ঝড় তুলেছিলেন খুশদিল
ঝড় তুলেছিলেন খুশদিল

খুশদিল-ঝড়ে কুমিল্লার টানা তিন জয়

কী হলো, সৌম্য সরকার নিজেই যেন সেটি মানতে পারছিলেন না। ব্যাটে মাথা ঠেকিয়ে নিচু হয়ে হয়তো ভাবছিলেন, ‘সৌম্য, এ তুই কী করলি!’

হাসান আলীর অফ স্টাম্পের বাইরের বলটি সৌম্য কাট করতে গিয়ে সোজা ক্যাচ দেন পয়েন্টে থাকা ফিল্ডারের হাতে। বলটা জনসন চার্লসের তালুবন্দী হতে দেখার পর হতাশা ফুটে ওঠে চোখেমুখে। এমন নিরীহ বলটাকে বাউন্ডারি পাঠাতে তো পারলেনই না, উল্টো সে বলেই আউট!

নামের পাশে কোনো রান না নিয়ে ধীরপায়ে ক্রিজ ছাড়তে হয় সৌম্যকে। এবারের বিপিএলে এর আগের ৪ ইনিংসে সৌম্যর রান ১৬, ৬, ৪ ও ০। আজ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের বিপক্ষে আরও একটি ০ যোগ হতে দেখে প্রেসবক্সে একজন বলে বসলেন, ‘সৌম্য আর কত সুযোগ নষ্ট করবে?’ আজ কুমিল্লার ১৮৪ রানের জবাবে ঢাকা ডমিনেটরসের হয়ে নামা তো দারুণ সুযোগই। বড় ইনিংস খেলে দলকে ভালো মঞ্চ গড়ে দেওয়ার সে সুযোগটা সৌম্য কাজে লাগাতে পারেননি।

রিজওয়ানের সঙ্গে ৩৬ বলে ৮৪ রানের জুটি গড়েন খুশদিল

ঢাকার দুর্ভাগ্য, টপ অর্ডারের কেউই সেটা পারেননি। অধিনায়ক নাসির হোসেন ৪৫ বলে ৬৬ রান করে ঢাকার পরাজয়ের ব্যবধানটাই শুধু কমিয়েছেন। রান তাড়ায় ঢাকার ইনিংস থামে ৪ উইকেটে ১৫১ রানে। ৩৩ রানের জয়ে এ নিয়ে টানা ৩ ম্যাচ জিতল কুমিল্লা।

দুই দলের মধ্যে ব্যবধানটা গড়েছেন মূলত কুমিল্লার খুশদিল শাহ। বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে আসরের দ্রুততম ফিফটি করেন তিনি। মাত্র ২৪ বলে ৬৪ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেন খুশদিল, ইনিংসের স্ট্রাইক রেট ২৬৬.৬৬। তাঁকে সঙ্গ দিয়েছেন ওপেনিংয়ে নামা মোহাম্মদ রিজওয়ান। দুজনের যুগলবন্দীতে ১৮৪ রানে পৌঁছে যায় কুমিল্লা।

ঢাকা অধিনায়ক নাসির চেষ্টা করেছিলেন, তবে তাতে শুধু ব্যবধানই কমেছে

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে কুমিল্লা শুরুতে ধাক্কা খায়। কোনো রান করার আগেই তাসকিন আহমেদের বলে আউট হন গত দুই ম্যাচে কুমিল্লার জয়ের নায়ক লিটন দাস। ইমরুল কায়েস, চার্লসের ইনিংসও বড় হতে দেননি নাসির ও মোহাম্মদ ইমরান। তবে রিজওয়ান টিকে থাকায় ক্রিজে এসেই হাত খুলে খেলার স্বাধীনতা পান আরেক পাকিস্তানি খুশদিল। রিজওয়ানের সঙ্গে ৩৬ বলে ৮৪ রানের জুটি গড়ে ইনিংসের রং পাল্টে দেন এই বাঁহাতি। যেখানে রিজওয়ানের অবদান মাত্র ১২ বলে ১৫ রান। বাকিটা খুশদিলের তাণ্ডব।