নিজেদের মতো করে ব্যাখ্যা করেছে। ইএসপিএন ক্রিকইনফো বলছে, গায়ানায় দ্বিতীয় সেমিফাইনাল শুরু হবে ২৭ জুন স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টায়। মানে ওই দিন ভারতের সময় রাত ৮টায় (বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায়)। আর ত্রিনিদাদে প্রথম সেমিফাইনাল শুরু হবে ২৬ জুন স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৮টায়। মানে ওই দিন ভারতের সময় সকাল ৬টায় (বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৬টায়)।

ভারত ত্রিনিদাদে সেমিফাইনাল খেললে দেশটির বিশাল জনগোষ্ঠীর জন্য সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে টিভিতে খেলা দেখা কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে। অনেকে হয়তো খেলা দেখার জন্য এত সকালে ঘুম থেকে জাগবে না। এতে টিভি দর্শকসংখ্যা কমে যাবে। কিন্তু রোহিত-কোহলিরা গায়ানায় সেমিফাইনাল খেললে সময়টা ‘ভারতবাসীবান্ধব’ হবে। ভারত নিজেদের মাটিতে রাতে শুরু হওয়া ম্যাচগুলোও এমন সময়ে খেলে থাকে। আইপিএলে রাতের ম্যাচগুলোও এমন সময়ে বা এর কাছাকাছি সময়ে শুরু হয়। এ কারণে রোহিত-কোহলিরা ভারতের সময় রাতে সেমিফাইনাল খেলতে নামলে টিভি দর্শকে কোনো ভাটা পড়বে না।

দর্শকদের কথা চিন্তা করে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের সব ম্যাচ সুবিধামতো সময়ে দিয়েছে আইসিসি

তবে যে যেমন ব্যাখ্যাই দিক, আগে থেকেই সেমিফাইনালের ভেন্যু জেনে যাওয়া ভারতের জন্য বাড়তি সুবিধাই। কারণ, গায়ানার পিচ ত্রিনিদাদের পিচের চেয়ে অপেক্ষাকৃত বেশি স্পিনবান্ধব। আরও মোটাদাগে বললে, ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের মধ্যে গায়ানার পিচ ও কন্ডিশনকে উপমহাদেশের সঙ্গে পুরোপুরি মেলানো যায়। প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামের পিচ বেশ মন্থর, বল নিচু হয়ে আসে ও স্পিন বেশ ভালো ধরে।

এমন পিচ স্বাভাবিকভাবেই ভারতীয় দলকে সহায়তা করবে। যেখানে ভারত নিজেদের মাটিতেই সর্বশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপে তিন স্পিনার (কুলদীপ যাদব, রবীন্দ্র জাদেজা, রবিচন্দ্রন অশ্বিন) নিয়ে খেলেছে, সেখানে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ স্কোয়াডে চার স্পিনার (কুলদীপ যাদব, রবীন্দ্র জাদেজা, যুজবেন্দ্র চাহাল, অক্ষর প্যাটেল) রাখা নিশ্চিতভাবেই কৌতূহল জাগাচ্ছে, সেমিফাইনালের ভেন্যু জেনে যাওয়াতেও দলে বাড়তি স্পিনার রেখেছে কি না ভারত।

গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে সেমিফাইনাল খেললে সেখানকার পিচ থেকে বাড়তি সুবিধা পাবেন ভারতীয় স্পিনাররা

শুধু কি তা–ই? সুপার এইট পর্বের ভেন্যুও তো ভারতের জানা। দ্বিতীয় পর্বে কোন দল কোন ভেন্যুতে খেলবে, তা আগে নির্ভর করত গ্রুপ পর্বের অবস্থান অনুযায়ী। কিন্তু এবার গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হোক কিংবা রানার্সআপ আপ—সুপার এইটের ভেন্যু নির্ধারণে তা মুখ্য হবে না।

যেমন—ভারত এবার ‘এ’ গ্রুপে খেলছে। অন্য গ্রুপগুলোর মতো এই গ্রুপ থেকেও দুটি দল সুপার এইট পর্বে উঠবে। ভারত নিজেদের গ্রুপ থেকে চ্যাম্পিয়ন-রানার্সআপ যা-ই হোক না কেন, এ১ স্লট ধরে রাখবে। এতে করে দেখা যাচ্ছে, রোহিত-কোহলিরা এ১ হিসাবে সুপার এইট পর্বে উঠে ২০ জুন বার্বাডোজ, ২২ জুন অ্যান্টিগা ও ২৪ জুন সেন্ট লুসিয়ায় নিজেদের ম্যাচ খেলবেন। এই ম্যাচগুলোও শুরু হবে ভারতের সময় রাত ৮টায় (বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায়)।

