গতকালই শতক করে বড় কিছুর আভাস দিচ্ছিলেন ঢাকা মহানগরের দুই ব্যাটসম্যান সাদমান ইসলাম ও নাঈম ইসলাম। কক্সবাজারে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আজ দ্বিতীয় দিনের খেলায় দুজনই শতককে পরিণত করেছেন দ্বিশতকে। শুধু কি তা–ই, সিলেট বিভাগের বোলারদের ভুগিয়ে দুজন মিলে তৃতীয় উইকেটে গড়েছেন ৪৩৪ রানের ম্যারাথন জুটি।
জাতীয় ক্রিকেট লিগের বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তৃতীয় সর্বোচ্চ ও যেকোনো উইকেটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এটি। সাদমান শেষ পর্যন্ত আউট হয়েছেন ২৫০ রানে, নাঈম করেছেন ২২১ রান। দুটিই তাঁদের ক্যারিয়ার–সেরা ইনিংস। দুই দ্বিশতকের সৌজন্যে ৫ উইকেটে ৬০১ রানে নিজেদের প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছে মহানগর। জবাবে আজ শেষ বেলায় ২০ ওভার ব্যাটিং করে কোনো উইকেট না হারিয়ে ১০১ রান করেছে সিলেট।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের দুই নম্বর মাঠে রাজশাহী বিভাগের বিপক্ষে আগের দিন ১০৪ রানে খেলা শেষ করা খুলনা বিভাগ আজ সারা দিন ব্যাটিং করে ৭ উইকেটে ৪২৫ রান করেছে। খুলনার ইনিংসের সর্বোচ্চ ১১৫ রান করেছেন ওপেনার ইমরুল কায়েস। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এটি তাঁর ২০তম শতক। আরেক ওপেনার এনামুল হকের ব্যাট থেকে এসেছে ৭৩ রান। ৯৩ রানে অপরাজিত আছেন নুরুল হাসান।
রাজশাহীকে প্রথম দিন ১৮৫ রানে অলআউট করা খুলনা এগিয়ে আছে ২৪০ রানে।
সিলেট স্টেডিয়ামের মূল মাঠে চট্টগ্রাম বিভাগের ২৯৮ রানের জবাবে বরিশাল বিভাগ ৯ উইকেটে ১৯৬ রান করেছে। বরিশালের অধিনায়ক ফজলে রাব্বি ৫৪ রানে অপরাজিত আছেন।
দিনের অন্য ম্যাচে ঢাকা বিভাগকে ৩২১ রানে অলআউটের পরও ১৪৩ রানে পিছিয়ে আছে রংপুর বিভাগ। রাজশাহীর শহীদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে প্রথম ইনিংসে ১৫৮ রানে অলআউট হয় বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রংপুর। ঢাকা জবাবে নাদিফ চৌধুরীর ৯৩ ও সুমন খানের ৫৭ রানের সৌজন্যে ৩২১ রান করে। শেষ বেলায় ব্যাটিংয়ে নেমে রংপুর ১ উইকেটে ২০ রান করে।