অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আফগানিস্তানের ২১ রানের জয় উন্মুক্ত করে দিয়েছে সুপার এইটের গ্রুপ ১ থেকে সেমিফাইনালে যাওয়ার হিসাব। পরিস্থিতি এখন এমন যে সুপার এইটে নিজেদের প্রথম দুটি ম্যাচ জেতা ভারতও ছিটকে পড়তে পারে বিশ্বকাপ থেকে। আবার সুপার এইটে নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচ হারা বাংলাদেশেরও কাগজে–কলমে সুযোগ আছে শেষ চারে ওঠার। হিসাবটা কী দাঁড়িয়েছে, দেখে আসা যাক—
অস্ট্রেলিয়া ও আফগানিস্তান জিতলে
সুপার এইটে নিজেদের শেষ ম্যাচে যদি অস্ট্রেলিয়া ও আফগানিস্তান জেতে, তাহলে তিন দলের পয়েন্ট সমান ৪ করে হবে। ভারতের বিপক্ষে যদি অস্ট্রেলিয়া ১ রানে জেতে, নেট রানরেটে অস্ট্রেলিয়াকে পেছনে ফেলে সেমিফাইনালে উঠতে বাংলাদেশের বিপক্ষে আফগানিস্তানকে জিততে হবে ৩৬ রানে। রান তাড়া করতে গিয়ে অস্ট্রেলিয়া যদি শেষ বলে জয় পায়, তাহলে ১৬০ রান করলে বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৫.৪ ওভারে জিততে হবে আফগানদের।
ভারতের নেট রানরেট +২.৪২৫। শক্ত অবস্থানে থাকা ভারতকে ছিটকে সেমিফাইনালে উঠতে হলে অস্ট্রেলিয়া ও আফগানিস্তানকে তাদের শেষ ম্যাচ জিততে হবে বড় ব্যবধানে। ভারতের নেট রানরেট ছাড়িয়ে যেতে তাদের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়াকে জিততে হবে ৪১ রানে। আর আফগানিস্তানের তখন সেমিফাইনালে যেতে হলে বাংলাদেশের বিপক্ষে জিততে হবে কমপক্ষে ৮৩ রানে।
ভারত ও বাংলাদেশ যদি জেতে
এ ক্ষেত্রে ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষ দল হিসেবে সেমিফাইনালে উঠবে ভারত। অন্য তিন দলের পয়েন্ট হবে সমান ২ করে। তখন নেট রানরেটের ভিত্তিতে দ্বিতীয় দল হিসেবে সেমিফাইনালে উঠবে অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের একটি। অস্ট্রেলিয়ার নেট রানরেট এখন +০.২২৩, তিন দলের মধ্যে তারাই সবচেয়ে ভালো অবস্থানে। আফগানিস্তান ১ রানে হারলে, বাদ পড়ার জন্য অস্ট্রেলিয়াকে হারতে হবে ৩১ রানে।
এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সেমিফাইনালে যেতে হলে নিজেদের আফগানিস্তানের বিপক্ষে জিততে হবে ৩১ রানে। পাশাপাশি ভারতের কাছে অস্ট্রেলিয়াকে হারতে হবে ৫৫ রানে।
বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া জিতলে
এ ক্ষেত্রে ৪ পয়েন্ট করে নিয়ে সেমিফাইনালে উঠবে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের পয়েন্ট হবে ২ করে এবং দুই দলই ছিটকে যাবে সুপার এইট থেকে।
ভারত ও আফগানিস্তান যদি জেতে
এমনটা হলে ভারত ও আফগানিস্তান সেমিফাইনালে উঠবে। কারণ, ভারতের ৬ পয়েন্ট আর আফগানিস্তানের ৪ পয়েন্ট হবে। অস্ট্রেলিয়া ২ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের ৩ নম্বরে থাকবে। বাংলাদেশ বিদায় নেবে কোনো পয়েন্ট না পেয়ে।