গায়নায় সেমিফাইনাল খেললে আরেকটি সুবিধা পাবে ভারত। ত্রিনিদাদে প্রথম সেমিফাইনাল ও বার্বাডোজে ফাইনালের জন্য রিজার্ভ ডে রাখা হলেও গায়ানার ম্যাচটির জন্য রিজার্ভ ডে রাখা হয়নি। একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ সম্পন্ন করতে দুই দলকেই ন্যূনতম ৫ ওভার করে খেলতে হয়, নিশ্চয়ই সবার জানা। বৃষ্টি বা অন্য কোনো কারণে প্রথম সেমিফাইনাল ও ফাইনাল শুরু হতে দেরি হলে প্রথম বল মাঠে গড়াতে অতিরিক্ত ১৯০ মিনিট পর্যন্ত সময় পাওয়া যাবে। কোনো কারণে সেটি সম্ভব না হলে পরদিন রিজার্ভ ডেতে খেলা হবে।

সুপার এইট পর্বের ভেন্যুও আগে থেকেই জানা ভারতের

কিন্তু গায়ানায় ভারতের সেমিফাইনাল বৃষ্টি বা অন্য কোনো কারণে শুরু হতে দেরি হলে প্রথম বল মাঠে গড়ানোর জন্য অতিরিক্ত ২৫০ মিনিট সময় রাখা হয়েছে। অতিরিক্ত ২৫০ মিনিট পরও যদি খেলা না হয়, তাহলে সুপার এইটের অবস্থান বিবেচনায় ফাইনালের দল নির্ধারণ করা হবে। ভারত যদি সুপার এইটের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থেকে সেমিতে ওঠে, তাহলে গায়ানায় খেলা না হলেও তারাই ফাইনালে উঠে যাবে। শেষ চারে না খেলে, না জিতেই ফাইনাল—ভারতের জন্য কী মজার নিয়ম!

ভারতের গ্রুপ পর্বের ম্যাচগুলোও শুরু একই সময়ে। গ্রুপ পর্বে তো আরও বেশি সুবিধা করে দেওয়া হয়েছে দলটিকে। নিজেদের গ্রুপ থেকে শুধু ভারতই টানা ৩ ম্যাচ একই ভেন্যুতে খেলার সুযোগ পাচ্ছে। অন্য চার দল পাকিস্তান, আয়ারল্যান্ড, কানাডা এমনকি সহ–আয়োজক যুক্তরাষ্ট্রকে এ ভেন্যু–ও ভেন্যুু চষে বেড়াতে হবে।

ভ্রমণঝক্কি এড়াতে নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামে ভারতের টানা ৩ ম্যাচ রাখা হয়েছে

রোহিতের দল ১ জুন নিজেদের একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশের বিপক্ষে নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামে। আজ ৫ জুন আয়ারল্যান্ড, ৯ জুন চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান ও ১২ জুন সহ-আয়োজক যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষেও খেলবে নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামে। আর ১৫ জুন কানাডার বিপক্ষে খেলবে ফ্লোরিডার লডারহিলে। এর অর্থ ভারত যেমন সবচেয়ে বেশি সময় ধরে নিউইয়র্কে অবস্থান করবে, সেখানকার পিচ ও কন্ডিশন সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা পেয়ে যাবে, একই সঙ্গে ভ্রমণের ধকলও পোহাতে হবে না।

বলতে পারেন, দক্ষিণ আফ্রিকাও তো ভারতের মতো প্রথম ৩ ম্যাচ নিউইয়র্কে খেলবে। তাহলে তারা কি লম্বা সময় একই জায়গায় থাকার সুবিধা পাবে না? দক্ষিণ আফ্রিকা কিছুটা সুবিধা পাবে ঠিকই, তবে ভারতের মতো এতটা নয়। মার্করাম–ক্লাসেন–রাবাদারা রোহিত–জাদেজা–পন্তদের মতো নিউইয়র্কে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের টি–টোয়েন্টি সিরিজ শেষে সরাসরি বিশ্বকাপের মূল পর্ব খেলতে নামতে হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকাকে।

অথচ এই বিশ্বকাপেই শ্রীলঙ্কা দলকে কতই না ভ্রমণঝক্কি সইতে হচ্ছে। গ্রুপ পর্বে লঙ্কানদের ৪ ম্যাচ রাখা হয়েছে চারটি আলাদা ভেন্যুতে। গত পরশু প্রথম ম্যাচের ভেন্যু নিউইয়র্কে যেতে হয়েছে আবার ফ্লোরিডায় প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শ্রীলঙ্কা যে মাত্র ৭৭ রানে অলআউট হয়ে ৬ উইকেটে ম্যাচ হেরেছে, এতে টুর্নামেন্টের অন্যায্য সূচি ও লজিস্টিকাল অব্যবস্থাপনার দায় দেখছেন অধিনায়ক ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ও স্পিনার মহীশ তিকশানা।

