হৃদয় ৯, লিটন ২

জিম্বাবুয়েকে ধন্যবাদ টসে জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিং করার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। বাংলাদেশ আগে ব্যাটিং করায় কিছুটা প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ম্যাচের আবহ পাওয়া গেল। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের বোলারদের কিছুটা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছে। ব্যাটসম্যানদেরও একটা বড় স্কোরের কথা ভাবতে হয়েছে। কিছু দুর্বলতার জায়গাও স্পষ্ট হয়ে উঠল।

লিটন দাস ২/১০

একজন ধারাভাষ্যকার বারবার লিটনকে ভয়ংকর ব্যাটসম্যান হিসেবে আখ্যায়িত করছিলেন। কেন এবং কোন যুক্তিতে, তা মোটেও বোধগম্য হলো না। আজ সুযোগের দারুণ অপচয় করতে দেখলাম লিটনকে।

তানজিদ হাসান ৫/১০

মাঠ পার করতে চাইলে প্রতিবারই ব্যাট-বলের নিখুঁত সংযোগের কোনো বিকল্প নেই। বোলাররাও যে ওর এই শক্তির জায়গাটিকে মাথায় রেখে ফাঁদ পাতার চেষ্টা করবে, সে বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে। ভালো শুরুটা কাজে লাগানো জরুরি।

নাজমুল হোসেন ২/১০

শুরুতেই নিয়ন্ত্রিত রিভার্স সুইপ ওর ইতিবাচক মানসিকতাই প্রমাণ করে। তারপরও ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসতে পারছে না। তাওহিদ হৃদয়ের মতো ইনিংসের শুরুর জন্য নাজমুলেরও সুনির্দিষ্ট ব্যাটিং পরিকল্পনা থাকা জরুরি।

তাওহিদ হৃদয় ৯/১০

আবারও সেই ছকে বাঁধা ব্যাটিং। যেন একটা চেনা পথ ধরে নিজস্ব গতিতে নির্দিষ্ট একটা লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাওয়া। ওর এই মেথড ধারাবাহিক হওয়ার জন্য অপরিহার্য। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটির জন্য অভিনন্দন হৃদয়কে।

জাকের আলী ৮/১০

চাপ নিয়ে খেলার ক্ষমতা আছে। হৃদয়ের সঙ্গে ৮৭ রানের জুটিটি দলকে একটি শক্ত অবস্থান দিয়েছে। তা না হলে স্কোর বোর্ডে যথেষ্ট রান বাংলাদেশ না–ও পেতে পারত। কিপিংয়ে আরও উন্নতির সুযোগ আছে।

মাহমুদউল্লাহ ৬/১০

৪ বলে দুটি বাউন্ডারিসহ ৯ রান। কার্যকর ইনিংস। মাহমুদউল্লাহকে এ ধরনের গুটিকয় বলের ইনিংসই হয়তো বেশি খেলতে হবে। এমন ২/১ ওভার করে বল করতে পারলে দল অনেক স্বস্তি পাবে।

রিশাদ হোসেন ৬/১০

দ্বিতীয় উইকেটটি পেয়েছে একটি স্ট্রেইট বল থেকে। এটি খুবই আশার কথা। বোলিং ইকোনমি সমৃদ্ধ করতে চাইলে আরও কিছুটা আনপ্রেডিক্টেবল হতে হবে।

তানভীর ইসলাম ৬.৫/১০

পাওয়ারপ্লেতে ২ ওভারসহ নিয়ন্ত্রিত বোলিং করে ১টি উইকেট পেয়েছে। ফিল্ডিংয়ের জন্য অতিরিক্ত ১ নম্বর।

তাসকিন আহমেদ ৮/১০

তৃতীয় ম্যাচেও লাইন, লেংথ এবং আগ্রাসী মনোভাব একইভাবে ধরে রাখতে পেরেছে। এই শৃঙ্খলাবোধ অত্যন্ত ভালো লক্ষণ। ১টি মাত্র উইকেট পেলেও রান দিয়েছে সবচেয়ে কম।

মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ৭.৫/১০

উইকেট পেলেও ওভারপ্রতি ১০-এর বেশি রান দেওয়াটা সাইফউদ্দিন নিজেই হয়তো মেনে নিতে পারবে না। আক্রমণ এবং রক্ষণের মধ্যে ভারসম্য রাখার ব্যাপারটি খেয়াল রাখা জরুরি।

তানজিম হাসান ৭/১০

পুরো ইনিংসজুড়েই বিভিন্ন পরিস্থিতিতে বল করেছে। বোলিংয়ে আগ্রাসন এবং নিয়ন্ত্রণ—দুটিই ছিল। কম রান দিয়ে দলের জয়ে ভূমিকা রেখেছে।