কানপুরে বৃষ্টির পর শুধুই ঝড়! প্রথম দিনে ৩৫ ওভার খেলা হওয়ার পর কানপুরে শুরু হয় বৃষ্টি। সেই বৃষ্টিতে প্রথম দিনের বাকি সময়টা তো ভেসে গেছেই, বল মাঠে গড়ায়নি পরের দুদিনও। কাল চতুর্থ দিনে সময়মতো খেলা শুরু হয়। প্রথম ইনিংসে ২৩৩ রান করে অলআউট হয় বাংলাদেশ। এরপর কানপুরে ওঠে দুটি ঝড়—প্রথমে ভারতের ব্যাটিং-ঝড়, এরপর ঘূর্ণি-ঝড়।
ভারতের ব্যাটিং-ঝড় থামে মাত্র ৩৪.৪ ওভারে ৯ উইকেটে ২৮৫ রান তোলার পর অধিনায়ক রোহিত শর্মা ইনিংস ঘোষণা করলে। এরপর শুরু হয় ঘূর্ণি-ঝড়। রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও রবীন্দ্র জাদের সেই ঘূর্ণির ঝড়ে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ অলআউট হয়ে যায় ১৪৬ রানে। ভারতের জয়ের লক্ষ্য ৯৫ রান।
শুরুটা হয়েছিল গতকালই। অশ্বিন তাঁর ঘূর্ণির ঝড় তুলে ফেরান জাকির হাসান ও নাইটওয়াচম্যান হাসান মাহমুদকে। আজ সকালেও কানপুরে সেই ঝড় থামেনি। অশ্বিন এসে তুলে নেন মুমিনুলকে। দিনের প্রথম বলটাতেই সুইপ শট খেলেন প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করা মুমিনুল। পরের বলেও তাই, রানও পেলেন একটি। শেষ পর্যন্ত সুইপই তাঁর ‘মৃত্যু’ ডেকে এনেছে। অশ্বিনকে সুইপ করতে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছেন লেগ স্লিপে।
মুমিনুলের আউটের ক্ষতি কিছুটা হলেও পুষিয়ে উঠছিলেন সাদমান ইসলাম ও নাজমুল। চতুর্থ উইকেটে দুজনে মিলে গড়েছেন ৫৫ রানের জুটি। যখন মনে হচ্ছিল, ম্যাচটি নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ, তখনই এক স্ট্রেঞ্জ শট খেললেন ১৯ রান করা নাজমুল।
রবীন্দ্র জাদেজার বলটি লেগ স্টাম্পের বাইরে পিচ করেছিল। নাজমুল রিভার্স সুইপ খেলতে গেলেন। কিন্তু শরীর থেকে অনেকটাই দূরে থাকা বলটি তিনি ব্যাটে পেলেন না। বল মিস করে ফিরলেন বোল্ড হয়ে। এরপর সাদমান (৫০) আউট হয়েছেন আকাশ দীপের বলে গালিতে ক্যাচ দিয়ে, লিটন দাস উইকেটের পেছনে জাদেজার বলে। সাকিব রক্ষণ করতে গিয়ে ফিরতি ক্যাচ দিয়েছেন জাদেজাকে।
দ্রুতই ফিরে গেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ আর তাইজুল ইসলামও। বুমরার বলে তাইজুল আউট হয়েছেন লাঞ্চের জন্য নির্ধারিত সময়ের ঠিক আগের ওভারে। ফলে লাঞ্চ আধা ঘণ্টা পিছিয়ে দেওয়া হয়। তাইজুলের আউটের পর খালেদকে নিয়ে লড়াই করার চেষ্টা করেন মুশফিক। কিন্তু আবারও লাঞ্চের ঠিক আগের ওভারে, আরও নির্দিষ্ট করে বললে লাঞ্চের ঠিক আগের বলে আউট হয়ে যান মুশফিক নিজেই। সেই বুমরার বলেই বোল্ড হওয়ার আগে ৬৩ বলে ৭ চারে ৩৭ রান করেছেন তিনি।
ভারতের পক্ষে ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন বুমরা, অশ্বিন ও জাদেজা। একটি উইকেট নিয়েছেন আকাশ দীপ।