লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডে এমসিসির কার্যালয় অবস্থিত
লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডে এমসিসির কার্যালয় অবস্থিত

এমসিসি তহবিলের অর্থ গায়েব, তদন্ত শুরু

ক্রিকেটের ঐতিহাসিক ও অভিজাত ক্লাব এমসিসি (মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাব) তার সদস্যদের জানিয়েছে, ক্লাব তহবিলের অর্থ অপব্যবহার হয়েছে। যার কারণ খুঁজে বের করতে এরই মধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এমসিসি তহবিলের অর্থ আত্মসাৎ হয়েছে।

এমসিসি ক্রিকেটের সবচেয়ে সক্রিয় ক্লাব হিসেবে পরিচিত। লন্ডনের লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডের মালিক ও ক্রিকেটের আইনপ্রণেতা প্রতিষ্ঠান তারা। ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) আগে এমসিসিই ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ছিল। বর্তমানে এর সদস্য সংখ্যা প্রায় পঁচিশ হাজার।

এমসিসি তহবিলের অর্থ গায়েবের ঘটনাটি সামনে এনেছে দ্য টেলিগ্রাফ। যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, বুধবার এমসিসির বাৎসরিক সাধারণ সভায় এর কোষাধ্যক্ষ ক্রিস রজার্স সদস্যদের তহবিল গায়েব হয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন। বলেছেন, অর্থ হারিয়ে যাওয়ার কারণ খুঁজে বের করতে আইনজীবীদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ক্লাবের পক্ষ থেকেও আর্থিক ব্যবস্থাপনার বিষয়টি পর্যালোচনা করা হবে।

২০২৩ সালে এমসিসি রেকর্ড আয় করেছে। জুলাইয়ে লর্ডসে অ্যাশেজের ম্যাচ আয়োজনের বছরটিতে মোট ৬ কোটি ৭০ লাখ ৮০ হাজার পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৯৩১ কোটি টাকার বেশি) আয় করে এমসিসি। এর মধ্যে ২ কোটি ৭০ লাখ ২০ হাজার পাউন্ড টিকিট বিক্রি এবং ২ কোটি ৬ হাজার হসপিটালিটি থেকে আয় হয়।

টেলিগ্রাফের খবরে রজার্সের বার্ষিক সাধারণ সভার বক্তব্য উদ্ধৃত করা বলা হয়, অর্থ গায়েব হলেও ২০২৩ সালের বাৎসরিক হিসাবের বিশুদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন নেই, ‘আমরা এখন ক্লাবের অর্থ অপব্যবহারের তদন্তের মধ্যে আছি। এটা বাইরের আইনজীবীদের তদন্তের আওতায় থাকায় এই মুহূর্তে বিস্তারিত কিছু বলতে পারছি না। তবে এটি বলতে পারি যে ২০২৩ সাল ও এর আগের হিসাবের বিশুদ্ধতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই।’

তবে এ বিষয়ে টেলিগ্রাফের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে এমিসিসি কোনো মন্তব্য করেনি। বার্ষিক সাধারণ সভায় জানানো হয়, সাবেক ব্যাংক অব ইংল্যান্ড গভর্নর মারভিন কিং আগামী অক্টোবরে এমসিসির নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেবেন।