বিশ্বকাপে শুরুটা দারুণ হয়েছিল পাকিস্তানের। নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৮১ রানে ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৬ উইকেটে জিতেছিল পাকিস্তান। শ্রীলঙ্কার দেওয়া ৩৪৫ রানের লক্ষ্য ছুঁয়ে বিশ্বকাপ ইতিহাসেরই সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড গড়েছিল বাবর আজমের দল।
কিন্তু শুরুর ছন্দটা আর ধরে রাখতে পারেনি পাকিস্তান। তৃতীয় ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের কাছে বাজেভাবে হেরে যায়। এরপর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েও পেরে ওঠেনি। আর পরশু রাতে আফগানিস্তানের কাছে অপ্রত্যাশিত হারটা তো পাকিস্তানের অহমেই বড় আঘাত দিয়েছে। টানা তিন হারে বাবর–রিজওয়ানদের সেমিফাইনালে ওঠার সমীকরণ কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
চেন্নাইয়ে পরশু আফগানিস্তানের বিপক্ষে ন্যূনতম লড়াইটুকুও করতে পারেনি পাকিস্তান। বাবরদের দেওয়া ২৮৩ রানের লক্ষ্য ৮ উইকেট হাতে রেখে টপকে গেছে আফগানরা; যা নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়। ওয়ানডেতে পাকিস্তাদের বিপক্ষেও এটা তাদের প্রথম জয়।
অপ্রত্যাশিত হার স্বাভাবিকভাবেই পাকিস্তানিদের জন্য বড় ধাক্কা হয়ে এসেছে। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সেটা স্বীকারও করেছেন অধিনায়ক বাবর, ‘এটা আমাদের কষ্ট দিয়েছে। আমাদের সংগ্রহটা ভালোই ছিল। তবে বোলিং সন্তোষজনক ছিল না। মাঝে ওভারগুলোতে আমরা উইকেট নিতে পারিনি। বিশ্বকাপে এক বিভাগে ভালো করতে না পারলেই হারতে হয়।’
এ তো গেল বাবরের অনুভূতির ‘হালকা’ বহিঃপ্রকাশ। ভেতরের খবর দিয়েছেন মোহাম্মদ ইউসুফ। পাকিস্তানের সাবেক ব্যাটসম্যানের দাবি, আফগানিস্তানের বিপক্ষে হারের পর কেঁদেছেন বাবর। পাকিস্তানের একটি টিভি চ্যানেলে ইউসুফ বলেছেন, ‘আমি শুনেছি, আফগানিস্তানের কাছে হারের পর বাবর আজম কেঁদেছে। ভুলটা শুধু বাবরের নয়, পুরো দল এবং ম্যানেজমেন্টেরও দায় আছে। দুঃসময়ে আমরা বাবরের পাশে আছি, গোটা জাতি ওর পাশে আছে।’
৫ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে এ মুহূর্তে পয়েন্ট তালিকার পাঁচে আছে পাকিস্তান। শুক্রবার নিজেদের ষষ্ঠ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে বাবর আজমের দল।