ট্রেন্ট বোল্টের ইনসুইং ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসে খেললেন লিটন দাস। ঠিক যেভাবে চেয়েছেন, সেভাবে ব্যাটে লাগেনি। বল গেল ফাইন লেগে বাউন্ডারির কাছে থাকা ম্যাট হেনরির হাতে। লিটন আউট।
আজ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের প্রথম বলে এভাবেই আউট হয়েছেন লিটন। যে আউটে ফিরেছে বাংলাদেশের ২০ বছরের পুরোনো এক স্মৃতি। ২০০৩ বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ইনিংসের প্রথম বলেই আউট হয়েছিলেন বাংলাদেশের হান্নান সরকার। বিশ্বকাপ ইতিহাসে ম্যাচের প্রথম বলে দুজন ব্যাটসম্যান আউট হওয়ার ঘটনা বাংলাদেশ ছাড়া আর কোনো দলের নেই।
চেন্নাইয়ের এম এ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে লিটনের আউট হওয়া যেমন বাংলাদেশকে বিব্রতকর এক রেকর্ডের অংশ করেছে, বিপরীতে বোল্টকে করেছে গৌরবের অংশ। ৩৪ বছর বয়সী এই বাঁহাতি পেসারই কিউইদের মধ্যে প্রথম বোলার, যিনি বিশ্বকাপে ম্যাচের প্রথম বলে উইকেট নিলেন। বোল্ট অবশ্য গত মাসেও একবার ম্যাচের প্রথম বলে উইকেট নিয়েছিলেন। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কেনিংটন ওভালে প্রথম বলে ফিরিয়েছিলেন জনি বেয়ারস্টোকে। এর আগে ২০১৫ সালে ইংল্যান্ডের জেসন রয়কেও ফিরিয়েছিলেন ম্যাচের প্রথম বলে। সব মিলিয়ে ওয়ানডেতে তিনবার ম্যাচের প্রথম বলে উইকেট নিলেন বোল্ট।
বিশ্বকাপে ম্যাচের প্রথম বলে উইকেট নেওয়ার দিক থেকে বোল্ট ষষ্ঠ বোলার। যার প্রথমটি ১৯৯২ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার ক্রেগ ম্যাকডরমটের। ওই আসরের প্রথম ম্যাচ ছিল অকল্যান্ডে, নিউজিল্যান্ডের প্রতিপক্ষ ছিল অস্ট্রেলিয়া। প্রথম ম্যাচের প্রথম বলেই জন রাইটকে বোল্ড করেছিলেন ম্যাকডরমট। এর পরের ঘটনাটি ২০০৩ বিশ্বকাপের। দক্ষিণ আফ্রিকার পিটারমারিজবার্গে বাংলাদেশের হান্নান সরকার বোল্ড হন চামিন্ডা ভাসের বলে। শ্রীলঙ্কার এই বাঁহাতি পেসার অবশ্য সেখানেই থামেননি, পরের দুই বলে মোহাম্মদ আশরাফুল ও এহসানুল হককে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিক তুলে নিয়েছিলেন।
বিশ্বকাপে প্রথম বলেই উইকেট হারানো অপর তিনটি দল হচ্ছে জিম্বাবুয়ে, নিউজিল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা। এর মধ্যে ২০১১ বিশ্বকাপে নাগপুরে জিম্বাবুয়ের ব্রেন্ডন টেলরকে তুলে নিয়েছিলেন কানাডার খুররম চোহান। আর ২০১৯ বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের মার্টিন গাপটিলকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শেল্ডন কটরেল ও শ্রীলঙ্কার দিমুত করুনারত্নেকে দক্ষিণ আফ্রিকার কাগিসো রাবাদা ম্যাচের প্রথম বলে আউট করেছিলেন।
যে ছয়জন বোলার ম্যাচের প্রথম বলে উইকেট নিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ভাস, কটরেল ও বোল্ট বাঁহাতি পেসার।