১৯৯৯ বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের ঐতিহাসিক সেই মুহূর্ত
১৯৯৯ বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের ঐতিহাসিক সেই মুহূর্ত

কামিন্সের কাছে ’৯৯ বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল ‘লোকগাথা’

বিশ্বকাপ তো বটেই, ক্রিকেট ইতিহাসেরই অন্যতম সেরা ম্যাচ হয়ে আছে ১৯৯৯ সালে অস্ট্রেলিয়া–দক্ষিণ আফ্রিকার সেমিফাইনাল। বার্মিংহামের এজবাস্টনে অস্ট্রেলিয়ার করা ২১৩ রান তাড়া করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকাও থেমেছিল ২১৩ রানে।

২ বল বাকি থাকতে ল্যান্স ক্লুজনারের পাগলাটে এক দৌড়ে রানআউট হন বাংলাদেশের সদ্য সাবেক পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড। ম্যাচটি টাই হলেও সুপার সিক্সে মুখোমুখি লড়াইয়ে জেতায় ফাইনালে উঠেছিল অস্ট্রেলিয়া।

২০০৭ বিশ্বকাপ সেমিফাইনালেও মুখোমুখি হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া–দক্ষিণ আফ্রিকা। সে ম্যাচে রিকি পন্টিং–গ্লেন ম্যাকগ্রাদের কাছে পাত্তাই পাননি গ্রায়েম স্মিথ–জ্যাক ক্যালিসরা।

কলকাতায় আগামীকাল এই দুই দলের আরেকটি সেমিফাইনাল সামনে রেখে ’৯৯ ম্যাচটির প্রসঙ্গ আবারও আসছে। আজ সংবাদ সম্মেলনে প্যাট কামিন্সকেও সেই ম্যাচ নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক কামিন্স টিভিতে খুব একটা খেলা দেখেন না। তবে ওই ম্যাচটি নিশ্চয় দেখেছেন? সাংবাদিকেরা তাঁর কাছে সেই স্মৃতিই জানতে চান।

কলকাতায় আজ সংবাদ সম্মেলনে প্যাট কামিন্স

কামিন্সের উত্তর, ‘১৯৯৯–এর সেমিফাইনাল আমার কাছে লোকগাথার মতো লেগেছে, তা–ই নয় কি? মূলত শেষ বল আর শেষ ওভারের কারণেই ওই ম্যাচের রিপ্লে আমি বহুবার দেখেছি, গল্পও শুনেছি। তবে আমি খেলতে শুরু করার পর থেকে খুব একটা দেখা হয়নি। ২০১৫ সালেও ওরা (দক্ষিণ আফ্রিকা) নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেমিফাইনালে দারুণ খেলেছে। ম্যাচটি শেষ না হওয়া পর্যন্ত বলা যাচ্ছিল না কে জিতবে। সত্যি বলতে (এর বাইরে) আমার খুব বেশি স্মৃতি নেই।’

দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটাররা জানিয়েছেন, ২৪ বছরের আগের সেই ধ্রুপদি সেমিফাইনালের স্মৃতি অনেকেরই মনে নেই। দুজনের (মার্কো ইয়ানসেন ও জেরাল্ড কোয়েৎজি) তো তখন জন্মই হয়নি। অস্ট্রেলিয়ানদের কী অবস্থা? তাঁদের কি কোনো স্মৃতি মনে পড়ে?

কামিন্স বললেন, ‘না, আমাদেরও কিছু মনে নেই। সে সময় আমরা কেউই খেলতে শুরু করিনি। তাই আমাদের কাছ খুব বেশি কিছু জানতে পারবেন না। তবে এটা অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের লোকগাথা ও ইতিহাসের অংশ।’

কামিন্সের দাবি, ১৯৯৯ বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের স্মৃতি অস্ট্রেলিয়ার এই দলের কারও মনে নেই

১৯৯২, ১৯৯৯, ২০০৭ ও ২০১৫—চারবার সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিতে হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকাকে। এর মধ্যে তিনবার বাদ পড়তে হয়েছে মহা নাটকীয়তায়। কাল আরেকটি বড় ম্যাচে আবারও কি বেদনার ইতিহাস প্রোটিয়াদের তাড়া করে ফিরবে?

কামিন্সের উত্তর, ‘এটা বলা কঠিন। আমরা সৌভাগ্যবান যে আমাদের অনেক খেলোয়াড় এ ধরনের পরিস্থিতিতে পড়েছে। তাই আমরা জানি, এ ধরনের ম্যাচে কতটা কঠিন পরীক্ষা দিতে হয়। তবে আমরা ইতিহাস নিয়ে পড়ে থাকতে চাই না। আমরা চ্যালেঞ্জ নিতে মুখিয়ে আছি। মাঠে গিয়ে যা করতে হবে, করব। এটাও জানি, দক্ষিণ আফ্রিকা প্রত্যেক বিশ্বকাপেই যে উদ্দেশ্য নিয়ে খেলতে নামে, সেটা অর্জন করতে পারেনি।’