ম্যাচসেরা হারিস রউফ
ম্যাচসেরা হারিস রউফ

বিয়ের পর প্রথম বলেই উইকেট, সেরা বোলিং; হারিস রউফ বললেন—‘স্ত্রী–ভাগ্য’

গত জুলাইয়ে বিয়ের কাজটা সম্পন্ন করেছেন। এরপর গতকাল প্রথমবার পাকিস্তানের হয়ে মাঠে নেমেছেন পেসার হারিস রউফ। বিয়ের পর প্রথম ম্যাচেই ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ফিগার। পেয়েছেন প্রথম বলে উইকেটও।

আফগানিস্তানকে হারানোর পর ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ হারিসের সঞ্চালনায় একটি টক শোর আয়োজন করা হয়। সেখানে অতিথি হিসেবে রাখা হয় পাকিস্তানের পেস ত্রয়ী হারিস রউফ, শাহিন শাহ আফ্রিদি ও নাসিম শাহকে।

সেই টক শোতেই হারিস রউফের বিয়ের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে করা প্রথম বলেই উইকেটের কথা মনে করিয়ে দেন সঞ্চালকের ভূমিকায় থাকা মোহাম্মদ হারিস। যে পরিকল্পনায় তিন পেসার মিলে মাত্র ৫৯ রানেই আফগানিস্তানকে গুটিয়ে দিয়েছে, টক শোতে তা নিয়েও স্বাভাবিকভাবে আলোচনা হয়েছে।

এশিয়া কাপের প্রস্তুতির জন্য পাকিস্তান–আফগানিস্তান নিরপেক্ষ ভেন্যু শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটায় খেলছে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ; যার প্রথমটিতে আফগানিস্তানকে ১৪২ রানে হারিয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে পাকিস্তান। আফগানিস্তানকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলতে সবচেয়ে বড় অবদান হারিস রউফের।

১৮ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন হারিস রউফ। এটি শুধু ওয়ানডে নয়, তাঁর আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারেরই সেরা বোলিং। অনুমতিভাবে ম্যাচসেরার পুরস্কারটাও হারিস রউফের হাতেই উঠেছে। কীভাবে সফল হলেন হারিস রউফ, এ প্রশ্নে বলেছেন, ‘এরা (আফ্রিদি ও নাসিম) নতুন যেভাবে বোলিং করেছে, তা আমাকে আত্মবিশ্বাস দিয়েছে। এরা শুরুতেই যদি উইকেট এনে দিতে পারে, তাহলে আমার চেষ্টাটা থাকে ভালো শুরু ধরে রাখার। পরিকল্পনা ছিল হার্ড লেংথে বোলিং করব।’

বিয়ের পর প্রথম ম্যাচেই সাফল্য নিয়ে বলতে গিয়ে হারিস রউফ বলেছেন, ‘বিয়ের পর জীবনে অনেক কিছুরই পরিবর্তন আসে। আলহামদুলিল্লাহ আমার স্ত্রী আমার জন্য সৌভাগ্য বয়ে এনেছে।’ ম্যাচসেরার পুরস্কার কাকে উৎসর্গ করতে চান, এ প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে হারিস রউফ একটু বিপদেই পড়েন। পরিবারকে ম্যাচসেরার পুরস্কার উৎসর্গ করলেও বাকি তিন সতীর্থ বিশেষভাবে তাঁর স্ত্রীর নামটাই শুনতে চাইছিলেন। তবে হারিস রউফ তাঁর মায়ের অবদানের কথা মনে করে মায়ের প্রতিই ম্যাচসেরার পুরস্কার উৎসর্গ করেছেন।

মোহাম্মদ হারিসের সঞ্চালনায় টক শোতে অতিথি হারিস রউফ, শাহিন শাহ আফ্রিদি ও নাসিম শাহ

গতকাল আফগানিস্তানের ব্যাটিং অর্ডারকে ধসিয়ে দেওয়ার পথে পাকিস্তানকে দুর্দান্ত শুরু এনে দিয়েছিলেন আফ্রিদি ও নাসিম। ৪ ওভার বল করে আফ্রিদি ৯ রানে নিয়েছিলেন ২ উইকেট আর নাসিম ৫ ওভারে ১২ রান দিয়ে নিয়েছেন ১ উইকেট।

দলকে ভালো শুরু এনে দেওয়া নিয়ে নাসিম বলছেন, ‘প্রথম ওভারগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেভাবে শাহীন শাহ আফ্রিদি প্রথম দুই ওভারে দুই উইকেট নিয়েছেন, তাতে অন্য প্রান্ত থেকে কাজটা সহজ হয়ে যায়। আর হারিস যেভাবে বোলিং করেছে তা ছিল দুর্দান্ত। বোলিং বিভাগের প্রত্যেকেরই প্রশংসা প্রাপ্য।’