সিলেট স্ট্রাইকার্স ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের ম্যাচটাকে আগের দিনই ‘বড় ম্যাচের’ স্বীকৃতি দিয়েছিলেন ইমরুল কায়েস। আগের ৫ ম্যাচের সব কটিতে জয় পাওয়া মাশরাফির সিলেটের কোনো দুর্বলতাই যেন খুঁজে পাচ্ছিলেন না কুমিল্লার অধিনায়ক। ঢাকা পর্বে মাশরাফির বিপক্ষে হারের স্মৃতিটাও তরতজা ছিল তাঁর। লিগ পর্বে দুই দলের দ্বিতীয় ম্যাচটা কুমিল্লার জন্য ছিল একরকম প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগই। সিলেটের সেখানে ছয় ম্যাচে টানা ছয় জয়ে ছিল চোখ।
শেষ পর্যন্ত কুমিল্লাতেই থেমে গেল সিলেটের জয়রথ। চট্টগ্রামে সিলেটকে ৫ উইকেটে হারিয়ে মৌসুমের দ্বিতীয় জয় পেয়েছে কুমিল্লা। রাতের ম্যাচে উড়তে থাকা সিলেটকে ১৩৩ রানে থামিয়ে প্রতিশোধের মঞ্চটা গড়ে দেন কুমিল্লার বোলাররাই। বাকি কাজটা করেন লিটন দাস। ৪২ বলে ৭০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে ম্যাচটা সিলেটের নাগালের বাইরে নিয়ে যান। ৭টি চার ও ৪টি ছক্কা ছিল লিটনের ইনিংসে। অফ স্পিনার শরীফুল্লাহর এক ওভারেই ২৪ রান নিয়েছেন লিটন। এবারের বিপিএলে এটিই তাঁর প্রথম ফিফটি। সে ইনিংসে ভর করেই ৬ বল বাকি থাকতে ৫ উইকেটের জয় নিশ্চিত হয় কুমিল্লার।
লো স্কোরিং ম্যাচটায় পার্থক্য গড়ে দিয়েছে লিটনের ১৬৬.৬৭ স্ট্রাইক রেটের ইনিংসটিই। ১৫তম ওভারে লিটন আউট হওয়ার পর দলীয় রান ছিল ১১১, সেখান থেকে জয়ের জন্য ১৯তম ওভার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় কুমিল্লাকে। শেষ দিকে দ্রুত ৩ উইকেট হারালেও ৬ বল বাকি থাকতেই জয় নিশ্চিত হয় কুমিল্লার।
এর আগে সিলেট ইনিংসে অভাব ছিল লিটনের মতো একটি ঝোড়ো ইনিংসেরই। কুমিল্লার দুই পেসার হাসান আলী ও মুকিদুল ইসলামের বোলিংয়ের সামনে স্বাচ্ছন্দ্যে খেলতে পারেননি কেউই। ইনিংসের দশম ওভারেই ৭ উইকেট হারিয়ে বসে সিলেট, স্কোরবোর্ডে রান তখন মাত্র ৫৩। সেখান থেকে অষ্টম উইকেট জুটিতে ৮০ রান যোগ করেন ইমাদ ওয়াসিম ও থিসারা পেরেরা। ৩৩ বলে ৪০ রানে অপরাজিত ছিলেন ইমাদ, পেরেরা ৩১ বলে করেছেন অপরাজিত ৪৩। কুমিল্লার হয়ে ২টি করে উইকেট নেন হাসান ও মুকিদুল।
ম্যাচের মাঝপথে ১৩৩ রানের স্কোর সিলেটের জন্য ছিল লড়াই করার মতোই। তবে লিটনের ব্যাটিংয়ে সে লড়াইয়ে আর জয় পাওয়া হয়নি সিলেটের।