বজ্রবৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল। গায়ানার প্রভিডেন্সে আজ ঝকমকে নীল আকাশের নিচে তাই টসে জিতেও ফিল্ডিং নিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক রোভম্যান পাওয়েল। আবহাওয়ার পূর্বাভাসের সঙ্গে ফিল্ডিং বেছে নিতে উইকেটকেও কারণ দেখালেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক।
পূর্বাভাস মেনে রোববার প্রভিডেন্সে বৃষ্টি এসে খেলা থামিয়েও দেয়। তবে বেশিক্ষণ মুখ ভার করে থাকেনি আকাশ। একটা সময় অঘটনের শিকার হওয়ার ভয়ে থাকলেও ম্যাচ শেষে হাসিমুখে বাড়ি ফিরেছেন স্বাগতিক দর্শকেরাও। তাঁদের দল যে জয় দিয়েই শুরু করেছে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ২০ ওভারের ক্রিকেটের দুবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা ১৩৭ রানের লক্ষ্য ছুঁয়েছে ৬ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ রান তাড়ায় ১.৪ ওভারে ১ উইকেটে ৮ রান তোলার পরই হাজির বৃষ্টি। ক্যারিবীয়রা ৮ রান তুলেছিল প্রথম ওভারেরই। পিএনজি পেসার আলেই নাও দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে গোল্ডেন ডাক উপহার দেন জনসন চার্লসকে। ওভারের পরের ৩ বলেও কোনো রান তুলতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপর ১৫–১৬ মিনিটের বৃষ্টি–বিরতি।
সেই বিরতির পর ওভারের শেষ দুই বলেও কোনো রান দেননি মিডিয়াম পেসার নাও। নাওয়ের পর ১০ম ওভারে মেডেন–উইকেট পেয়েছেন পিএনজি অধিনায়ক আসাদ ভালাও। ওভারের পঞ্চম বলে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে লেগা সিয়াকার হাতে ক্যাচ তোলেন ব্রেন্ডন কিং (২৯ বলে ৩৪)। ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান তখন ৬৩/৩। এর আগের ওভারে ফিরে যান কিংকে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেটে ৫৩ রানের জুটি গড়া নিকোলাস পুরান (২৭ বলে ২৭)।
এরপর ১৪তম ওভারে চ্যাড সোপার যখন পাওয়েলকে (১৪ বলে ১৫) ফেরালেন ৩৬ বলে ৫২ রান দরকার ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের। দুই ওভার পর সমীকরণটা দাঁড়ায় ৫ উইকেট হাতে রেখে ২৪ বলে ৪০ রানের।
রোস্টন চেজকে নিয়ে আন্দ্রে রাসেল ১ ওভার হাতে রেখেই মিলিয়ে ফেলেন সমীকরণটা। চেজ ২৭ বলে ৪২ ও রাসেল ৯ বলে ১৫ রান করে অপরাজিত ছিলেন।
এর আগে ৮ উইকেট ১৩৬ রান তোলে পিএনজি। চারে নামা সেসে বাউ ৪৩ বলে করেন সর্বোচ্চ ৫০ রান। এ ছাড়া ১৮ বলে ২৭ রান করেন কিপলিন দোরিগা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই পেসার আন্দ্রে রাসেল ও আলজারি জোসেফ ২ উইকেট করে নিলেও সবচেয়ে কিপটে ছিলেন বাঁহাতি স্পিনার আকিল হোসেন। ৩ ওভারে ৯ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়েছেন আকিল।