সৌম্য সরকারের কনকাশন বদলি হিসেবে তানজিদ হাসানের নামা নিয়ে বিস্মিত হয়েছে শ্রীলঙ্কা দল। ফুটেজ দেখে সৌম্যর অমন কিছু হয়নি বলেই মনে হয়েছিল তাদের।
বাংলাদেশ ইনিংসের ৪৯তম ওভারের শেষ বলে বাউন্ডারি আটকাতে গিয়ে চোট পান সৌম্য। টেলিভিশন রিপ্লে দেখে তাঁর চোটটা প্রথমে শুধু হাঁটুতেই মনে হচ্ছিল। ডাইভ দেওয়ার পর বিজ্ঞাপন বোর্ডের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি।
এরপর এনামুল হকের সঙ্গে ওপেন করতে নামেন তানজিদ হাসান। সিরিজে প্রথমবারের মতো খেলা এ ব্যাটসম্যান করেন ৮১ বলে ৮৪ রান। তানজিদকে নামতে দেখে দুই আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ও তানভীর আহমেদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় শ্রীলঙ্কা দলের সদস্যদের। তানভীর নিজেও দ্বিতীয় ইনিংসে অন ফিল্ডের দায়িত্ব পালন করেছেন রিচার্ড কেটেলবোরোর জায়গায়।
সংবাদ সম্মেলনে নিজেদের বিস্ময়ের কথা লুকাননি দলের সহকারী কোচ নাভিদ নেওয়াজও, ‘আমরা বদলি দেখে বিস্মিত হয়েছি। কারণ, আমরা ফুটেজ দেখেছিলাম। তাকে ডাইভ দিতে দেখেছিলাম। যা-ই হোক না কেন, এমন কিছুর সঙ্গে তার সংঘর্ষ হয়েছে বলে ওই ঘটনার সময় মনে হয়নি।’
সৌম্যর আদতে কী ঘটেছে, সেটি প্রাথমিকভাবে জানা না গেলেও কনকাশন বা মাথার চোট না হলে এমন বদলির নিয়ম নেই। পরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিসিবি ফিজিও বায়েজিদ ইসলামের বরাত দিয়ে জানায়, সৌম্যর মাথা আঘাত লেগেছে মাটিতে। ঘাড়ে জড়তা অনুভব করাসহ মাথাব্যথা এবং দৃষ্টির সমস্যার কথাও বলেছেন। এ ছাড়া আঘাত পেয়েছেন হাঁটুতেও। এ অবস্থায় কনকাশন বদলির আবেদন করলে সেটি অনুমোদন করেন ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফট।
সৌম্যর বদলি কাউকে নামতে দেখে বিস্মিত হলেও আইসিসির নিয়ম অবশ্য মেনে নিয়েছে শ্রীলঙ্কা দল, ‘আমাদের অবশ্যই ম্যাচ অফিশিয়ালদের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাতে হবে, যেটি আইসিসির কোড অব কন্ডাক্ট এবং ম্যাচ রেফারির সিদ্ধান্ত। আমি নিশ্চিত কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম আছে ক্রিকেট খেলায় এবং আমি মনে করি আমাদের নিয়ম মেনে চলতে হবে।’
কনকাশনের লক্ষণ দেখা গেলেও সৌম্যকে হাসপাতালে নেওয়া হয়নি। ট্রফির উদ্যাপনে তাঁকে দেখা যায়নি। পরে মোস্তাফিজুর রহমানের পোস্ট করা ড্রেসিংরুমে ট্রফিসহ ছবিতে দেখা গেছে তাঁকে।