২০১৪ সালের টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়নদের পরশু নিউইয়র্কে ম্যাচ শেষে তড়িঘড়ি করে সংবাদ সম্মেলনও সারতে হয়েছে। কারণ, দ্রুত হোটেলে ফিরে বিমানবন্দরে যাওয়ার তাড়া ছিল লঙ্কানদের। হাসারাঙ্গা-ম্যাথুস-পাতিরানাদের যে হোটেলে রাখা হয়েছিল, সেখান থেকে নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামের দূরত্ব গাড়িতে পৌনে দুই ঘণ্টার। নিউইয়র্কে নিশ্চয়ই ঢাকার মতো যানজট লেগে থাকে না। বলা যায়, গাড়ি বেশির ভাগ সময় স্বাভাবিক গতিতেই চলে। তাহলে বুঝুন, শ্রীলঙ্কা দলকে মাঠ থেকে কতটা দূরবর্তী হোটেলে রাখা হয়েছিল।

আইসিসির বিরুদ্ধে অন্যায্য সূচি ও লজিস্টিকাল অব্যবস্থাপনার অভিযোগ এনেছে শ্রীলঙ্কা দল

টেক্সাসের ডালাসে ৮ জুন নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের মুখোমুখি হবে শ্রীলঙ্কা। পরশু দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ খেলেই দ্রুত ডালাসের পথে উড়াল দিতে হয়েছে হাসারাঙ্গার দলকে। নিউইয়র্কে শুধু ম্যাচ শেষের এই তাড়াহুড়োই নয়, দলটি ভুগেছে ম্যাচের আগেও। ফ্লোরিডা থেকে নিউইয়র্কে যাওয়ার পথে মায়ামি বিমানবন্দরে ফ্লাইট বিপর্যয়ের কারণে ৭ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছিল লঙ্কানদের।

দলের ব্যবস্থাপক মাহিন্দা হালানগোদা জানিয়েছেন, অসামঞ্জস্যপূর্ণ সূচি ও লজিস্টিকাল অব্যবস্থাপনা নিয়ে শ্রীলঙ্কা দল আইসিসির কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছে। তবে হালানগোদা এটাও জানিয়েছেন, অভিযোগ করতে বড্ড দেরি করে ফেলেছেন। এখন আর কিছু করার নেই।

শ্রীলঙ্কার ব্যবস্থাপকের এসব কথায় আসলে একধরনের অসহায়ত্ব ফুটে উঠেছে। অথচ ভারতীয় দলকে দেখুন। নিউইয়র্কে তো টানা ৩ ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছেই, সঙ্গে ক্যান্টিয়াগ পার্ক নামে যে মাঠে রোহিত-কোহলিরা অনুশীলন করছেন এবং ম্যাচের ভেন্যু নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামে খেলতে যাচ্ছেন—দুটিই হোটেল থেকে কাছাকাছি দূরত্বে অবস্থিত।

নিউইয়র্কে টানা ১৭ দিন থাকার সুযোগ পেয়েও সেখানকার পিচ, অনুশীলন সুবিধা ও খাবার নিয়ে অসন্তোষ জানিয়েছেন ভারতের কোচ রাহুল দ্রাবিড়

এরপরও ভারতের প্রধান কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের অভিযোগের অন্ত নেই। গত ১ জুন বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচের আগে ক্যান্টিয়াগ পার্কে প্রথমবার অনুশীলনের পর দ্রাবিড় সেখানকার পিচ, অনুশীলন সুবিধা ও খাবার নিয়ে অসন্তোষ জানান। কাল তিনি আবার নতুন করে বলেছেন, ‘পার্কে অনুশীলন করা কিছুটা হলেও অদ্ভুত।’

শুধু ভারত নয়, নিউইয়র্কে যে দলেরই ম্যাচ আছে, সেই দলই ক্যান্টিয়াগ পার্কে অনুশীলন করছে। তবে ভারত ছাড়া আর কোনো দল এ নিয়ে কোনো ধরনের অভিযোগ করেনি।

যদিও ভারতের সাবেক টেস্ট ওপেনার ওয়াসিম জাফরের দাবি, ভারতীয় দল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সূচি থেকে কোনো রকম অনৈতিক সুবিধা নিচ্ছে না। কেন, সেটির ব্যাখ্যা জাফর দিয়েছেন এভাবে, ‘আপনার দলের সেমিফাইনাল কোথায় হবে, তা জানা এক জিনিস; সেমিফাইনালে ওঠার যোগ্যতা অর্জন করতে পারা আরেক জিনিস। উদাহরণস্বরূপ বলতে পারি, বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল সব সময় ইংল্যান্ডে হয়ে আসছে। কিন্তু ইংল্যান্ড কখনোই (টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের) ফাইনালে উঠতে পারেনি।’

সেমিফাইনালের ভেন্যু জেনে যাওয়া নিয়ে জাফরের যুক্তি হয়তো ফেলে দেওয়ার মতো নয়। কিন্তু ভারতের পাওয়া বাকি সুবিধাগুলোর কোনো ব্যাখ্যা কি তাঁর কাছে আছে?

তা ছাড়া বৈশ্বিক আসরগুলোতে ভারতের অনৈতিক সুবিধা নেওয়ার ঘটনা তো নতুন কিছু নয়। সর্বশেষ গত ওয়ানডে বিশ্বকাপেই মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নিজেদের সেমিফাইনালের আগে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) পিচ বদলে ফেলেছিল বলে অভিযোগ করা হয়েছে।