পাকিস্তানের বিপক্ষে ২৯ বলে ৩৫ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেছেন জাদেজা
পাকিস্তানের বিপক্ষে ২৯ বলে ৩৫ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেছেন জাদেজা

‘আমার সঙ্গে কথা বলতে তোমার কোনো সমস্যা নেই তো জাড্ডু?’

ভুলে যাননি সঞ্জয় মাঞ্জরেকার, ভোলেননি রবীন্দ্র জাদেজাও। তাই তো ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ শেষে জাদেজার সাক্ষাৎকার নিতে গিয়ে মাঞ্জরেকারের প্রথম প্রশ্নটাই ছিল এমন, ‘আমার সঙ্গে কথা বলতে তোমার কোনো সমস্যা নেই তো জাড্ডু?’ এমন প্রশ্ন শুনে হেসে জাদেজা জানিয়েছেন, তাঁর কোনো সমস্যা নেই।

ভারতের সাবেক ক্রিকেটার সঞ্জয় মাঞ্জরেকার

ঘটনার সূত্রপাত ২০১৯ বিশ্বকাপে। বিশ্বকাপ চলাকালীন ভারতের ওয়ানডে দলে জাদেজার জায়গা পাওয়ার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মাঞ্জরেকার।
মাঞ্জরেকার বলেছিলেন, ‘যারা সব কাজই অল্প অল্প পারে, আমি এমন খেলোয়াড়দের খুব একটা ভক্ত নই। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এ মুহূর্তে জাদেজা ঠিক এ অবস্থাতেই আছে। সে টেস্ট খেলে শুধু বোলার হিসেবে। ওয়ানডেতে আমি একজন ব্যাটসম্যান এবং স্পিনার রাখব।’

মাঞ্জরেকারের এ সমালোচনা সে সময় খুব একটা স্বাভাবিকভাবে নেননি জাদেজা। জ্বলে ওঠেন তেলেবেগুনে। পরের ম্যাচে সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৭৬ রানের ইনিংস খেলে মাঠেই জবাব দিয়েছিলেন। শুধু পারফরম্যান্সেই নয়, জাদেজা জবাব দিয়েছিলেন মুখেও, ‘আপনি যতগুলো ম্যাচ খেলেছেন, তার দ্বিগুণ ম্যাচ খেলেছি আমি এবং আমি এখনো খেলছি। যাঁরা জীবনে কিছু অর্জন করেছেন, তাঁদের সম্মান করতে শিখুন। আপনার অশ্রাব্য ও যুক্তিহীন কথা আর শুনতে চাই না।’

এক ফ্রেমে রবীন্দ্র জাদেজা ও বিরাট কোহলি

দুজনের শীতল সম্পর্কের বরফ কিছুটা হলেও হয়তো গলল গতকাল পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে। পরিবেশটা মাঞ্জরেকারই হালকা করেছেন। তবে সেটা কালকের ম্যাচে জাদেজার পারফরম্যান্সের কারণেই। বোলারদের দাপটে ভারত পাকিস্তানকে গুটিয়ে দিয়েছে ১৪৭ রানে। তবে মাঝারি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে খুব সহজে জয় পায়নি রোহিত শর্মার দল। কঠিন কন্ডিশনে শুরতেই উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে ভারত। তবে সেই চাপ পান্ডিয়ার সঙ্গে মিলে বেশ ঠান্ডা মাথাতেই সামাল দিয়েছেন জাদেজা। কোহলির শততম টেস্ট আর শততম ওয়ানডেতে ম্যাচসেরা হওয়া জাদেজা খেলেছেন ২৯ বলে ৩৫ রানের ইনিংস। ম্যাচ পরিস্থিতি বিবেচনায় দারুণ গুরুত্বপূর্ণ এক ইনিংসই এটা।

বিতর্কিত মন্তব্য করে এর আগে অনেকবারই সমালোচনার মুখে পড়েছেন মাঞ্জরেকার। ধারাভাষ্যের সময় সহকর্মী হার্শা ভোগলে পেশাদার ক্রিকেট না খেলায় তাঁর ক্রিকেটজ্ঞান নিয়েও প্রশ্ন তুলে সমালোচিত হয়েছিলেন। পরে অবশ্য ক্ষমা চেয়েছিলেন মাঞ্জরেকার। ২০১৯ বিশ্বকাপের সময় পক্ষপাতমূলক ধারাভাষ্যের জন্য অস্ট্রেলীয় এক নাগরিক তাঁর বিরুদ্ধে আইসিসির কাছে চিঠি দিয়েছিল। যে কারণে একবার স্টার স্পোর্টসের ধারাভাষ্য প্যানেল থেকে তিনি বাদ পড়েছেন।