পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ থেকে ছুটি নিয়েছেন মিচেল মার্শ (বাঁয়ে) ও ট্রাভিস হেড
পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ থেকে ছুটি নিয়েছেন মিচেল মার্শ (বাঁয়ে) ও ট্রাভিস হেড

পিতৃত্বকালীন ছুটিতে হেড ও মার্শ, অস্ত্রোপচার গ্রিনের

নিজেদের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ নিয়ে ব্যস্ত পাকিস্তান দল। এই সিরিজ শেষ করেই অস্ট্রেলিয়া সফরে যাবেন বাবর–রিজওয়ান–আফ্রিদিরা। সেখানে খেলবেন ৩টি করে ওয়ানডে ও টি–টোয়েন্টি ম্যাচের সিরিজ।

আগামী ৪ নভেম্বর মেলবোর্নে প্রথম ওয়ানডে দিয়ে শুরু অস্ট্রেলিয়ার এবারের আন্তর্জাতিক ঘরোয়া মৌসুম। সেই সিরিজের ২০ দিন আগেই স্কোয়াড ঘোষণা করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)।

১৪ সদস্যের দলে ফিরেছেন নিয়মিত অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। গত সেপ্টেম্বরে যুক্তরাজ্য সফরে দলের সঙ্গে ছিলেন না কামিন্স। এ ছাড়া ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর প্রথমবার ওয়ানডে দলে ডাক পেয়েছেন মার্কাস স্টয়নিস। তবে সিরিজের সময় সন্তানসম্ভবা স্ত্রীর পাশে থাকবেন ট্রাভিস হেড ও মিচেল মার্শ। এই দুই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান পিতৃত্বকালীন ছুটি নিয়েছেন।

ইংল্যান্ড সফরে পিঠে চোট পান ক্যামেরন গ্রিন

দলের জন্য বড় দুঃসংবাদ নিয়ে এসেছেন ক্যামেরন গ্রিনও। গত মাসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে পাওয়া চোটে ২৫ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডারকে মেরুদণ্ডের নিচের অংশে অস্ত্রোপচার করাতে হবে। ফলে কমপক্ষে ৬ মাস মাঠের বাইরে থাকতে হবে তাঁকে। পুরোপুরি সেরে উঠে খেলায় ফিরতে ৯ মাসও লেগে যেতে পারে।

মার্শ, গ্রিন, স্টয়নিস—তিনজনই মিডিয়াম পেস বোলিং অলরাউন্ডার। মূলত মার্শের ছুটি নেওয়া ও চোটের কারণে গ্রিনের মৌসুম শেষ হয়ে যাওয়াতেই এক বছর পর ওয়ানডে দলে জায়গা পেয়েছেন স্টয়নিস।

ডেভিড ওয়ার্নারের অবসরের পর হেডের সঙ্গে মার্শ অথবা ম্যাথু শর্টকে ওয়ানডেতে ওপেন করতে দেখা গেছে। পাকিস্তানের বিপক্ষে হেড–মার্শের কেউই না থাকায় নতুন ওপেনিং জুটি দেখা যেতে পারে। শাহিন আফ্রিদি–নাসিম শাহদের বিপক্ষে ইনিংস শুরু করতে পারেন শর্ট ও জেইক ফ্রেজার-ম্যাগার্ক।

পাকিস্তান সিরিজ সামনে রেখে ২৫ অক্টোবর ঘরোয়া ওয়ানডে কাপে নিউ সাউথ ওয়েলসের হয়ে খেলবেন অধিনায়ক কামিন্স। তবে সিরিজের অন্তত একটি ম্যাচে তিনি বিশ্রামে থাকতে পারেন। পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি–টোয়েন্টি সিরিজের পর ভারতের বিপক্ষে বোর্ডার–গাভাস্কার ট্রফি থাকায় পেসারদের ঘুরিয়ে–ফিরিয়ে খেলাতে চায় সিএ। তাই অন্য দুই তারকা পেসার মিচেল স্টার্ক ও জশ হ্যাজলউডকেও কোনো ম্যাচে বিশ্রাম দেওয়া হতে পারে।

অ্যাডিলেডে দ্বিতীয় ও পার্থে তৃতীয় ওয়ানডের মাঝে মাত্র এক দিনের বিরতি। আকাশপথে অ্যাডিলেড থেকে পার্থের দূরত্ব ২ হাজার ১৩৫ কিলোমিটার, ভ্রমণ করতে হবে সোয়া ৩ ঘণ্টা। অস্ট্রেলিয়া এক ম্যাচ বাকি রেখেই সিরিজ জিতে গেলে পেসারদের সতেজ রাখতে পার্থে কামিন্স, স্টার্ক, হ্যাজলউডের মধ্যে অন্তত দুজনকে একাদশের বাইরে রাখা হতে পারে।

ইংল্যান্ড সফরে দারুণ পারফর্ম করেও পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের স্কোয়াডে জায়গা হয়নি অ্যালেক্স ক্যারির

দলে জায়গা ধরে রেখেছেন শন অ্যাবট, কুপার কনোলি, অ্যারন হার্ডিরা। তবে ইংল্যান্ড সফরে দুর্দান্ত পারফর্ম করেও বাদ পড়েছেন উইকেটকিপার–ব্যাটসম্যান অ্যালেক্স ক্যারি। স্কোয়াডে একমাত্র স্বীকৃত উইকেটকিপার জশ ইংলিস।

স্কোয়াড ঘোষণার পর অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাচক জর্জ বেইলি বলেছেন, ‘চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে এটাই আমাদের শেষ ওয়ানডে সিরিজ। তাই আমরা ভারসাম্যপূর্ণ দল গড়ায় মনোযোগী হয়েছি। একই সঙ্গে আসন্ন টেস্ট মৌসুমে সবার ব্যক্তিগত প্রস্তুতির দিকটিও গুরুত্ব দিয়েছি।’

‘অসুস্থতা ও চোটজনিত চ্যালেঞ্জ থাকার পরও যুক্তরাজ্যে ওয়ানডে দল খুবই ভালো ফল এনেছে (৩–২ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছে অস্ট্রেলিয়া)। আমরা মনে করি, পাকিস্তানে আগামী ফেব্রুয়ারিতে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রস্তুতির জন্য এটা সেই অর্জনকে আরও সমৃদ্ধ করার একটি সুযোগ,’ যোগ করেন বেইলি।

অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানডে স্কোয়াড

প্যাট কামিন্স (অধিনায়ক), মিচেল স্টার্ক, জশ হ্যাজলউড, অ্যাডাম জাম্পা, স্টিভেন স্মিথ, মারনাস লাবুশেন, জশ ইংলিস (উইকেটকিপার), গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, ম্যাথু শর্ট, মার্কাস স্টয়নিস, শন অ্যাবট, কুপার কনোলি, জেইক ফ্রেজার–ম্যাগার্ক ও অ্যারন হার্ডি।