বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা

তানজিম ৯, সাকিব ২

দক্ষিণ আফ্রিকাকে চাপে ফেলতে চাইলে উইকেট নেওয়ার বিকল্প ছিল না, বাংলাদেশ সেটিই করেছে। এ বিশ্বকাপে পাওয়ারপ্লেতে ফাস্ট বোলিংয়ের এটিই বোধ হয় সেরা প্রদর্শনী। তবে শেষ পর্যন্ত টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় হার মেনেই মাঠ ছাড়তে হয়েছে বাংলাদেশকে

তানজিম হাসান ৯/১০

আগুনঝরানো নিয়ন্ত্রিত বোলিং। প্রথম স্পেলেই ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ বাংলাদেশের পক্ষে নেওয়ার মূল কারিগর।

তাসকিন আহমেদ ৮.৫/১০

তানজিমের সঙ্গে দুর্দান্ত উদ্বোধনী বোলিং জুটি। ম্যাচজুড়ে দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিং। শেষের দিকে বিপজ্জনক ক্লাসেনের উইকেট।

মোস্তাফিজুর রহমান ৮/১০

অত্যন্ত নিয়ন্ত্রিত বোলিং। ৪ ওভারে ১৮ রান। গুরুত্বপূর্ণ ওভারগুলোতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হাত খুলে খেলতে দেয়নি।

রিশাদ হোসেন ৭/১০

ক্লাসেনের মারা পরপর দুটি ছক্কা সম্ভবত তাকে কিছুটা বিভ্রান্ত করেছিল। এরপরও দারুণ এক বলে ডেভিড মিলারকে পরাস্ত করেছে।

প্রথম স্পেলেই ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ বাংলাদেশের পক্ষে নেওয়ার মূল কারিগর তানজিম

সাকিব আল হাসান ২/১০

মাত্র ১ ওভার বোলিং করার কারণ বোঝা যায়নি। ব্যাটিংয়ে কোনো ভূমিকাই রাখতে পারেনি। ব্যাটিং বা বোলিং যেকোনো একটিতে ভূমিকা রাখতে না পারায় দল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

মাহমুদউল্লাহ ৮/১০

ষষ্ঠ বোলার হিসেবে করা নিয়ন্ত্রিত তিন ওভার দলকে বিপদের হাত থেকে বাঁচিয়েছে। ব্যাটিংয়েও সেই দৃঢ়তা, হার না মানার প্রত্যয়। তবে জয়ের খুব কাছে নিয়েও পারেনি।

তানজিদ হাসান ৩/১০

দুটো চার খেয়েছে, কিন্তু রাবাদা লাইন-লেংথ বদলায়নি। শেষ পর্যন্ত তার বলেই আউট। তানজিদের আগ্রাসী মনোভাব বেশ ইতিবাচক হলেও কিছুটা নিয়ন্ত্রণও আনতে হবে।

নাজমুল হোসেন ৫/১০

লো-স্কোরিং ম্যাচে ১৪ রানেরও ভূমিকা আছে। তবে খুব স্বাচ্ছন্দ্যে খেলেছে বলা যাবে না। সাকিবের না করা ৩ ওভার দারুণভাবে সামলেছে।

লিটন ৪/১০

নিজেকে ধরে রাখতে পারেনি, এলোমেলো মনে হয়েছে। কিছুটা হাল ছেড়ে দেওয়ার মতো। অথচ তার আরও ভালো খেলার সামর্থ্য আছে। উইকেটকিপিংটা সন্তোষজনক।

তাওহিদ হৃদয় ৮/১০

সাহসী ও ধারাবাহিক, প্রয়োজনে নিজের খেলা বদলে ফেলতে পারে। মোটেই একমাত্রিক নয়। দিন দিন আরও পরিণত হচ্ছে, যা স্বস্তির। ক্রিজে থাকলে হয়তো জয় নিয়েই ফিরত।

জাকের আলী ৪/১০

হঠাৎ করে এসে এই উইকেটে বড় শট খেলা সহজ নয়। তারপরও আরও একটু ভালো পারফরম্যান্স আশা করেছিলাম।